ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ  আলোচনা গণতান্ত্রিক শাসন শক্তিশালী করার উপায় নিয়ে শাহরাস্তির আতঙ্ক জাবেদ বাহিনী, মসজিদের জায়গা জবর দখল, দালালী আর মামলাবাজিতে হাতিয়েছেন ২ হাজার কোটি টাকা : রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। ময়মনসিংহ রেঞ্জের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত  গাজীপুর জেলা শাখা অন্তর্গত “শ্রীপুর উপজেলা” শাখার কমিটির অনুমোদন।  বেকারত্ব নিরসনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা নোয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময়  তবে উদ্যোগ রাজনৈতিক’ আমরা রাজনৈতিক দল নই তাহলে কি নিজেদের জালে-ই ফেঁসে গেলো ছাত্র সংঘটন!

আজ ১৪ই আগস্ট আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী

সাদিয়া আক্তার স্টাফ রিপোর্টার
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০২:৪৯:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪ ১৭ বার পড়া হয়েছে

আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছিলেন বাংলাদেশের ইসলামী ব্যক্তি তথা ইসলামী চিন্তাবিদদের মধ্যে অন্যতম একজন।যিনি তাঁর সুরেলিত কন্ঠ এবং জ্ঞানের মাধ্যমে বহু মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন।১৯৪০ সালের ২ফেব্রুয়ারি পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ইউসুফ সাঈদী ছিলেন একজন শৈল্পিক বক্তা এবং পীর।তিনি তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন নিজ গ্রামে তাঁর বাবার মাদ্রাসায়। পরবর্তীতে তিনি ছারছিনা আলিয়া মাদ্রাসা এবং খুলনা আলিয়া মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করেন ‌।১৯৬২ সালে ছারছিনা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল ডিগ্রি অর্জন করেন এবং বিভিন্ন বিষয় এবং তথ্যের উপর অধ্যয়ন করেন।ভাষা ,ধর্ম, দর্শন, বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি এবং মনোবিজ্ঞানে ৫ বছর অধ্যয়ন করেন।১৯৬৭ সাল থেকে তিনি তাঁর বক্তৃতার মাধ্যমে দেশ বিদেশে ইসলামের দাওয়াত দিতে শুরু করেন।কোনো বাঁধা বিপত্তি তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। পৃথিবীর প্রায় ৫০টি দেশে বিভিন্ন সংগঠন এবং ইসলামিক দাওয়াতের কাজে তিনি ভ্রমণ করেন।১৯৭৯ সালে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তে যোগ দেন।২০০৯ থেকে তিনি আমৃত্যু জামায়াতের নায়েবে আমিরের দায়িত্ব পালন করেন।১৯৯৬ সালের ৭ম জাতীয় নির্বাচনে তিনি প্রথমবার এবং ২০০১ সালের ৮ম জাতীয় নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।তিনি রাজনীতির মাঠে পরিচিতির পাশাপাশি ধর্মীয় বক্তৃতার মাধ্যমে সারা দেশ তথা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তাঁর কুরআনের তাফসির শুনে শুধু মাত্র মুসলিমরাই নয় বরং অমুসলিমরাও তাঁর প্রতি আনুগত্যতায় সিক্ত হয়েছেন।অনেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীর সদস্য হিসাবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে মানবতাবিরোধী কার্যক্রমে সাহায্য করার অভিযোগে তাঁকে ২০১৩ সালে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৮৩ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।১৫ আগস্ট পিরোজপুর সাঈদী ফাউন্ডেশনে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আজ ১৪ই আগস্ট আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী

নিউজ প্রকাশের সময় : ০২:৪৯:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪

আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ছিলেন বাংলাদেশের ইসলামী ব্যক্তি তথা ইসলামী চিন্তাবিদদের মধ্যে অন্যতম একজন।যিনি তাঁর সুরেলিত কন্ঠ এবং জ্ঞানের মাধ্যমে বহু মানুষের মন জয় করে নিয়েছিলেন।১৯৪০ সালের ২ফেব্রুয়ারি পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ইউসুফ সাঈদী ছিলেন একজন শৈল্পিক বক্তা এবং পীর।তিনি তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন নিজ গ্রামে তাঁর বাবার মাদ্রাসায়। পরবর্তীতে তিনি ছারছিনা আলিয়া মাদ্রাসা এবং খুলনা আলিয়া মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করেন ‌।১৯৬২ সালে ছারছিনা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল ডিগ্রি অর্জন করেন এবং বিভিন্ন বিষয় এবং তথ্যের উপর অধ্যয়ন করেন।ভাষা ,ধর্ম, দর্শন, বিজ্ঞান, রাজনীতি, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি এবং মনোবিজ্ঞানে ৫ বছর অধ্যয়ন করেন।১৯৬৭ সাল থেকে তিনি তাঁর বক্তৃতার মাধ্যমে দেশ বিদেশে ইসলামের দাওয়াত দিতে শুরু করেন।কোনো বাঁধা বিপত্তি তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। পৃথিবীর প্রায় ৫০টি দেশে বিভিন্ন সংগঠন এবং ইসলামিক দাওয়াতের কাজে তিনি ভ্রমণ করেন।১৯৭৯ সালে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তে যোগ দেন।২০০৯ থেকে তিনি আমৃত্যু জামায়াতের নায়েবে আমিরের দায়িত্ব পালন করেন।১৯৯৬ সালের ৭ম জাতীয় নির্বাচনে তিনি প্রথমবার এবং ২০০১ সালের ৮ম জাতীয় নির্বাচনে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।তিনি রাজনীতির মাঠে পরিচিতির পাশাপাশি ধর্মীয় বক্তৃতার মাধ্যমে সারা দেশ তথা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তাঁর কুরআনের তাফসির শুনে শুধু মাত্র মুসলিমরাই নয় বরং অমুসলিমরাও তাঁর প্রতি আনুগত্যতায় সিক্ত হয়েছেন।অনেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীর সদস্য হিসাবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে মানবতাবিরোধী কার্যক্রমে সাহায্য করার অভিযোগে তাঁকে ২০১৩ সালে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৮৩ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।১৫ আগস্ট পিরোজপুর সাঈদী ফাউন্ডেশনে তাঁকে সমাহিত করা হয়।