ঢাকা ০৯:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জেলা বিএনপি আহবায়ক এড.মান্নানের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়। অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে।

পদত্যাগ করলেন ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৩ নেতা।

রিপোর্টারঃ- লাকি আক্তার
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৪:৫৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩ ৩১৮ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন ও লেজুড়বৃত্তিক অবস্থানের অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সব নেতা একযোগে পদত্যাগ করেছেন।

রোববার (২৩ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আসিফ মাহমুদ
সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আসিফ মাহমুদ। এসময় সাধারণ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুসরাত তাবাসসুমসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গড়ে ওঠা একটি ছাত্র সংগঠন। কোনো দলীয় লেজুড়বৃত্তি না করে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার থাকাই ছিল যার অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠার ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্রের প্রস্তাবনা ও অনুচ্ছেদ ৮ (লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য) এর ১নং ধারায় দলীয় দাসত্ব ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির বাইরে স্বাধীন ধারায় ছাত্র রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করার কথা বলা হয়েছে।গত ১০-০৭-২০২৩, ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্রের প্রস্তাবনা ও অনুচ্ছেদ ৮ এর ১ নং ধারা লঙ্ঘন করে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক গণঅধিকার পরিষদের লেজুড়বৃত্তি করার অভিযোগ উত্থাপন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।’
তিনি আরও বলেন, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করায়, গঠনতান্ত্রিকভাবে তাদের পদ শুন্য হলেও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্ৰীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব। অভিযোগ পরবর্তী গত দুই সপ্তাহেও কেন্দ্রীয় পরিষদ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠার ঘোষণাপত্র ও ছাত্র সমাজের প্রতি প্রতিশ্রুত আদর্শের বিচ্যুতি ঘটেছে বলে আমরা মনে করি।

পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, এমতাবস্থায় লেজুড়বৃত্তিহীন ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠার আদর্শ ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা একযোগে পদত্যাগ করছি।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, আমরা ছাত্র অধিকার পরিষদ যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছিলাম- শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করা, তাদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার থাকা, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সাধারণ জণগণের পক্ষে কথা বলাসহ ইত্যাদি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারছি না। যে কারণে আমাদের মনে হয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় দুই নেতা তাদের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করেননি এবং লেজুড়বৃত্তিক কার্যক্রম বন্ধ করতে পারেননি। সে পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করাকেই আমরা সমাধান মনে করছি। তবে আমরা ব্যানার ছাড়াই শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলবো।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে ঢাবি শাখার অন্তঃকোন্দলের কথা শোনা যাচ্ছিল। কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিলে তাদের কেন্দ্রীয় পদ শূন্য হয়েছে মর্মে জানতে চায় ঢাবি কমিটির নেতারা। পরবর্তী সময়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করতে চাইলেও কেন্দ্রীয় কমিটির অবহেলা ও সিদ্ধান্ত জানাতে সময়ক্ষেপণ করায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পদত্যাগ করলেন ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৩ নেতা।

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৪:৫৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০২৩

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন ও লেজুড়বৃত্তিক অবস্থানের অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সব নেতা একযোগে পদত্যাগ করেছেন।

রোববার (২৩ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আসিফ মাহমুদ
সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আসিফ মাহমুদ। এসময় সাধারণ সম্পাদক আহনাফ সাঈদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুসরাত তাবাসসুমসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গড়ে ওঠা একটি ছাত্র সংগঠন। কোনো দলীয় লেজুড়বৃত্তি না করে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার থাকাই ছিল যার অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠার ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্রের প্রস্তাবনা ও অনুচ্ছেদ ৮ (লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য) এর ১নং ধারায় দলীয় দাসত্ব ও লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির বাইরে স্বাধীন ধারায় ছাত্র রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে ছাত্রদের যৌক্তিক দাবি ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করার কথা বলা হয়েছে।গত ১০-০৭-২০২৩, ঘোষণাপত্র, গঠনতন্ত্রের প্রস্তাবনা ও অনুচ্ছেদ ৮ এর ১ নং ধারা লঙ্ঘন করে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক গণঅধিকার পরিষদের লেজুড়বৃত্তি করার অভিযোগ উত্থাপন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।’
তিনি আরও বলেন, গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করায়, গঠনতান্ত্রিকভাবে তাদের পদ শুন্য হলেও সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্ৰীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব। অভিযোগ পরবর্তী গত দুই সপ্তাহেও কেন্দ্রীয় পরিষদ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠার ঘোষণাপত্র ও ছাত্র সমাজের প্রতি প্রতিশ্রুত আদর্শের বিচ্যুতি ঘটেছে বলে আমরা মনে করি।

পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, এমতাবস্থায় লেজুড়বৃত্তিহীন ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠার আদর্শ ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা একযোগে পদত্যাগ করছি।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, আমরা ছাত্র অধিকার পরিষদ যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছিলাম- শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করা, তাদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার থাকা, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সাধারণ জণগণের পক্ষে কথা বলাসহ ইত্যাদি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারছি না। যে কারণে আমাদের মনে হয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় দুই নেতা তাদের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করেননি এবং লেজুড়বৃত্তিক কার্যক্রম বন্ধ করতে পারেননি। সে পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করাকেই আমরা সমাধান মনে করছি। তবে আমরা ব্যানার ছাড়াই শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলবো।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে ঢাবি শাখার অন্তঃকোন্দলের কথা শোনা যাচ্ছিল। কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিলে তাদের কেন্দ্রীয় পদ শূন্য হয়েছে মর্মে জানতে চায় ঢাবি কমিটির নেতারা। পরবর্তী সময়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করতে চাইলেও কেন্দ্রীয় কমিটির অবহেলা ও সিদ্ধান্ত জানাতে সময়ক্ষেপণ করায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা।