ঢাকা ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
‎দাঁড়িপাল্লায় ভোট চেয়ে জামায়াতের নেতাকর্মীদের  মোটরসাইকেল মাধ্যমে লং বহর ‎ ‎মোঃ আল আমীন ‎ভোলা জেলা প্রতিনিধি ‎ ‎আজ ভোলার মনপুরায় ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন কে সামনে রেখে ভোলা-৪ আসেনর জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামালের নির্বাচনী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। ‎শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকালে উপজেলা দক্ষিণ সাকুচিয়া জনতা বাজার থেকে শোভাযাত্রাটি বের করা হয়। এতে হাজারও নেতাকর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। পরে শোভাযাত্রাটি নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ১নং মনপুরা ইউনিয়নের নতুন বাজার  গিয়ে শেষ হয়। এতে আগত কর্মী-সমর্থকরা তাদের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন বলে জানান। ‎শোভাযাত্রায় প্রার্থীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি ও মনপুরা উপজেলার সাবেক আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আমির মাওলানা আহসানুল হক জসিম, সেক্রেটারি মাওলানা আলাউদ্দিন ফরাজি, মনপুরা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা শামসুউদিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা ইউনুস, শুরা ও কর্মপরিষদের সদস্য হাফেজ মতিউর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ‎পরে রামনেওয়া নতুন বাজার জামায়াতে ইসলামী ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে  এক সংক্ষিপ্ত পথ সভায় উদ্বোধনী বক্তব্যে ভোলা জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, আজকের এই বিশাল শোভাযাত্রা কোন প্রদর্শনেচ্ছার বিষয় নয়, এটি হচ্ছে ইসলামের পক্ষের গণজাগরণ। দুনিয়াবী সকল মতবাদের কাছে নিরাশ হয়ে মানুষ এখন ইসলামের পক্ষেই ফিরে আসছে, এটি তার বাস্তব প্রমাণ। আমরা আশা করছি- আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ, আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায় এবং ইনসাফের। ‎পরে সমাপনী বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা জামায়াতে ইসলামী সাবেক আমির ও ভোলা -৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল। ‎ তিনি বলেন, ভোলা-৪ আসনে ইসলামের পক্ষে তথা দাঁড়িপাল্লার পক্ষে যে, গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। তার সুফল সকল ইসলামী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঘরে তুলতে হবে।এই আসনের প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে। ‎আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লার বিজয়ের মাধ্যমে বিগত সময়ের অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করে চরফ্যাশন -মনপুরাকে দেশের একটি মডেল আসন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। ‎রাস্তা দিয়ে বিশাল বহর যাওয়ার সময় উৎসুক এলাকাবাসী হাত নেড়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মিদের অভিনন্দন জানায়। গ্রামগঞ্জে বিভিন্ন বাড়ি থেকে শিশু কিশোর ও যুবকরা এতে যোগ দেয়। দাড়িপাল্লার স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় প্রতিটি এলাকা। এ সময় গ্রামের নারীরাও তাদের ঘর থেকে বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অবলোকন করেন। ‎ মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অংশ নেয়া প্রত্যেকের গায়ে ছিল বিশেষ স্লোগানযুক্ত গেঞ্জি। সুশৃঙ্খলভাবে একটি সাড়িতে শত শত মোটরসাইকেল যেন এক ভিন্ন দৃশ্যের অবতারণা করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জামায়াতের এই শৃঙ্খলার ভুয়সী প্রশংসা করেন। ‎তারা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে জামায়াত যেভাবে মানুষের পাশে দাড়িয়েছে এবং নিজেদেরকে বিতর্কিত কর্মকান্ড থেকে দুরে রেখেছে তাতে দেশজুড়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এসব বিবেচনায় নিরপেক্ষ নির্বাচনে পাল্টে যেতে পারে ভোটের সব হিসাব। ‎ ‎ ‎ শেরপুর সদর-১ আসনে ড. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কাকে বাসফোর পরিষদের ফুলেল শুভেচ্ছা “মাত্র ১০ সেকেন্ডের ভূ/মি/কম্পেই মানুষের অসহায়ত্ব প্রমাণ—জমিনের মালিক একমাত্র আল্লাহ” ভূ/মি/কম্প: মানুষের জন্য এক সতর্কবার্তা ভূমিকম্পে কাঁপল রাজধানী ঢাকা কেরানীগঞ্জ আশেপাশের এলাকা সহ ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সারা দেশ ঢাকা–কেরানীগঞ্জসহ সর্বত্র আতঙ্ক “নর্তকি সংসদে যেতে পারলে রিকশাচালক কেন পারবে না”—ঢাকা-৮ এনসিপির মনোনয়ন পাওয়া রিকশাচালক সুজনের লড়াই শেরপুরে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ওষুধ বিতরণ বাকেরগঞ্জ, বরিশাল-৬ আসন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ধানের শীষের মনোনয়ন প্রার্থী : জনাব আবুল হোসেন খান দীর্ঘ ৪০ বছরের যে উন্নয়ন হয়নি মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা, বরিশাল- ৪ আসনে আমি মনে করি আমার হাত দিয়ে সেই উন্নয়ন গুলি হবে যদি আমি জাতীয় সংসদে যেতে পারি : রাজিব আহসান

