চুয়াডাঙ্গা জেলা রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আব্দুল মোতালেবকে মারধর করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের ফেরীঘাট রোডস্থ তার নিজ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এসময় দুর্বৃত্তরা তার কাছ থেকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ উঠেছে। আব্দুল মোতালেব বদলির আদেশপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। গতকাল চুয়াডাঙ্গায় তার শেষ কর্মদিবস ছিল। এ ঘটনার পর আব্দুল মোতালেব একটি মামলা ও অপরপক্ষ থেকে পৃথক মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুল মোতালেবের থানায় দায়ের করা এজাহার থেকে জানা গেছে, দামুড়হুদার দেউলী গ্রামের মৃত নূর হোসেনের ছেলে কুতুব উদ্দীন (৪৮) দামুড়হুদা উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একজন দলিল লেখক। তিনি বিধি মোতাবেক দলিল লেখকের শর্ত মান্য না করায় তার লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট সাব রেজিস্ট্রার নবায়নের জন্য সুপারিশ করতে পারেনি। ফলে তার লাইসেন্স ২০২৪ সালের জন্য নবায়ন হয়নি। এ বিষয়ে গত সোমবার মোবাইলফোনের মাধ্যমে জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুল মোতালেবকে একজন হুমকি দেয়। এরপর গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুতুব উদ্দীন, রিকন ও মানিকসহ অজ্ঞাত ১৫-১৬ জন জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে চাঁদাদাবী করে। এসময় তার বুক, পিঠ ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেধড়ক কিল ঘুষি ও লাথি মারে। পরে তার মানিব্যাগ থেকে নগদ ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা।ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণ্যিজ্যের অভিযোগ তুলে অপর একটি পক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ওই কর্মকর্তার শেষ কর্মদিবস ছিলো। অফিসে বিদায় সংবর্ধনারও আয়োজন করা হয়েছিলো। তবে তার বিদায়ের খবর পেয়ে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি জেলা রেজিস্ট্রি অফিসে যান। সেখানে তারা বিদায়ের দিনেও জেলা রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আব্দুল মোতালেবকে ঘুষের টাকা গুণে নিতে দেখেন। এ সময় উত্তেজিত জনতা ওই কর্মকর্তাকে উত্তম-মধ্যম দেন।এ ঘটনায় জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুল মোতালেব বলেন, কেন এ ধরনের ঘটনা আমি নিজেও বুঝছি না। দামুড়হুদা অফিসের একটি দলিল লেখক লাইসেন্স, এটা প্রতি বছর নবায়ন করতে হয়। একজন লাইসেন্সধারী ঠিকমতো অফিসে আসেন না। তারটা গতবারে রিকুয়েস্ট করে নবায়ন করে নিয়েছে। তবে এবার আর আমি করিনি, তার জন্য এমন ঘটনা হতে পারে।অপরদিকে দামুড়হুদার দলিল লেখক কুতুব উদ্দীন বলেন, জেলা রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ আব্দুল মোতালেব একজন ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। আমার দলিল লেখকের নবায়ন বাবদ আড়াই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছেন। আমি দিতে অস্বীকার করায় তিনি নানাভাবে আমার ওপর প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছেন। হুমকি ধামকি দিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে এই কর্মকর্তার নামে অসংখ্য অভিযোগ। শত শত ভুক্তভোগী এই কর্মকর্তার দুর্নীতির জন্য বিপদগ্রস্থ। আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
প্রধান সম্পাদক : ফারুক হোসেন | ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোঃ মতিউর রহমান
নির্বাহী সম্পাদক : হাজী মোঃ লিয়াকত আলী,যুগ্ম-সম্পাদক: আব্দুল মালেক,যুগ্ম - সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন , ব্যুরো প্রধান: ফাহারিয়া ইসলাম( মুন) প্রেস এডিটর: মোঃ ফয়সাল হোসেন , মোঃ শান্ত।
যোগাযোগ ০১৭৬৫৮৮৪৪৪৯
দেশপ্রিয়২৪.কম