ঢাকা ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ 

কোরবানি ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত নাগরপুরের কামার শিল্পীরা

সিপন রানা নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি :
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৩:৫৪:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪ ২৪ বার পড়া হয়েছে

টুং, টাং শব্দে মুখরিত নাগরপুর কামার পল্লী। এই শব্দই জানান দিচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা সন্নিকটে। ঈদের আর মাত্র ৯ দিন বাকি। তাই কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দিন-রাত সমান তালে ব্যস্ত সময় পার করছেন নাগরপুর সদর এলাকার কামার শিল্পীরা। শুক্রবার (৭ জুন) নাগরপুর সদর কামার পল্লীতে সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। গত কয়েকদিন ধরেই তারা ভোর থেকে মাঝ রাত পর্যন্ত দা, ছুরি, বঁটি সহ অন্যান্য সরঞ্জাম তৈরি ও মেরামতের কাজ করছেন। সময় যত ঘনিয়ে আসছে বেচা-কেনাও বাড়ছে তাদের। শেষ মুহূর্তে দম ফেলার সময় নেই কামারদের।কয়েকটি কামারের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি দোকানে ৩-৪ জন কর্মকার কোরবানির গরু কাটার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পুরনো দা, বঁটি ধার দিতে মজুরি ১০০ টাকা থেকে ১২৫ টাকা। গরু জবাইয়ের ১৮ ইঞ্চি সাইজের বড় ছুরি তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ১৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা, চাপাতি প্রতি পিস খরচ হচ্ছে ৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে। নিজ লোহা সরবরাহে মজুরি ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, প্রতি পিস বঁটি ৩০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, দা ৪০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা। মিন্নত আলী নামে এক ক্রেতা বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এ বছর কোরবানির গরু কাটার সরঞ্জামের দাম অনেক বেশি। গত বছর গরু জবাইয়ের বড় ছুরি ক্রয় করেছি ১৪০০ টাকা, এবার একই ছুরি বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকায়। একাধিক কামার শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সারা বছর দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি প্রভৃতি বিক্রি করে যে ব্যবসা হয়, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ব্যবসা হয় কোরবানির ঈদে। ব্যবসায়ী হীরা কর্মকার জানায়, এই কাজ তারা বংশানুক্রমে করে আসছেন। এ পেশায় বর্তমানে যারা রয়েছেন তারা বেশিরভাগই বাপ-দাদার ব্যবসাকে আঁকড়ে ধরে আছেন।আকতার কর্মকার নামের এক ব্যবসায়ী জানান, কামার শিল্পীদের দৈনিক মজুরি ও লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় এ বছর কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সরঞ্জাম। নাগরপুর কামার পট্টিতে প্রতিটি দোকানে এখন দৈনিক গড়ে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এই মৌসুমে প্রতি দোকান মালিক প্রায় লাখ টাকার মতো আয় করেন। আর কামার শিল্পীরা ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করেন বলে জানা যায়। সারা বছর কামার শিল্পীদের ব্যস্ততা তেমন দেখা না গেলেও কোরবানির ঈদ এলে ব্যস্ততা বেড়ে যায় অনেক বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কোরবানি ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত নাগরপুরের কামার শিল্পীরা

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৩:৫৪:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

টুং, টাং শব্দে মুখরিত নাগরপুর কামার পল্লী। এই শব্দই জানান দিচ্ছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা সন্নিকটে। ঈদের আর মাত্র ৯ দিন বাকি। তাই কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দিন-রাত সমান তালে ব্যস্ত সময় পার করছেন নাগরপুর সদর এলাকার কামার শিল্পীরা। শুক্রবার (৭ জুন) নাগরপুর সদর কামার পল্লীতে সরেজমিনে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। গত কয়েকদিন ধরেই তারা ভোর থেকে মাঝ রাত পর্যন্ত দা, ছুরি, বঁটি সহ অন্যান্য সরঞ্জাম তৈরি ও মেরামতের কাজ করছেন। সময় যত ঘনিয়ে আসছে বেচা-কেনাও বাড়ছে তাদের। শেষ মুহূর্তে দম ফেলার সময় নেই কামারদের।কয়েকটি কামারের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি দোকানে ৩-৪ জন কর্মকার কোরবানির গরু কাটার সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পুরনো দা, বঁটি ধার দিতে মজুরি ১০০ টাকা থেকে ১২৫ টাকা। গরু জবাইয়ের ১৮ ইঞ্চি সাইজের বড় ছুরি তৈরি করতে খরচ হচ্ছে ১৮০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা, চাপাতি প্রতি পিস খরচ হচ্ছে ৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে। নিজ লোহা সরবরাহে মজুরি ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, প্রতি পিস বঁটি ৩০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, দা ৪০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা। মিন্নত আলী নামে এক ক্রেতা বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এ বছর কোরবানির গরু কাটার সরঞ্জামের দাম অনেক বেশি। গত বছর গরু জবাইয়ের বড় ছুরি ক্রয় করেছি ১৪০০ টাকা, এবার একই ছুরি বিক্রি হচ্ছে ২০০০ টাকায়। একাধিক কামার শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সারা বছর দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি প্রভৃতি বিক্রি করে যে ব্যবসা হয়, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ব্যবসা হয় কোরবানির ঈদে। ব্যবসায়ী হীরা কর্মকার জানায়, এই কাজ তারা বংশানুক্রমে করে আসছেন। এ পেশায় বর্তমানে যারা রয়েছেন তারা বেশিরভাগই বাপ-দাদার ব্যবসাকে আঁকড়ে ধরে আছেন।আকতার কর্মকার নামের এক ব্যবসায়ী জানান, কামার শিল্পীদের দৈনিক মজুরি ও লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় এ বছর কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সরঞ্জাম। নাগরপুর কামার পট্টিতে প্রতিটি দোকানে এখন দৈনিক গড়ে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এই মৌসুমে প্রতি দোকান মালিক প্রায় লাখ টাকার মতো আয় করেন। আর কামার শিল্পীরা ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করেন বলে জানা যায়। সারা বছর কামার শিল্পীদের ব্যস্ততা তেমন দেখা না গেলেও কোরবানির ঈদ এলে ব্যস্ততা বেড়ে যায় অনেক বেশি।