ঢাকা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নাগরপুর বিএনপির সংবাদ সম্মেলন সাগর -রুনি হত্যার বিচারের দাবীতে বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের মানববন্ধন জেলা বিএনপি আহবায়ক এড.মান্নানের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়। অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার 

পাসপোর্ট বিড়ম্বনায় সাধারণ জনগন

মেহেদী হাসান অলি (মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধ)
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:৪৫:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪৫ বার পড়া হয়েছে

পাসপোর্ট বিড়ম্বনায় সাধারণ জনগন

 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরে ১৯৭৩ সালের ৯ নম্বর আইন (বাংলাদেশ পাসপোর্ট ক্রম, ১৯৭৩ নামে পরিচিত) যা ১৯৭৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আইনে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।প্রথম পাসপোর্ট তৈরি এবং জারি পরিচালিত করে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ।এই পাসপোর্ট পুস্তিকা ঐতিহ্যবাহী,হস্তাক্ষর বা হস্তচালিত পাসপোর্ট ছিল এবং তখনকার সময়ে প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক আইন এবং বিধিবিধানের সাথে অনুগত ছিল।পরবর্তী সময়ে,পাসপোর্ট আবেদনের প্রক্রিয়াটিকে উন্নত করার জন্য পরবর্তী বছরে অতিরিক্ত আইন কার্যকর করা হয়েছিল।এই আইনের মধ্যে রয়েছে একাধিক বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্ট রাখা যাবে না;পাসপোর্টের জন্য নাগরিকত্বের প্রয়োজনীয়তা আছে।

বাংলাদেশী পাসপোর্ট হল একটি আইসিএও অনুগামী,মেশিন রিডেবল এবং বায়োমেট্রিক ই-পাসপোর্ট পাসপোর্টধারীর দ্বারা বিদেশে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে জারি করা হয় এমন পরিচয়পত্র।বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ যে দেশ সমস্ত যোগ্য নাগরিকের জন্য ই-পাসপোর্ট ইস্যু করেছে।

বাংলাদেশ সরকার তিন ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করে।এর মধ্যে একটি লাল মলাট যা কূটনৈতিক পাসপোর্ট;নীল মলাট যা দাপ্তরিক পাসপোর্ট;এবং সবুজ মলাট যা নিয়মিত বা সাধারণ পাসপোর্ট।

স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে পাসপোর্ট নিয়ে নিজের কিছু অভিজ্ঞতাঃ

