ঢাকা ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ 

চুয়াডাঙ্গা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মাত্র ১৫ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে

মো: মহিবুল ইসলাম খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ১০:০৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ ২৯ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা ৫০ শয্যার সদর হাসপাতালকে ২০০৩ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ২০১৮ সালে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ শেষে ওই বছর ২৮ অক্টোবর ১০০ শয্যার হাসপাতালটিকে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে উদ্বোধন করা হয়।উদ্বোধনের পর পেরিয়ে গেছে ৫ বছর। আজ পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ১০০ শয্যার হাসপাতালটিকে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে এখানে নেই ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ওষুধ, খাদ্য ও জনবল। অপরদিকে, ১০০ শয্যা হাসপাতালের অনুমতি থাকলেও জনবল নেই। ১৯৭০ সালে নির্মিত ৫০ শয্যা হাসপাতালে ২২ জন চিকিৎসক বরাদ্দ থাকলেও রয়েছে অনেক কম। এখানে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ১৫ জন। আর এই ১৫ চিকিৎসকের অধিকাংশ রয়েছেন অস্থায়ী ভিত্তিত্বে। মাত্র ১৫ জন চিকিৎসক দিয়ে ২৫০ শয্যা হাসপাতালটি চলছে।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রথম শ্রেণির চিকিৎসকের অনুমোদিত পদ রয়েছে ২২টি। এর অধিকাংশ পদে স্থায়ী জনবল নেই। স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে মাত্র ১৫ জন চিকিৎসক রয়েছেন। ৭ টি পদ শূন্য রয়েছে।তবে জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিক ও সার্জারি), মেডিকেল অফিসারের তিনটি পদ, ডেন্টাল সার্জন, মেডিকেল অফিসার হোমিও এবং আয়ুর্বেদিক পদে অন্য হাসপাতালের চিকিৎসক সংযুক্ত করা হয়েছে।পদ শূন্য রয়েছে সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি), সিনিয়র কনসালট্যান্ট চক্ষু, সিনিয়র কনসালট্যান্ট অ্যানেস্থেসিয়া, সিনিয়র কনসালট্যান্ট শিশু, মেডিসিন ও জুনিয়র কনসালট্যান্ট ইএনটি, রেডিওলজি এবং মেডিকেল অফিসারের পদ। ২০১৪ সাল থেকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি) ডা. মো. আবুল হোসেন ও জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি) ডা. হোসনে জারি তহমিনা।আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সংযুক্ত রয়েছেন জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু) ডা. মো. মাহবুবুর রহমান মিলন ও জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি) নুরে আলম আশরাফী। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কপপ্লেক্স থেকে সংযুক্ত রয়েছেন ডা. মো. আসাদুর রহমান মালিক।এছাড়া আলমডাঙ্গা উপজেলা ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২০১৯ সাল থেকে তিনজন মেডিকেল অফিসার সদর হাসপাতালে সংযুক্ত রয়েছেন।এছাড়া দ্বিতীয় শ্রেণির ৬৭টি পদের মধ্যে নার্সিং সুপারভাইজারের দুটি পদই শূন্য। সিনিয়র স্টাফ নার্সের পদ রয়েছে ৫৪টি। এর মধ্যে ৫১ পদেই স্থানীয় জনবল নেই। অন্য হাসপাতালের নার্স দিয়ে পদগুলো পূরণ করা হয়েছে। দুটি পদে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া নার্স রয়েছেন। শূন্য রয়েছে একটি পদ। তৃতীয় শ্রেণির জনবলের পদ রয়েছে ৩৫টি। এর মধ্যে অফিস সহকারী, হেলথ এডুকেটর ও মেডিসিন টেকনিশিয়ান (ইকো) পদে স্থায়ী জনবল রয়েছে। বাকি পদগুলো পূরণ করা হয়েছে অন্য হাসপাতালের জনবল দিয়ে।