ইসরাইলের রহস্যজনক দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা
- নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:৫৮:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩ ১৮৯ বার পড়া হয়েছে
ইসরাইলের রহস্যজনক দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থ
বিশ্বের কোনো গোয়েন্দা সংস্থাই মোসাদের মতো এতটা রহস্যজনক নয়। ইসরাইল রাষ্ট্র টিকেই আছে দেশটির ফুসফুস খ্যাত এই বাহিনীর জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ, যুক্তরাজ্যের এমআই সিক্স, রাশিয়ার কেজিবি, ভারতের র কিংবা পাকিস্তানের আইএসআইয়ের মতো বিশ্বের প্রায় সব দেশেরই নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে। তবে গোপনীয়তা আর দুর্ধর্ষ গোয়েন্দাবৃত্তির চর্চায় সব সংস্থাকে ছাড়িয়ে গেছে ইসরাইলি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।
খোদ সিআইএ বলছে মোসাদ হলো বিশ্বসেরা। মোসাদ নিজেই দাবি করে বিশ্বসেরা উদ্দেশপ্রণোদিত অনুগত এজেন্ট রয়েছে তাদের। মোসাদের গুপ্তচররা কখন কোথায় কীভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তা বলা মুশকিল।
হিব্রু ভাষার মোসাদ শব্দটির অর্থ সংস্থা। সংস্থাটির পুরো নাম হলো দ্য ইনস্টিটিউট ফর ইনটেলিজেন্স অ্যান্ড স্পেশাল অপারেশনস। ইসরাইলের কথিত প্রতিষ্ঠাতা ও ইসরাইলের হিব্রু ভাষার প্রবর্তক ডেভিড বেন গোরিয়ন ১৯৪৮ সালের ১৩ ডিসেম্বরে মোসাদ প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৪৮ সালে মোসাদের প্রথম পরিচালক পদে দায়িত্ব পান ডেভিড বেন গোরিয়নের ঘনিষ্ঠ সহযোগী রুভেন সিলোহা। মোসাদের প্রাথমিক উদ্দেশ ছিল বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ইসরাইলিদের দেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি দেশটির নিরাপত্তা বিরোধীদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থা নেয়া। ধীরে ধীরে গুপ্তহত্যাসহ মানবাধিকার বিরোধী নানা কাজে জড়িয়ে পড়ে সংস্থাটি। বর্তমানে সংস্থাটির পরিচালক পদে রয়েছেন দাভিদ বার্নেয়া। যিনি ২০২১ সাল থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রহস্যে ঘেরা গোয়েন্দা সংস্থ্যা মোসাদের কার্যক্রম। দেশটির প্রধানমন্ত্রী সরাসরি এই বাহিনী পরিচালনা করে থাকেন। সংস্থাটির কার্যালয়, সদস্য সংখ্যা এমনকি তাদের পরিচয়ও অপ্রকাশিত। কেবল পরিচালকের পরিচয় প্রকাশ করে সংস্থাটি।
মোসাদের কাজের রিপোর্ট ও গোয়েন্দা তথ্য সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হয়। এর নীতিমালা ও কার্যক্রম অনেকটা যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ, যুক্তরাজ্যের এমআইসিক্স ও কানাডার সিএসআইএসের মতো। ইসরাইলের সীমানার বাইরে গোপনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা, শত্রুভাবাপন্ন দেশগুলো যাতে বিশেষ ধরনের অস্ত্র তৈরি বা সংগ্রহ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া দেশে-বিদেশে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলার ষড়যন্ত্র আগাম প্রতিরোধ করাও দুর্ধর্ষ এই বাহিনীর অন্যতম কাজ।