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রত্যেকটার নাগরিকের বিদেশ ভ্রমণের জন্য সঠিক উপায়ে রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাসপোর্ট পাওয়া,প্রতিটা নাগরিকের অধিকার।পাসপোর্ট জনিত ঝামেলা এড়াতে,সঠিক উপায়ে পাসপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে।একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে পাসপোর্ট এর জন্য সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করাটাও নাগরিক দায়িত্ব-কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।পাসপোর্ট এর জন্য সঠিক তথ্য দেয়ার মাধ্যমে পাসপোর্ট জনিত ঝামেলা এড়ানো সম্ভব।বিশেষ করে খেয়াল করতে হবে আমরা যখন পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত সকল তথ্য সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে,সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে।তথ্য সঠিক না থাকলে নির্ধারিত সময়ের পাসপোর্ট পেতে বিরম্বনা শিকার হতে পারেন।আবেদনকারীর আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত তথ্যের গরমিল থাকলে সংশোধনীর জন্য নির্ধারিত সময়ের চাইতে আরো কিছুদিন পাসপোর্ট পেতে বিলম্ব হতে পারে।তবে যারা জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্ট করতে চান এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পেতে চান।তাদের অবশ্যই পাসপোর্ট জনিত জটিলতা এড়াতে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে সংযুক্ত সকল তথ্য আগে থেকেই সংশোধন করে নিতে পারেন।সে ক্ষেত্রে কাজটা সহজ হয়।আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর সংশোধন করতে হলে কিছুটা বিরম্বনা পরতে হয়।আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে অবশ্যই সকল তথ্য সংশোধন করে নিতে হবে।বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হবে বাবা,মা সহ নিজের জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুল থাকলে সংশোধনের ক্ষেত্রে কাগজপত্র গুছিয়ে রাখা ভালো।যেমন চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট,৫০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে সংশোধনের জন্য হলফনামা,বিদ্যুৎ বিলের কাগজ।পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে পাসপোর্ট এর ফটোকপি,সার্টিফিকেটের ফটোকপি,সংযুক্ত সকল কাগজপত্রের অন্ততপক্ষে পাঁচ কপি করে ফটোকপি করে রাখা উচিত।পাসপোর্ট পেতে বিলম্বিত হওয়ার প্রধান কারণই হচ্ছে ভুল তথ্য দেওয়া।যারা এখনো পাসপোর্ট করেননি বা ভবিষ্যতে বিরম্বনা ছাড়া পাসপোর্ট করতে চান।এখন থেকেই সকল তথ্য সংশোধন করে গুছিয়ে রাখুন।যাতে করে পরবর্তীতে জরুরী কাগজপত্র সংশোধন করতে ঝামেলায় পড়তে না হয়।বর্তমানে পাসপোর্ট অফিসে নিয়ম শৃঙ্খলা কিছুটা উন্নত হয়েছে।পাসপোর্ট এর কার্যক্রম সহজ হওয়াতে,সাহসিকতার সাথে আপনি চাইলে নিজে নিজেই আপনার পাসপোর্ট করতে সক্ষম।দালালদের দৌরাত্ম এড়াতে সরকারের নির্ধারিত ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করুন।পাসপোর্ট নিয়ে কোন বিষয় বুঝতে সমস্যা হলে পাসপোর্ট অফিসে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ বা আনসারের সহযোগিতা নিতে পারেন।সহযোগিতার কথা বলে যদি কেউ টাকা চায়,তাহলে অবশ্যই পাসপোর্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশনে গেলে সঠিক তথ্য ও সংযুক্ত কাগজপত্র দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে।পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত, পাসপোর্ট অফিস থেকে পাওয়া রিসিটটি সংরক্ষণ করুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পাসপোর্ট বিড়ম্বনায় সাধারণ জনগন

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:৪৫:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

পাসপোর্ট বিড়ম্বনায় সাধারণ জনগন

 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরে ১৯৭৩ সালের ৯ নম্বর আইন (বাংলাদেশ পাসপোর্ট ক্রম, ১৯৭৩ নামে পরিচিত) যা ১৯৭৩ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আইনে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।প্রথম পাসপোর্ট তৈরি এবং জারি পরিচালিত করে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ।এই পাসপোর্ট পুস্তিকা ঐতিহ্যবাহী,হস্তাক্ষর বা হস্তচালিত পাসপোর্ট ছিল এবং তখনকার সময়ে প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক আইন এবং বিধিবিধানের সাথে অনুগত ছিল।পরবর্তী সময়ে,পাসপোর্ট আবেদনের প্রক্রিয়াটিকে উন্নত করার জন্য পরবর্তী বছরে অতিরিক্ত আইন কার্যকর করা হয়েছিল।এই আইনের মধ্যে রয়েছে একাধিক বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্ট রাখা যাবে না;পাসপোর্টের জন্য নাগরিকত্বের প্রয়োজনীয়তা আছে।

বাংলাদেশী পাসপোর্ট হল একটি আইসিএও অনুগামী,মেশিন রিডেবল এবং বায়োমেট্রিক ই-পাসপোর্ট পাসপোর্টধারীর দ্বারা বিদেশে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে জারি করা হয় এমন পরিচয়পত্র।বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ যে দেশ সমস্ত যোগ্য নাগরিকের জন্য ই-পাসপোর্ট ইস্যু করেছে।

বাংলাদেশ সরকার তিন ধরনের পাসপোর্ট ইস্যু করে।এর মধ্যে একটি লাল মলাট যা কূটনৈতিক পাসপোর্ট;নীল মলাট যা দাপ্তরিক পাসপোর্ট;এবং সবুজ মলাট যা নিয়মিত বা সাধারণ পাসপোর্ট।

