“নর্তকি সংসদে যেতে পারলে রিকশাচালক কেন পারবে না”—ঢাকা-৮ এনসিপির মনোনয়ন পাওয়া রিকশাচালক সুজনের লড়াই

- নিউজ প্রকাশের সময় : ১০:২৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫ ২৬ বার পড়া হয়েছে

রিপোর্টার: ফয়সাল হোসেন
ঢাকা-৮ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি ব্যতিক্রমী নাম এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু—রিকশাচালক সুজন। সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হয়ে উঠে আসা এই প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন ন্যাশনাল কনজিউমার পার্টি (এনসিপি) থেকে। মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকার সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ছড়িয়েছে আগ্রহ ও ইতিবাচক আলোচনা।
মনোনয়ন পাওয়ার পর সুজন বলেন,
“কোনো নর্তকি যদি সংসদে জায়গা পায়, তাহলে আমার মতো একজন পরিশ্রমী রিকশাচালক কেন পারবে না! আমি তো মানুষের সেবা করি প্রতিদিন। সংসদে গিয়েও সেই কাজটাই করবো—মানুষের কথা বলবো, মানুষের অধিকার রক্ষা করবো।”
দীর্ঘদিন ধরে রিকশা চালিয়েই জীবিকা নির্বাহ করছেন সুজন। শহরের রাস্তা-ঘাট আর মানুষের সুখ-দুঃখ তার নিত্যসঙ্গী। জীবনের কষ্ট, সংগ্রাম আর অসীম চ্যালেঞ্জ তাকে রাজনীতিতে আসার সাহস দিয়েছে। তার মতে, জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি হতে হলে তাদের ঘামঝরা পথচলা জানতে হবে, তাদের ব্যথা বুঝতে হবে।
সুজনের মনোনয়ন পাওয়ার পর স্থানীয় সাধারণ মানুষও নিজেদের মত প্রকাশ করছেন। অনেকেই বলছেন, সমাজের নিচু স্তর থেকে উঠে আসা এমন একজন প্রার্থী দেশের রাজনীতিতে নতুন ধারা তৈরি করতে পারে। কেউ কেউ আবার তাঁকে “গরিবের প্রতিনিধি” হিসেবে দেখছেন।
এনসিপি নেতৃবৃন্দ জানান, সুজন একজন পরিচ্ছন্ন, পরিশ্রমী ও মানবিক মানুষ। সাধারণ মানুষের অধিকার এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার প্রতিশ্রুতি তাকে প্রার্থী করার অন্যতম কারণ।
আগামী নির্বাচনে সুজনের প্রচারণা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। রিকশা চালাতে চালাতেই তিনি মানুষের সাথে কথা বলছেন, শোনাচ্ছেন নিজের পরিকল্পনা ও স্বপ্ন। তার ভাষায়—
“আমি বড় নেতা হতে চাই না। আমি শুধু মানুষের সবচেয়ে কাছের মানুষ হতে চাই।”
ঢাকা-৮ আসনে এই ব্যতিক্রমী প্রার্থীর লড়াই এখন কৌতূহল, আলোচনা ও আশার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।



