“নর্তকি সংসদে যেতে পারলে রিকশাচালক কেন পারবে না”—ঢাকা-৮ এনসিপির মনোনয়ন পাওয়া রিকশাচালক সুজনের লড়াই

রিপোর্টার: ফয়সাল হোসেন
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ১০:২৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫ ২৬ বার পড়া হয়েছে

রিপোর্টার: ফয়সাল হোসেন

ঢাকা-৮ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি ব্যতিক্রমী নাম এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু—রিকশাচালক সুজন। সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হয়ে উঠে আসা এই প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন ন্যাশনাল কনজিউমার পার্টি (এনসিপি) থেকে। মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকার সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ছড়িয়েছে আগ্রহ ও ইতিবাচক আলোচনা।
মনোনয়ন পাওয়ার পর সুজন বলেন,
“কোনো নর্তকি যদি সংসদে জায়গা পায়, তাহলে আমার মতো একজন পরিশ্রমী রিকশাচালক কেন পারবে না! আমি তো মানুষের সেবা করি প্রতিদিন। সংসদে গিয়েও সেই কাজটাই করবো—মানুষের কথা বলবো, মানুষের অধিকার রক্ষা করবো।”
দীর্ঘদিন ধরে রিকশা চালিয়েই জীবিকা নির্বাহ করছেন সুজন। শহরের রাস্তা-ঘাট আর মানুষের সুখ-দুঃখ তার নিত্যসঙ্গী। জীবনের কষ্ট, সংগ্রাম আর অসীম চ্যালেঞ্জ তাকে রাজনীতিতে আসার সাহস দিয়েছে। তার মতে, জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি হতে হলে তাদের ঘামঝরা পথচলা জানতে হবে, তাদের ব্যথা বুঝতে হবে।
সুজনের মনোনয়ন পাওয়ার পর স্থানীয় সাধারণ মানুষও নিজেদের মত প্রকাশ করছেন। অনেকেই বলছেন, সমাজের নিচু স্তর থেকে উঠে আসা এমন একজন প্রার্থী দেশের রাজনীতিতে নতুন ধারা তৈরি করতে পারে। কেউ কেউ আবার তাঁকে “গরিবের প্রতিনিধি” হিসেবে দেখছেন।
এনসিপি নেতৃবৃন্দ জানান, সুজন একজন পরিচ্ছন্ন, পরিশ্রমী ও মানবিক মানুষ। সাধারণ মানুষের অধিকার এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার প্রতিশ্রুতি তাকে প্রার্থী করার অন্যতম কারণ।
আগামী নির্বাচনে সুজনের প্রচারণা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। রিকশা চালাতে চালাতেই তিনি মানুষের সাথে কথা বলছেন, শোনাচ্ছেন নিজের পরিকল্পনা ও স্বপ্ন। তার ভাষায়—
“আমি বড় নেতা হতে চাই না। আমি শুধু মানুষের সবচেয়ে কাছের মানুষ হতে চাই।”
ঢাকা-৮ আসনে এই ব্যতিক্রমী প্রার্থীর লড়াই এখন কৌতূহল, আলোচনা ও আশার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‎দাঁড়িপাল্লায় ভোট চেয়ে জামায়াতের নেতাকর্মীদের  মোটরসাইকেল মাধ্যমে লং বহর ‎ ‎মোঃ আল আমীন ‎ভোলা জেলা প্রতিনিধি ‎ ‎আজ ভোলার মনপুরায় ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন কে সামনে রেখে ভোলা-৪ আসেনর জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামালের নির্বাচনী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। ‎শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকালে উপজেলা দক্ষিণ সাকুচিয়া জনতা বাজার থেকে শোভাযাত্রাটি বের করা হয়। এতে হাজারও নেতাকর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। পরে শোভাযাত্রাটি নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ১নং মনপুরা ইউনিয়নের নতুন বাজার  গিয়ে শেষ হয়। এতে আগত কর্মী-সমর্থকরা তাদের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন বলে জানান। ‎শোভাযাত্রায় প্রার্থীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি ও মনপুরা উপজেলার সাবেক আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আমির মাওলানা আহসানুল হক জসিম, সেক্রেটারি মাওলানা আলাউদ্দিন ফরাজি, মনপুরা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা শামসুউদিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা ইউনুস, শুরা ও কর্মপরিষদের সদস্য হাফেজ মতিউর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ‎পরে রামনেওয়া নতুন বাজার জামায়াতে ইসলামী ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে  এক সংক্ষিপ্ত পথ সভায় উদ্বোধনী বক্তব্যে ভোলা জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, আজকের এই বিশাল শোভাযাত্রা কোন প্রদর্শনেচ্ছার বিষয় নয়, এটি হচ্ছে ইসলামের পক্ষের গণজাগরণ। দুনিয়াবী সকল মতবাদের কাছে নিরাশ হয়ে মানুষ এখন ইসলামের পক্ষেই ফিরে আসছে, এটি তার বাস্তব প্রমাণ। আমরা আশা করছি- আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ, আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায় এবং ইনসাফের। ‎পরে সমাপনী বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা জামায়াতে ইসলামী সাবেক আমির ও ভোলা -৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল। ‎ তিনি বলেন, ভোলা-৪ আসনে ইসলামের পক্ষে তথা দাঁড়িপাল্লার পক্ষে যে, গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। তার সুফল সকল ইসলামী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঘরে তুলতে হবে।এই আসনের প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে। ‎আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লার বিজয়ের মাধ্যমে বিগত সময়ের অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করে চরফ্যাশন -মনপুরাকে দেশের একটি মডেল আসন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। ‎রাস্তা দিয়ে বিশাল বহর যাওয়ার সময় উৎসুক এলাকাবাসী হাত নেড়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মিদের অভিনন্দন জানায়। গ্রামগঞ্জে বিভিন্ন বাড়ি থেকে শিশু কিশোর ও যুবকরা এতে যোগ দেয়। দাড়িপাল্লার স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় প্রতিটি এলাকা। এ সময় গ্রামের নারীরাও তাদের ঘর থেকে বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অবলোকন করেন। ‎ মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অংশ নেয়া প্রত্যেকের গায়ে ছিল বিশেষ স্লোগানযুক্ত গেঞ্জি। সুশৃঙ্খলভাবে একটি সাড়িতে শত শত মোটরসাইকেল যেন এক ভিন্ন দৃশ্যের অবতারণা করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জামায়াতের এই শৃঙ্খলার ভুয়সী প্রশংসা করেন। ‎তারা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে জামায়াত যেভাবে মানুষের পাশে দাড়িয়েছে এবং নিজেদেরকে বিতর্কিত কর্মকান্ড থেকে দুরে রেখেছে তাতে দেশজুড়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এসব বিবেচনায় নিরপেক্ষ নির্বাচনে পাল্টে যেতে পারে ভোটের সব হিসাব। ‎ ‎ ‎