চতুর্থ শ্রেণির ১৪৮টি পদের মধ্যে স্থায়ী জনবল রয়েছে চারটিতে। এছাড়া শূন্য রয়েছে ১১টি পদ। বাকি পদ পূরণ করা হয়েছে অন্য হাসপাতালের জনবল দিয়ে। এ কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না বলে অভিযোগ রোগীদের।হাসপাতালের নতুন ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর ছোট ভাই জেলার জীবননগর উপজেলার মোক্তারপুর গ্রামের শুকুর আলী জানান, সকালে কোনো রকম কয়েক মিনিটের জন্য ডাক্তার আসেন। তড়িঘড়ি করে নামকাওয়াস্তে রোগীর বেডের সামনে আসেন দু একটা কথা বলে চলে যান। তারপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আর কোনো ডাক্তার আসেন না। রোগীর কী সমস্য সেটাও তিন দিন আমাদেরকে জানাননি। চিকিৎসার মানও খুব খারাপ। হাসপাতাল থেকে তেমন কোনো ওষুধও দিচ্ছে না। প্রায় সব ওষুধই বাহির থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। এছাড়া এই তিন দিনে রোগীকে দেওয়া হয়নি এক বেলার খাবার। নার্সদের কাছে খাবারের কথা বললে তারা জানায় নতুন ভবনে খাবার বরাদ্দ নেই।একই ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দশমী পাড়ার আসলাম মিয়া জানান, ‘চুয়াডাঙ্গা মার্কেটে এসে হঠৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে এসে ভর্তি হই। হাসপাতালে একটা বেড পেলেও তাতে নেই কোনো পরিষ্কার চাদর, নেই কোনো বালিশ। নেই কোনো সিনিয়র বা হাসপাতালের স্টাফনার্স। কয়েকজন স্টুডেন্ট নার্স সেবা দিতে গিয়ে উল্টাপাল্টা কাজ করে ফেলছে। ভুল ভাল ওষুধ খাইয়ে দিচ্ছে।’নার্স পদ একটি শূন্য রয়েছে। তৃতীয় শ্রেণির জনবলের পদ রয়েছে ৩৫টি। এর মধ্যে অফিস সহকারী, হেলথ এডুকেটর ও মেডিসিন টেকনিশিয়ান (ইকো) পদে স্থায়ী জনবল রয়েছে। বাকি পদগুলো পূরণ করা হয়েছে অন্য হাসপাতালের জনবল দিয়ে।চতুর্থ শ্রেণির ১৪৮টি পদের মধ্যে স্থায়ী জনবল রয়েছে চারটিতে। এছাড়া শূন্য রয়েছে ১১টি পদ। বাকি পদ পূরণ করা হয়েছে অন্য হাসপাতালের জনবল দিয়ে।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) ডা. উম্মে ফারহানা বলেন, ২০১৮ সালে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের উদ্বোধন হলেও আজ পর্যন্ত তার অনুমতি মেলেনি। ২০১৩ সালে ১০০ শয্যার হাসাপাতাল অনুমোদিত হলেও আজ পর্যন্ত জনবল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ৫০ শয্যার জনবলের চাইতেও কম জনবল দিয়ে হাসপাতালটি চলছে। এখানে শয্যার বিপরীতে তিন-চার গুণ বেশি রোগী সব সময় ভর্তি হচ্ছে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাপপ্রবাহে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও হাসপাতাল থেকেই ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে ১০০ শয্যার হাসপাতাল হওয়ায় ১০০ অধিক ভর্তি রোগীর খাদ্য চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। ১০০ শয্যার জন্য তৈরি করা খাবার ওয়ার্ডের রোগীদের মধ্যে ভাগাভাগি করে দেয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে কয়েক দিনের ব্যবধানে শয্যার দু তিনগুণ রোগী বেশি ভর্তি হয়। বিশেষ করে ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা বেড়েছিল। হাসপাতালে যে পরিমাণ জনবল আছে, সেটা দিয়েই রোগীদের সেবা দেয়া হয়। জনবল বাড়ানো হলে সেবা দিতে সুবিধা হতো। বিপুল পরিমাণ রোগীদের সব সময় হাসপাতাল থেকে ওষুধ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে হাসপাতালে যে ওষুধ থাকে আমরা চেষ্টা করি সেটার সঠিক ব্যবহার করার।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান জানান, যোগদানের পর থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি জনবল বাড়ানোসহ ২৫০ শয্যার অনুমতি ওষুধ ও খাদ্যের বরাদ্দ পাওয়ার জন্য

