ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একমাত্র মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট (এক্স-রে) ডেপুটেশনে অন্যত্র কর্মরত থাকায় হাসপাতালের এক্স-রে মেশিনটি চালু করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় একদিকে মেশিনটি যেমন নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে, তেমনি এখানে সেবা নিতে আসা রোগীদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বাইরে এক্স-রে করাতে হচ্ছে।পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আব্দুর রহমান সোহান জানান, এ হাসপাতালের ৫০ এমএম ক্ষমতাসম্পন্ন এক্স-রে মেশিনটি জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছিল। ২০০৮ সালের ১১ জুলাই মেশিনটি অচল হয়ে যায়।দুজন প্রকৌশলী ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে এসে সেটি মেরামতের চেষ্টা করেন। কিন্তু মেরামত সম্ভব না হওয়ায় তাঁরা এটিকে অকেজো ঘোষণা করেন। এর পর থেকেই হাসপাতালে এক্স-রে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। মেশিন খারাপ থাকায় ২০১৩ সালের ২৪ নভেম্বর এই হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট আব্দুর শুকুরকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হয়।একই সঙ্গে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট আব্দুর রাজ্জাককে পীরগঞ্জ হাসপাতালে বদলি দিয়ে ডেপুটেশনে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেই কাজ করার আদেশ দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক। তখন থেকেই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেপুটেশনে কর্মরত আছেন আব্দুর রাজ্জাক। এদিকে দীর্ঘ ১৫ বছর পর গত বছরের ১৬ এপ্রিল পীরগঞ্জ হাসপাতালে একটি নতুন এক্স-রে মেশিন আনে কর্তৃপক্ষ। মেশিনটি এক্স-রে কক্ষে সেটআপও করা হয়।কিন্তু মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট আব্দুর রাজ্জাক ডেপুটেশনে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত থাকায় কার্যক্রম চালু করা যায়নি। আব্দুর রাজ্জাকের ডেপুটেশন বাতিল করে তাঁকে পীরগঞ্জে ফিরিয়ে দিতে এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁর ডেপুটেশন বাতিল করা হচ্ছে না। চিঠি দেওয়ার পরও ডেপুটেশন বাতিল না হওয়ায় রাজ্জাকের বেতন-ভাতা গত ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে।এদিকে নতুন এক্স-রে মেশিনটি স্থাপনের প্রায় এক বছর পার হলেও ব্যবহার না হওয়ায় সেটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।হাসপাতালের রোগীদেরও অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বাইরে থেকে এক্স-রে করতে হচ্ছে।পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল জব্বার বলেন, ‘মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টকে (্এক্স-রে) নিয়ে আমরা সমস্যায় আছি। নতুন এক্স-রে মেশিনটি চালানোর জন্য রাজ্জাকের ডেপুটেশন বাতিল করতে কর্তৃপক্ষের কাছে অনেকবার চিঠি দিয়েছি।’ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাফিজউদ্দীন আহম্মেদ জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।
প্রধান সম্পাদক : ফারুক হোসেন | ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোঃ মতিউর রহমান
নির্বাহী সম্পাদক : হাজী মোঃ লিয়াকত আলী,যুগ্ম-সম্পাদক: আব্দুল মালেক,যুগ্ম - সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন , ব্যুরো প্রধান: ফাহারিয়া ইসলাম( মুন) প্রেস এডিটর: মোঃ ফয়সাল হোসেন , মোঃ শান্ত।
যোগাযোগ ০১৭৬৫৮৮৪৪৪৯
দেশপ্রিয়২৪.কম