গতকাল ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইবুনাল আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তারই প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে গণঅধিকার পরিষদের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শওকত হোসেন দেশপ্রিয় পত্রিকা কে জানানডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারা অসাংবিধানিক, এটা মানুষের মত প্রকাশ ও চিন্তার স্বাধীনতাকে হরণ করেছে তাছাড়া সংবিধানের সাথে সাংঘসিক আইন ও ধারা সবসময় বাতিল বলিয়া গণ্য হয় যাহা সংবিধানের ২৬ এর ১ অনুচ্ছেদে বর্ণনা আছে এ ব্যাপারে জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক ছয়টি মানবাধিকার সংস্থা ইতিপূর্বে এই আইন ও এই ধারা দুটি বাতিলের আহ্বান করেছেন। যাহা ব্যবহার করে বর্তমান সরকার অপজিশনকে দমন করতে চায়, আইনটি বর্তমানে বাতিল হয়ে গেলেও ওই ধারায় করা মামলাগুলো বাতিল না করে সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক এই ধারায় অদ্য ১৫/০৪/২০২৪ ইং চট্টগ্রামের বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইবুনাল আদালত ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের বিরুদ্ধে ২০২২ সনে করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করেছে যাহা সরকারের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করা ছাড়া কিছুই নয়,তাছাড়া যিনি মামলা করেছেন ইয়াসির আরাফাত তাহার কোন লুকাস স্ট্যান্ডি নেই এই মামলাটি করার,কেননা তাকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি, সরকার এর কর্মকান্ড নিয়ে মতপ্রকাশের অধিকার সংবিধানিক, তাছাড়াএই আইনটিতে সরকার কিংবা সরকারি দলকে প্রটেকশন দেওয়া হয়নি শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত, সার্বভৌমত্বক,কিংবা রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে বিরূপ মন্তব্যের প্রোটেকশন রাখা হয়েছে, বাস্তবিক অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কিংবা বাংলাদেশের মতো বহু দলীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকারের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করা, কিংবা সরকারি দলের সমালোচনা গণতন্ত্রের অন্যতম উপাদান , একদল অন্য দলের আলোচনা ও সমালোচনা করবে কিংবা মত প্রকাশ করবে এটাই গণতন্ত্র। কিন্তু বর্তমান সরকার, রাষ্ট্র ও সরকারকে এক করে ফেলছে এবং মামলা মোকদ্দমা দিয়ে জনগণের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে, যা আমাদের কারো কাম্য নয় এবং ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের জন্য এটা হুমকি স্বরুপ, তাই আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, সেই সঙ্গে সরকারকে গণতান্ত্রিক পথে ফিরে আসার আহ্বান করি।আল্লাহ সরকারকে সুবোধ ফিরিয়ে আনার তৌফিক দান করুন। সেইসঙ্গে হীন মানসিকতার মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।এর আগেগতকাল সোমবার চট্টগ্রাম আদালতে ডাকসুর সাবেক ভিপি গণ অধিকার পরিষদ এর সভাপতি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি।সোমবার (১৫ এপ্রিল) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবিরের আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে ২০২২ সালের ১৪ জুন নুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার ইয়াসির আরাফাত তানিম।আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এর প্রেক্ষিতে সিআইডির চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রো ইউনিটের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল করিম তদন্ত করে গত ৬ ফেব্রুয়ারি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে আসামির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (১), ২৯ (১) ও ৩১ ধারায় অপরাধ আমলে নিতে আবেদন করা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন বলেন, সিআইডির দাখিল করা প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আজ (সোমবার) নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছিল, আসামি নুরুল হম নুর ২০২২ সালের ১ জুন বাংলাদেশ ছাত্র যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে সমাবেশ করেন। এতে নুর নিজেই ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে গুন্ডালীগ বলে আখ্যায়িত করেন। একই সমাবেশে নুর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুনি এবং তৎকালীন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে চট্টগ্রামের আরেক গুন্ডা, উন্মাদ বলে মন্তব্য করেন।
প্রধান সম্পাদক : ফারুক হোসেন | ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোঃ মতিউর রহমান
নির্বাহী সম্পাদক : হাজী মোঃ লিয়াকত আলী,যুগ্ম-সম্পাদক: আব্দুল মালেক,যুগ্ম - সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন , ব্যুরো প্রধান: ফাহারিয়া ইসলাম( মুন) প্রেস এডিটর: মোঃ ফয়সাল হোসেন , মোঃ শান্ত।
যোগাযোগ ০১৭৬৫৮৮৪৪৪৯
দেশপ্রিয়২৪.কম