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চুয়াডাঙ্গা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মাত্র ১৫ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে

নিউজ প্রকাশের সময় : ১০:০৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা ৫০ শয্যার সদর হাসপাতালকে ২০০৩ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ২০১৮ সালে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের অবকাঠামো নির্মাণ শেষে ওই বছর ২৮ অক্টোবর ১০০ শয্যার হাসপাতালটিকে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে উদ্বোধন করা হয়।উদ্বোধনের পর পেরিয়ে গেছে ৫ বছর। আজ পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে ১০০ শয্যার হাসপাতালটিকে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে এখানে নেই ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ওষুধ, খাদ্য ও জনবল। অপরদিকে, ১০০ শয্যা হাসপাতালের অনুমতি থাকলেও জনবল নেই। ১৯৭০ সালে নির্মিত ৫০ শয্যা হাসপাতালে ২২ জন চিকিৎসক বরাদ্দ থাকলেও রয়েছে অনেক কম। এখানে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ১৫ জন। আর এই ১৫ চিকিৎসকের অধিকাংশ রয়েছেন অস্থায়ী ভিত্তিত্বে। মাত্র ১৫ জন চিকিৎসক দিয়ে ২৫০ শয্যা হাসপাতালটি চলছে।হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রথম শ্রেণির চিকিৎসকের অনুমোদিত পদ রয়েছে ২২টি। এর অধিকাংশ পদে স্থায়ী জনবল নেই। স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে মাত্র ১৫ জন চিকিৎসক রয়েছেন। ৭ টি পদ শূন্য রয়েছে।তবে জুনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি), জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিক ও সার্জারি), মেডিকেল অফিসারের তিনটি পদ, ডেন্টাল সার্জন, মেডিকেল অফিসার হোমিও এবং আয়ুর্বেদিক পদে অন্য হাসপাতালের চিকিৎসক সংযুক্ত করা হয়েছে।পদ শূন্য রয়েছে সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি), সিনিয়র কনসালট্যান্ট চক্ষু, সিনিয়র কনসালট্যান্ট অ্যানেস্থেসিয়া, সিনিয়র কনসালট্যান্ট শিশু, মেডিসিন ও জুনিয়র কনসালট্যান্ট ইএনটি, রেডিওলজি এবং মেডিকেল অফিসারের পদ। ২০১৪ সাল থেকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি) ডা. মো. আবুল হোসেন ও জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি) ডা. হোসনে জারি তহমিনা।আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সংযুক্ত রয়েছেন জুনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশু) ডা. মো. মাহবুবুর রহমান মিলন ও জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজি) নুরে আলম আশরাফী। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কপপ্লেক্স থেকে সংযুক্ত রয়েছেন ডা. মো. আসাদুর রহমান মালিক।এছাড়া আলমডাঙ্গা উপজেলা ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২০১৯ সাল থেকে তিনজন মেডিকেল অফিসার সদর হাসপাতালে সংযুক্ত রয়েছেন।এছাড়া দ্বিতীয় শ্রেণির ৬৭টি পদের মধ্যে নার্সিং সুপারভাইজারের দুটি পদই শূন্য। সিনিয়র স্টাফ নার্সের পদ রয়েছে ৫৪টি। এর মধ্যে ৫১ পদেই স্থানীয় জনবল নেই। অন্য হাসপাতালের নার্স দিয়ে পদগুলো পূরণ করা হয়েছে। দুটি পদে স্থায়ী নিয়োগ পাওয়া নার্স রয়েছেন। শূন্য রয়েছে একটি পদ। তৃতীয় শ্রেণির জনবলের পদ রয়েছে ৩৫টি। এর মধ্যে অফিস সহকারী, হেলথ এডুকেটর ও মেডিসিন টেকনিশিয়ান (ইকো) পদে স্থায়ী জনবল রয়েছে। বাকি পদগুলো পূরণ করা হয়েছে অন্য হাসপাতালের জনবল দিয়ে।