“নর্তকি সংসদে যেতে পারলে রিকশাচালক কেন পারবে না”—ঢাকা-৮ এনসিপির মনোনয়ন পাওয়া রিকশাচালক সুজনের লড়াই

নিউজ প্রকাশের সময় : ১০:২৪:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

রিপোর্টার: ফয়সাল হোসেন

ঢাকা-৮ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একটি ব্যতিক্রমী নাম এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু—রিকশাচালক সুজন। সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হয়ে উঠে আসা এই প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন ন্যাশনাল কনজিউমার পার্টি (এনসিপি) থেকে। মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকার সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ছড়িয়েছে আগ্রহ ও ইতিবাচক আলোচনা।
মনোনয়ন পাওয়ার পর সুজন বলেন,
“কোনো নর্তকি যদি সংসদে জায়গা পায়, তাহলে আমার মতো একজন পরিশ্রমী রিকশাচালক কেন পারবে না! আমি তো মানুষের সেবা করি প্রতিদিন। সংসদে গিয়েও সেই কাজটাই করবো—মানুষের কথা বলবো, মানুষের অধিকার রক্ষা করবো।”
দীর্ঘদিন ধরে রিকশা চালিয়েই জীবিকা নির্বাহ করছেন সুজন। শহরের রাস্তা-ঘাট আর মানুষের সুখ-দুঃখ তার নিত্যসঙ্গী। জীবনের কষ্ট, সংগ্রাম আর অসীম চ্যালেঞ্জ তাকে রাজনীতিতে আসার সাহস দিয়েছে। তার মতে, জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি হতে হলে তাদের ঘামঝরা পথচলা জানতে হবে, তাদের ব্যথা বুঝতে হবে।
সুজনের মনোনয়ন পাওয়ার পর স্থানীয় সাধারণ মানুষও নিজেদের মত প্রকাশ করছেন। অনেকেই বলছেন, সমাজের নিচু স্তর থেকে উঠে আসা এমন একজন প্রার্থী দেশের রাজনীতিতে নতুন ধারা তৈরি করতে পারে। কেউ কেউ আবার তাঁকে “গরিবের প্রতিনিধি” হিসেবে দেখছেন।
এনসিপি নেতৃবৃন্দ জানান, সুজন একজন পরিচ্ছন্ন, পরিশ্রমী ও মানবিক মানুষ। সাধারণ মানুষের অধিকার এবং দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ার প্রতিশ্রুতি তাকে প্রার্থী করার অন্যতম কারণ।
আগামী নির্বাচনে সুজনের প্রচারণা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। রিকশা চালাতে চালাতেই তিনি মানুষের সাথে কথা বলছেন, শোনাচ্ছেন নিজের পরিকল্পনা ও স্বপ্ন। তার ভাষায়—
“আমি বড় নেতা হতে চাই না। আমি শুধু মানুষের সবচেয়ে কাছের মানুষ হতে চাই।”
ঢাকা-৮ আসনে এই ব্যতিক্রমী প্রার্থীর লড়াই এখন কৌতূহল, আলোচনা ও আশার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।