নদীতে নৌ বাহিনীর অভিযানে বাকেরগঞ্জের পাণ্ডব , ২টি ট্রলার সহ  ১১জন আটক

বরিশাল, বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠী ইউনিয়নের দক্ষিণ সাদিশ গ্রাম সংলগ্ন পাণ্ডব তীরবর্তী সরকারি রাস্তার কৃষি জমি। সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী। মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করে আসছে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী। দুর্বৃত্ত দলের এই অনৈতিক ম্যানেজ করে চালাচ্ছে সবকিছু গডফাদার স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং তাদের সহায়তায় । উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করলেও কোনো রকম আইনের তোয়াক্কা না করে অথচ টাকার পাহাড় বানিয়েছে কৃষি জমি কেটে বর্গফুট হিসেবে। একসময় এরা দিন আনতো দিন খেতো। দেশের প্রথম সারির প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিভিন্ন সময় সংবাদ প্রকাশ করার পরও অজ্ঞাত কারণে এরা ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে অপকর্ম দলীয় পদ পদবি ব্যবহার করে এমনকি সময় টেলিভিশনে এলাকাবাসীর মানববন্ধনসহ গডফাদার ও দুর্বৃত্তদের নাম প্রকাশ হলেও তারা নিবৃত হয় নাই। প্রতি রাতে ভেঁকু ও ট্রলারের সাহায্যে গ্রামটির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করে যার আনুমানিক মূল্য ৩/৪ লক্ষ টাকা। মাটি কাটার সময় ২০/২৫ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ পাহারা দেয় ফলে গ্রামবাসী ভয়ে রাতে ঘরের বাহিরে বের হয় না। ইতোমধ্যে গ্রামের ৬০ শতাংশ মাটি বিক্রি করেছে চোরের দল। ৪০ এর অধিক ইটভাটা উল্লেখ্য এই ইউনিয়নে বৈধ-অবৈধতাদের কাঁচামাল মাটির একটি বড় অংশের যোগান হয় এই গ্রামের মাটি থেকে। ভীত সন্ত্রস্ত গ্রামবাসী যখন সমস্ত আশা ভরসা ছেড়ে দিয়েছেন তখনই নৌ পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ দ্বীন-ই আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য অভিযান চালিয়ে ২টি মাটি কাটার ট্রলারসহ মাটিকাটার সরঞ্জামাদি জব্দ করে কিন্তু দুর্বৃত্তরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উপস্থিত গ্রামবাসীদের তথ্যমতে পুলিশ কর্মকতা একটি মামলা দায়ের করেন ( জি আর কেস নং ২৮৩/২০২৩, বিট নং ১২)। আসামিরা হলেন দক্ষিণ সাদিশ গ্রামের জাকির হোসেন জোমাদ্দার ( বাবুল জোমাদ্দার), মোঃ দুলাল, মোঃ আলমগীর, মোঃ শামীম শরীফ,দুলাল, মোঃ মানিক, মোঃ জসিম।মোঃ আব্বাছ,

বাগদিয়া গ্রামের লিটন বাদশা, তুহিন, মোঃ মজিবর ও মামুন। এবং নলুয়া ইউনিয়নের।