ঢাকা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ  আলোচনা গণতান্ত্রিক শাসন শক্তিশালী করার উপায় নিয়ে শাহরাস্তির আতঙ্ক জাবেদ বাহিনী, মসজিদের জায়গা জবর দখল, দালালী আর মামলাবাজিতে হাতিয়েছেন ২ হাজার কোটি টাকা : রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। ময়মনসিংহ রেঞ্জের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত  গাজীপুর জেলা শাখা অন্তর্গত “শ্রীপুর উপজেলা” শাখার কমিটির অনুমোদন।  বেকারত্ব নিরসনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা নোয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময়  তবে উদ্যোগ রাজনৈতিক’ আমরা রাজনৈতিক দল নই তাহলে কি নিজেদের জালে-ই ফেঁসে গেলো ছাত্র সংঘটন!

আজ বহুল প্রত্যাশিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করবেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৪:২৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ২৩৪ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বহুল প্রত্যাশিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করবেন। সকাল ১০টার পর তিনি পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে একটি ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে টানেলটির উদ্বোধন করবেন। টানেল পার হয়ে বেলা ১১টায় আনোয়ারা প্রান্তে আরেকটি ফলক উন্মোচন করবেন। পরে আনোয়ারায় কোরিয়ান ইপিজেড (কেইপিজেড) মাঠে এক জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের টানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী দিনের খাম এবং উদ্বোধন উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহর অবমুক্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী।

 

আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন ১৭ হাজার ২৬০টি যানবাহন টানেলটি ব্যবহার করতে পারবে। এটি দেশের বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি দশমিক ১৬৬ শতাংশ বাড়াতে সাহায্য করবে। টানেলটি চট্টগ্রাম শহর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরের মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে দেবে। অর্থনীতিকে আরো প্রাণবন্ত করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপজেলার মধ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলটি নির্মাণে ব্যায় হয়েছে ১০,৩৭৪ কোটি টাকা। এতে প্রায় অর্ধেক অর্থায়ন করেছে চীনের এক্সিম ব্যাংক।

 

টানেলের নগর প্রান্ত পতেঙ্গায়। নদীর তলদেশ দিয়ে এটি মিলিত হয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার সিইউএফএল ও কাফকোর মাঝ বরাবর এলাকায়। ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের টানেলটি পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৩ থেকে সাড়ে ৩ মিনিট। এটি চট্টগ্রাম নগরীর সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা বদলে দেবে। মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর হওয়ার পর টানেলের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে।

 

টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে জেলাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করায় আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখা এক সমাবেশের আয়োজন করছে।

 

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বহু প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধনের জন্য চট্টগ্রামের পাশাপাশি সারাদেশ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে।’

 

অনুষ্ঠানস্থলে নৌকার আদলে একটি বড় মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

 

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ পানির নিচের সড়ক সুড়ঙ্গের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে যা অবশ্যই সমগ্র জাতির জন্য গর্বের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে ব্যাপক সুবিধা দেবে।

 

মাহবুবুল আলম বলেন, টানেলটি এই অঞ্চলে শিল্পায়নকে বাড়িয়ে তুলবে । কারণ চট্টগ্রাম-কেইপিজেড-এর আনোয়ারায় দুটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল এবং হালিশহরে চট্টগ্রাম ইপিজেড- এবং আনোয়ারাতে চাইনিজ ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন (সিইআইজেড) এই টানেলের জন্য অত্যন্ত সুবিধাপ্রাপ্ত হবে।’

 

তিনি বলেন, ‘এটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাথে ৪০ কিলোমিটার দূরত্ব কমিয়ে সংযুক্ত করবে। কক্সবাজারে চলমান এবং পরিকল্পিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি হাবকেও সুবিধা দেবে, যা ইতোমধ্যেই দেশের একটি পর্যটন কেন্দ্র।’

 

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, পুরো রুটের দৈর্ঘ্য হল ৯.৩৯ কিলোমিটার (৫.৮৩ মাইল), টানেলটি ৩.৩২ কিলোমিটার (২.০৬ মাইল) দৈর্ঘ্য তৈরি করে এবং এর ব্যাস ১০.৮০ মিটার (৩৫.৪ ফুট)। এটি ১০,৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এবং এর প্রায় অর্ধেক চীনের এক্সিম ব্যাংক অর্থায়ন করেছে।

 

এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক নেটওয়ার্ক উন্নত হবে। চীনের একটি কোম্পানি চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এটি নির্মাণ করেছে।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা টানেল বোরিং ফেজও উদ্বোধন করেন।

 

