বর্তমান সময়ে সিনেমায় বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা যায়। এ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন পরিচালক জোয়া আখতার।সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সাহিত্য, চলচ্চিত্র নিয়ে নিজের ভালোলাগার কথা বলার সময় পর্দায় অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে জোয়া বলেন, ‘পর্দায় সম্মতিমূলক অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখানো দরকার। আমি এমন একটা সময়ে বড় হয়েছি, যখন দেখেছি পর্দায় মহিলাদের উত্ত্যক্ত করার দৃশ্য দেখানো হয়েছে।’এ পরিচালক বলেন, ‘মহিলাদের মারধর করা বা যৌন হেনস্থার দৃশ্যও খুব স্বাভাবিক ভাবে দেখানো হয়েছে। এই ধরনের দৃশ্য প্রদর্শনে কোনও বাধা ছিল না। অথচ একটা চুম্বনের দৃশ্য দেখাতে যত সমস্যা। মানুষকে প্রেম, স্নেহ, দু’জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে সুস্থ ভাবে তৈরি শারীরিক সম্পর্ক দেখতে দিতে হবে। ‘ক্যাটরিনার সঙ্গে দাম্পত্য কলহের কারণ জানালেন ভিকিদুই ক্রিকেটারের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল তামান্নার গর্ভে সন্তান জেনেও যে ‘বদভ্যাস’ ছাড়তে পারেননি রানি মুখার্জি পরিচালক হিসেবে জোয়া মনে করেন, প্রত্যেক ছবির ভিন্ন ভাষা রয়েছে। প্রত্যেক পরিচালকেরও গল্প বলার আলাদা ধরন রয়েছে। তার কথায়, ‘পুরুষদের নগ্নতা প্রদর্শন করতে ফরাসিরা আমেরিকা বাসীদের থেকে অনেক বেশি সাবলীল। শরীরের সঙ্গে ওদের সম্পর্কটা একেবারে অন্য রকম। এটা তাদের সংস্কৃতির মধ্যেই পড়ে। নিজের শরীর নিয়ে তারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। যৌনতাকে এবং নিজের শরীরকে কে কীভাবে দেখেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।’সাক্ষাৎকারের শেষে তিনি বলেন, ‘আমি যে ভাবে ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ তৈরি করেছি, তার থেকে একেবারে অন্য রকম ‘লাস্ট স্টোরিজ’। সুড়সুড়ি দেওয়ার জন্য প্রেমের দৃশ্য যদি দেখান, তা হলে সেটা অন্য বিষয়।’ কিন্তু সত্যি প্রেমের আবেগও পর্দায় তুলে ধরা যায়। আমি নিজে চার অক্ষরের অশ্লীল শব্দ বলি না। কিন্তু ‘ব্যান্ডইট কুইন’-এর মতো ছবিতে এমন কোনও শব্দ শুনলে আমি কিছু মনে করি না। কারণ এই শব্দ ব্যবহারের উদ্দেশ্য সুড়সুড়ি দেওয়া নয়।’
প্রধান সম্পাদক : ফারুক হোসেন | ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোঃ মতিউর রহমান
নির্বাহী সম্পাদক : হাজী মোঃ লিয়াকত আলী,যুগ্ম-সম্পাদক: আব্দুল মালেক,যুগ্ম - সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন , ব্যুরো প্রধান: ফাহারিয়া ইসলাম( মুন) প্রেস এডিটর: মোঃ ফয়সাল হোসেন , মোঃ শান্ত।
যোগাযোগ ০১৭৬৫৮৮৪৪৪৯
দেশপ্রিয়২৪.কম