চতুর্থ শ্রেণির ১৪৮টি পদের মধ্যে স্থায়ী জনবল রয়েছে চারটিতে। এছাড়া শূন্য রয়েছে ১১টি পদ। বাকি পদ পূরণ করা হয়েছে অন্য হাসপাতালের জনবল দিয়ে। এ কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না বলে অভিযোগ রোগীদের।হাসপাতালের নতুন ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর ছোট ভাই জেলার জীবননগর উপজেলার মোক্তারপুর গ্রামের শুকুর আলী জানান, সকালে কোনো রকম কয়েক মিনিটের জন্য ডাক্তার আসেন। তড়িঘড়ি করে নামকাওয়াস্তে রোগীর বেডের সামনে আসেন দু একটা কথা বলে চলে যান। তারপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আর কোনো ডাক্তার আসেন না। রোগীর কী সমস্য সেটাও তিন দিন আমাদেরকে জানাননি। চিকিৎসার মানও খুব খারাপ। হাসপাতাল থেকে তেমন কোনো ওষুধও দিচ্ছে না। প্রায় সব ওষুধই বাহির থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। এছাড়া এই তিন দিনে রোগীকে দেওয়া হয়নি এক বেলার খাবার। নার্সদের কাছে খাবারের কথা বললে তারা জানায় নতুন ভবনে খাবার বরাদ্দ নেই।একই ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দশমী পাড়ার আসলাম মিয়া জানান, ‘চুয়াডাঙ্গা মার্কেটে এসে হঠৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে এসে ভর্তি হই। হাসপাতালে একটা বেড পেলেও তাতে নেই কোনো পরিষ্কার চাদর, নেই কোনো বালিশ। নেই কোনো সিনিয়র বা হাসপাতালের স্টাফনার্স। কয়েকজন স্টুডেন্ট নার্স সেবা দিতে গিয়ে উল্টাপাল্টা কাজ করে ফেলছে। ভুল ভাল ওষুধ খাইয়ে দিচ্ছে।’নার্স পদ একটি শূন্য রয়েছে। তৃতীয় শ্রেণির জনবলের পদ রয়েছে ৩৫টি। এর মধ্যে অফিস সহকারী, হেলথ এডুকেটর ও মেডিসিন টেকনিশিয়ান (ইকো) পদে স্থায়ী জনবল রয়েছে। বাকি পদগুলো পূরণ করা হয়েছে অন্য হাসপাতালের জনবল দিয়ে।চতুর্থ শ্রেণির ১৪৮টি পদের মধ্যে স্থায়ী জনবল রয়েছে চারটিতে। এছাড়া শূন্য রয়েছে ১১টি পদ। বাকি পদ পূরণ করা হয়েছে অন্য হাসপাতালের জনবল দিয়ে।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) ডা. উম্মে ফারহানা বলেন, ২০১৮ সালে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের উদ্বোধন হলেও আজ পর্যন্ত তার অনুমতি মেলেনি। ২০১৩ সালে ১০০ শয্যার হাসাপাতাল অনুমোদিত হলেও আজ পর্যন্ত জনবল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ৫০ শয্যার জনবলের চাইতেও কম জনবল দিয়ে হাসপাতালটি চলছে। এখানে শয্যার বিপরীতে তিন-চার গুণ বেশি রোগী সব সময় ভর্তি হচ্ছে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাপপ্রবাহে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও হাসপাতাল থেকেই ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে ১০০ শয্যার হাসপাতাল হওয়ায় ১০০ অধিক ভর্তি রোগীর খাদ্য চাহিদা মেটানো যাচ্ছে না। ১০০ শয্যার জন্য তৈরি করা খাবার ওয়ার্ডের রোগীদের মধ্যে ভাগাভাগি করে দেয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে কয়েক দিনের ব্যবধানে শয্যার দু তিনগুণ রোগী বেশি ভর্তি হয়। বিশেষ করে ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা বেড়েছিল। হাসপাতালে যে পরিমাণ জনবল আছে, সেটা দিয়েই রোগীদের সেবা দেয়া হয়। জনবল বাড়ানো হলে সেবা দিতে সুবিধা হতো। বিপুল পরিমাণ রোগীদের সব সময় হাসপাতাল থেকে ওষুধ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে হাসপাতালে যে ওষুধ থাকে আমরা চেষ্টা করি সেটার সঠিক ব্যবহার করার।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান জানান, যোগদানের পর থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি জনবল বাড়ানোসহ ২৫০ শয্যার অনুমতি ওষুধ ও খাদ্যের বরাদ্দ পাওয়ার জন্য