প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদ চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘১০০ বছর লাইফটাইমে এ টানেল তৈরি করা হয়েছে। প্রথম পাঁচ বছর মেইনটেন্যান্স ও অপারেশন করবে চীনা প্রতিষ্ঠান সিসিসিসি। উদ্বোধনের পরদিন সকাল থেকে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে আপাতত তিন চাকার যান ও মোটরসাইকেল চলাচল করবে না। এ ছাড়া হাঁটাহাঁটিরও সুযোগ থাকবে না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আজ বহুল প্রত্যাশিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করবেন।

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৪:২৭:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বহুল প্রত্যাশিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করবেন। সকাল ১০টার পর তিনি পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে একটি ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে টানেলটির উদ্বোধন করবেন। টানেল পার হয়ে বেলা ১১টায় আনোয়ারা প্রান্তে আরেকটি ফলক উন্মোচন করবেন। পরে আনোয়ারায় কোরিয়ান ইপিজেড (কেইপিজেড) মাঠে এক জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের টানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। অনুষ্ঠানে একটি বিশেষ স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী দিনের খাম এবং উদ্বোধন উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহর অবমুক্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী।

 

আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন ১৭ হাজার ২৬০টি যানবাহন টানেলটি ব্যবহার করতে পারবে। এটি দেশের বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি দশমিক ১৬৬ শতাংশ বাড়াতে সাহায্য করবে। টানেলটি চট্টগ্রাম শহর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরের মধ্যকার দূরত্ব কমিয়ে দেবে। অর্থনীতিকে আরো প্রাণবন্ত করতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে পতেঙ্গা ও আনোয়ারা উপজেলার মধ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলটি নির্মাণে ব্যায় হয়েছে ১০,৩৭৪ কোটি টাকা। এতে প্রায় অর্ধেক অর্থায়ন করেছে চীনের এক্সিম ব্যাংক।

 

টানেলের নগর প্রান্ত পতেঙ্গায়। নদীর তলদেশ দিয়ে এটি মিলিত হয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার সিইউএফএল ও কাফকোর মাঝ বরাবর এলাকায়। ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের টানেলটি পাড়ি দিতে সময় লাগবে ৩ থেকে সাড়ে ৩ মিনিট। এটি চট্টগ্রাম নগরীর সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা বদলে দেবে। মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্রবন্দর হওয়ার পর টানেলের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে।

 

টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে জেলাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করায় আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখা এক সমাবেশের আয়োজন করছে।

 

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বহু প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধনের জন্য চট্টগ্রামের পাশাপাশি সারাদেশ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে।’

 

অনুষ্ঠানস্থলে নৌকার আদলে একটি বড় মঞ্চ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

 

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ পানির নিচের সড়ক সুড়ঙ্গের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে যা অবশ্যই সমগ্র জাতির জন্য গর্বের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে ব্যাপক সুবিধা দেবে।

 

মাহবুবুল আলম বলেন, টানেলটি এই অঞ্চলে শিল্পায়নকে বাড়িয়ে তুলবে । কারণ চট্টগ্রাম-কেইপিজেড-এর আনোয়ারায় দুটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল এবং হালিশহরে চট্টগ্রাম ইপিজেড- এবং আনোয়ারাতে চাইনিজ ইকোনমিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন (সিইআইজেড) এই টানেলের জন্য অত্যন্ত সুবিধাপ্রাপ্ত হবে।’

 

তিনি বলেন, ‘এটি প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়েকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাথে ৪০ কিলোমিটার দূরত্ব কমিয়ে সংযুক্ত করবে। কক্সবাজারে চলমান এবং পরিকল্পিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি হাবকেও সুবিধা দেবে, যা ইতোমধ্যেই দেশের একটি পর্যটন কেন্দ্র।’

 

প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, পুরো রুটের দৈর্ঘ্য হল ৯.৩৯ কিলোমিটার (৫.৮৩ মাইল), টানেলটি ৩.৩২ কিলোমিটার (২.০৬ মাইল) দৈর্ঘ্য তৈরি করে এবং এর ব্যাস ১০.৮০ মিটার (৩৫.৪ ফুট)। এটি ১০,৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এবং এর প্রায় অর্ধেক চীনের এক্সিম ব্যাংক অর্থায়ন করেছে।

 

এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক নেটওয়ার্ক উন্নত হবে। চীনের একটি কোম্পানি চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এটি নির্মাণ করেছে।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ২০১৭ সালের ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা টানেল বোরিং ফেজও উদ্বোধন করেন।

 

প্রকল্প পরিচালক হারুন অর রশিদ চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘১০০ বছর লাইফটাইমে এ টানেল তৈরি করা হয়েছে। প্রথম পাঁচ বছর মেইনটেন্যান্স ও অপারেশন করবে চীনা প্রতিষ্ঠান সিসিসিসি। উদ্বোধনের পরদিন সকাল থেকে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে আপাতত তিন চাকার যান ও মোটরসাইকেল চলাচল করবে না। এ ছাড়া হাঁটাহাঁটিরও সুযোগ থাকবে না।’