ঢাকা ০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মর্যাদার প্রতীক—জিয়া পরিবার বাংলাদেশের সামাজিক সংস্কৃতিতে এক অনন্য উদাহরণ দাদুর পক্ষ থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা—দেশবাসী কাছে দোয়া চেয়েছেন জাইমা রহমান ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়নের দাবি তৃণমূলে: এডভোকেট আবেদ রাজার প্রতি অগ্রাধিকার চায় কর্মীরা ডা. জুবাইদা রহমান সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে বিশেষজ্ঞ দল উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়া প্রস্তুতি—আগামীকাল ঢাকায় আসছেন ডা. জুবাইদা রহমান গরিব-দুঃখী মানুষের গল্পে মানবতার ছোঁয়া—শেরপুরে ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কার গণসংযোগ হে আল্লাহ দয়াময়, তুমি সকল কিছুর মালিক। আমার মা জননী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির করিয়া দেও :তারেক রহমান হার না মানা সংগ্রামের নাম— খালেদা জিয়া বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দেশজুড়ে প্রার্থনার বন্যা এভারকেয়ার হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে তিন বাহিনীর প্রধান

দায় শুধু এখন আওয়ামী লীগের

প্রতিনিধির নাম
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:২৮:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩ ১৪৭ বার পড়া হয়েছে
আগামী মে-জুন মাসের মধ্যে তিন ধাপে পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল বিএনপি এ সমস্ত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে। শুধু সিটি করপোরেশন নির্বাচন নয়, তারা (বিএনপি) আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন আর কোনো নির্বাচনই না করার ঘোষণা করেছে। বিএনপির অভিযোগ আওয়ামী লীগ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোটার সংখ্যার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। তাদের (বিএনপি) এ সমস্ত নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ছিল না। ফলে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক এবং সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ আওয়ামী লীগের জন্য এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যেখানে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং সবাই ভোট দিতে পারবে।
বিএনপির ঘোষণা অনুযায়ী আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না এটা এখন পর্যন্ত মোটামুটি নিশ্চিত। আর সেজন্য আসন্ন সিটি করপোরেশন আওয়ামী লীগের জন্য হারা-জেতা কোনো বিষয় নয়। এই নির্বাচনগুলো আওয়ামী লীগের জন্য হবে আস্থা ফেরানোর নির্বাচন। আওয়ামী লীগ যদি আসন্ন নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু অবাধ করতে পারে তাহলে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্য প্রমাণ করতে পারবে, বলতে পারবে যে বিএনপির করা অভিযোগ সত্য নয়, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। তখন আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বিএনপি আন্তর্জাতিকভাবে চাপের মুখে পড়বে।
বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ নাও করে কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি এ সমস্ত নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে পারে তাহলে সেটি হবে আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় অর্জন। আন্তর্জাতিক মহলে এটি প্রতিষ্ঠিত হবে যে বিএনপি ছাড়াও দেশে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হয়। ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আওয়ামী লীগের যেমন ভাবমূর্তি বাড়বে তেমনি উল্টো চাপের মুখে পড়বে বিএনপি। ফলে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যদি বিএনপি নাও আসে কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অনেকটা বাধ্য হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। ফলে এখন আওয়ামী লীগের দায়িত্ব আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো যেকোনো মূল্যে অবাধ সুষ্ঠু করা। এখন আওয়ামী লীগ কি করবে সেই দায় শুধু আওয়ামী লীগের। সুত্র: বাংলা ইনসাইডার

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দায় শুধু এখন আওয়ামী লীগের

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:২৮:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
আগামী মে-জুন মাসের মধ্যে তিন ধাপে পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল বিএনপি এ সমস্ত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে। শুধু সিটি করপোরেশন নির্বাচন নয়, তারা (বিএনপি) আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন আর কোনো নির্বাচনই না করার ঘোষণা করেছে। বিএনপির অভিযোগ আওয়ামী লীগ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোটার সংখ্যার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। তাদের (বিএনপি) এ সমস্ত নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ছিল না। ফলে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক এবং সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ আওয়ামী লীগের জন্য এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। যেখানে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং সবাই ভোট দিতে পারবে।
বিএনপির ঘোষণা অনুযায়ী আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না এটা এখন পর্যন্ত মোটামুটি নিশ্চিত। আর সেজন্য আসন্ন সিটি করপোরেশন আওয়ামী লীগের জন্য হারা-জেতা কোনো বিষয় নয়। এই নির্বাচনগুলো আওয়ামী লীগের জন্য হবে আস্থা ফেরানোর নির্বাচন। আওয়ামী লীগ যদি আসন্ন নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু অবাধ করতে পারে তাহলে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্য প্রমাণ করতে পারবে, বলতে পারবে যে বিএনপির করা অভিযোগ সত্য নয়, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। তখন আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বিএনপি আন্তর্জাতিকভাবে চাপের মুখে পড়বে।
বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ নাও করে কিন্তু আওয়ামী লীগ যদি এ সমস্ত নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে পারে তাহলে সেটি হবে আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় অর্জন। আন্তর্জাতিক মহলে এটি প্রতিষ্ঠিত হবে যে বিএনপি ছাড়াও দেশে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু হয়। ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আওয়ামী লীগের যেমন ভাবমূর্তি বাড়বে তেমনি উল্টো চাপের মুখে পড়বে বিএনপি। ফলে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যদি বিএনপি নাও আসে কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অনেকটা বাধ্য হবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। ফলে এখন আওয়ামী লীগের দায়িত্ব আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো যেকোনো মূল্যে অবাধ সুষ্ঠু করা। এখন আওয়ামী লীগ কি করবে সেই দায় শুধু আওয়ামী লীগের। সুত্র: বাংলা ইনসাইডার