তক্ষক(Gekko gecko)
দক্ষিণ এশিয়ায় বিপর্যস্ত একটি প্রাণীর নাম তক্ষক। প্রায় বিলুপ্ত প্রানীটির ব্যাপক নিধনই বিপন্ন হওয়ার কারণ। ভুলক্রমে তক্ষককে অনেকে বিষাক্ত সরীসৃপ হিসেবে চিহ্নিত করে। বাংলাদেশসহ মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, লাওস, কাম্পুচিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীন ও ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশে প্রায় ৬০০ প্রজাতির তক্ষকের বাস।
জানেন তক্ষকের দাম কত এবং কেন এটা এতো দামী?
সাধারণত ওজন ও বয়সভেদে তক্ষকের দাম বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সিন্ডিকেট হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি ৩০০ গ্রাম ওজনের তক্ষকের দাম ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৭ কোটি টাকারও বেশি।
এশিয়ান প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ও আধুনিক চিকিৎসায় হাঁপানি, এইডস, ক্যান্সারের ওষুধ তৈরিতে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। কার্যত এ ঔষধ ও পরীক্ষা ফলপ্রসূ না হলেও তক্ষকের বিলুপ্তি ও শিকার চলছে অবৈধভাবে এবং অহরহ।
তক্ষকের পিঠের দিক ধূসর, নীলচে-ধূসর বা নীলচে বেগুনি-ধূসর। সারা শরীরে থাকে লাল ও সাদাটে ধূসর ফোঁটা থাকে।
তক্ষক রাতে খুব পরিষ্কার দেখতে পায়। তক্ষকের অক্ষিগোলকে ট্রান্সপারেন্ট মেমব্রেন থাকে যা তাকে মানুষের চেয়ে ৩৫০ গুণ বেশি দৃষ্টিসম্পন্ন করেছে। অন্যান্য আত্মরক্ষী প্রাণীদের মতো তক্ষকের ইন্দ্রিয়ক্ষমতা দাপুটে। এটির শরীরের লেজ, দাঁত, পা প্রভৃতি কোনোভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও তা আবার প্রাকৃতিকভাবে গজাতে পারে।
তক্ষক কেনা-বেচা আন্তজার্তিকভাবে অবৈধ। বাংলাদেশে তক্ষক কেনা-বেচা বা তক্ষক অবৈধভাবে সংরক্ষণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
রামিসা ইসলাম
সহ-সাংগঠক:The wild save organisation
প্রধান সম্পাদক : ফারুক হোসেন | ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোঃ মতিউর রহমান
নির্বাহী সম্পাদক : হাজী মোঃ লিয়াকত আলী,যুগ্ম-সম্পাদক: আব্দুল মালেক,যুগ্ম - সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন , ব্যুরো প্রধান: ফাহারিয়া ইসলাম( মুন) প্রেস এডিটর: মোঃ ফয়সাল হোসেন , মোঃ শান্ত।
যোগাযোগ ০১৭৬৫৮৮৪৪৪৯
দেশপ্রিয়২৪.কম