স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে পাসপোর্ট নিয়ে নিজের কিছু অভিজ্ঞতাঃ

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রত্যেকটার নাগরিকের বিদেশ ভ্রমণের জন্য সঠিক উপায়ে রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাসপোর্ট পাওয়া,প্রতিটা নাগরিকের অধিকার।পাসপোর্ট জনিত ঝামেলা এড়াতে,সঠিক উপায়ে পাসপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে।একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে পাসপোর্ট এর জন্য সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করাটাও নাগরিক দায়িত্ব-কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে।পাসপোর্ট এর জন্য সঠিক তথ্য দেয়ার মাধ্যমে পাসপোর্ট জনিত ঝামেলা এড়ানো সম্ভব।বিশেষ করে খেয়াল করতে হবে আমরা যখন পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত সকল তথ্য সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে,সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে।তথ্য সঠিক না থাকলে নির্ধারিত সময়ের পাসপোর্ট পেতে বিরম্বনা শিকার হতে পারেন।আবেদনকারীর আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত তথ্যের গরমিল থাকলে সংশোধনীর জন্য নির্ধারিত সময়ের চাইতে আরো কিছুদিন পাসপোর্ট পেতে বিলম্ব হতে পারে।তবে যারা জরুরী ভিত্তিতে পাসপোর্ট করতে চান এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পেতে চান।তাদের অবশ্যই পাসপোর্ট জনিত জটিলতা এড়াতে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে সংযুক্ত সকল তথ্য আগে থেকেই সংশোধন করে নিতে পারেন।সে ক্ষেত্রে কাজটা সহজ হয়।আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর সংশোধন করতে হলে কিছুটা বিরম্বনা পরতে হয়।আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আগে অবশ্যই সকল তথ্য সংশোধন করে নিতে হবে।বিশেষ করে খেয়াল রাখতে হবে বাবা,মা সহ নিজের জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুল থাকলে সংশোধনের ক্ষেত্রে কাগজপত্র গুছিয়ে রাখা ভালো।যেমন চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট,৫০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে সংশোধনের জন্য হলফনামা,বিদ্যুৎ বিলের কাগজ।পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে পাসপোর্ট এর ফটোকপি,সার্টিফিকেটের ফটোকপি,সংযুক্ত সকল কাগজপত্রের অন্ততপক্ষে পাঁচ কপি করে ফটোকপি করে রাখা উচিত।পাসপোর্ট পেতে বিলম্বিত হওয়ার প্রধান কারণই হচ্ছে ভুল তথ্য দেওয়া।যারা এখনো পাসপোর্ট করেননি বা ভবিষ্যতে বিরম্বনা ছাড়া পাসপোর্ট করতে চান।এখন থেকেই সকল তথ্য সংশোধন করে গুছিয়ে রাখুন।যাতে করে পরবর্তীতে জরুরী কাগজপত্র সংশোধন করতে ঝামেলায় পড়তে না হয়।বর্তমানে পাসপোর্ট অফিসে নিয়ম শৃঙ্খলা কিছুটা উন্নত হয়েছে।পাসপোর্ট এর কার্যক্রম সহজ হওয়াতে,সাহসিকতার সাথে আপনি চাইলে নিজে নিজেই আপনার পাসপোর্ট করতে সক্ষম।দালালদের দৌরাত্ম এড়াতে সরকারের নির্ধারিত ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করুন।পাসপোর্ট নিয়ে কোন বিষয় বুঝতে সমস্যা হলে পাসপোর্ট অফিসে থাকা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ বা আনসারের সহযোগিতা নিতে পারেন।সহযোগিতার কথা বলে যদি কেউ টাকা চায়,তাহলে অবশ্যই পাসপোর্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।পাসপোর্ট পুলিশ ভেরিফিকেশনে গেলে সঠিক তথ্য ও সংযুক্ত কাগজপত্র দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে।পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত, পাসপোর্ট অফিস থেকে পাওয়া রিসিটটি সংরক্ষণ করুন।