পাঁচ দিনের রিমান্ডে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
- নিউজ প্রকাশের সময় : ০৪:৩৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩ ১২৩ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তারের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (১ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ রিমান্ড শুনানির সময় মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। শুধু বিএনপিকে নয়, আওয়ামী লীগকেও নেতৃত্বশূন্য করে দিতে চায়। একসময় দেশ নেতৃত্বশূন্য হয়ে যাবে। আমি ভবিষ্যৎবাণী বলে দিলাম।
এদিন মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার রহস্য উদঘাটন, পলাতক ও অজ্ঞাত আসামিদের প্রকৃত নাম-ঠিকানা সংগ্রহের জন্য তার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মো. নুরুল ইসলাম। দেশের নেতৃত্ব নিয়ে আদালতে ভবিষ্যৎবাণী মির্জা আব্বাসের রিমান্ডে মির্জা আব্বাস অন্যদিকে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুনানি চলাকালে মির্জা আব্বাস কথা বলতে চান। এ সময় বিচারকের অনুমতি নিয়ে তিনি বলেন, আমি কিছু কথা বলতে চাই। কখনোই কথা বলি না। আমার কোনো কথা কিছু মনে করবেন না।
আমি ৫০ বছর রাজনীতি করি। বহু মিছিল করেছি। আন্দোলন করে এরশাদ সরকারকে পতন ঘটিয়েছি। এত বছরে এমন কোনো মামলা হয়েছে কিনা তা দেখিনি। গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় উপপরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মির্জা আব্বাসকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন। মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৭০০-৮০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে নয়াপল্টনে সমাবেশ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদ ওরফে আব্বাসের নেতৃত্বে ও নির্দেশনায় আসামিরা বেআইনিভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্লোগান দেয়। তারা জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সৃষ্টি করে শাহজাহানপুর থানাধীন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা এবং হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে তারা। এ সময় আসামিরা অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।