ঢাকা ১০:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জেলা বিএনপি আহবায়ক এড.মান্নানের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়। অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে।

প্রতিমন্ত্রী সরকার সহিংসতার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে বদ্ধপরিকর

রিপোর্টার ওয়াজ উদ্দিন 
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৭:২৩:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪ ১৩ বার পড়া হয়েছে

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সংঘটিত প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ তদন্ত করতে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।মঙ্গলবার জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে (ডিডব্লিউ) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, প্রতিটি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা ইতোমধ্যে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আরাফাত বলেন, এখনও বৈশ্বিক মিডিয়া এমন একটি সমীকরণে আটকে আছে যা হচ্ছে সরকার বনাম ছাত্র বিক্ষোভকারী। কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। সেখানে তৃতীয় পক্ষ ছিল। তৃতীয় পক্ষ মানে বিএনপি, জামায়াত এবং শিবির, ইসলামি উগ্রবাদী। তারাই আসলে ধ্বংস ও সহিংসতা চালিয়েছে।তিনি বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে কিছু লোক এই পরিস্থিতির মধ্যে আটকে পড়ে যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার তথ্য সত্য নয়। সরকারি হিসাব অনুযায়ী মোট সংখ্যা ১৫০ জন।আরাফাত বলেন, ১৫০ জনের মধ্যে, এমন অনেকে ছিল যাদের হামলাকারীরা পুড়িয়ে ফেলে। আমরা তাদের পরিচয়ও শনাক্ত করতে পারিনি। হতাহতদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের অনেক লোকও ছিল।প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার জনগণের শান্তি ও জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছে। ছাত্রদের বিক্ষোভে জঙ্গি গোষ্ঠীর অনুপ্রবেশের পর জনগণের জীবন রক্ষা এবং শান্তি পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া সরকারের কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়।তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা কারাগারে প্রবেশ করে ৯ জন শীর্ষস্থানীয় জিহাদিসহ প্রায় ৮২৬ বন্দিকে কারাগার থেকে পালাতে বাধ্য করে এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে। জঙ্গিরা পুলিশের ২৩৫টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, ৬৯টি পুলিশ ফাঁড়ি ধ্বংস করেছে এবং অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। পুলিশকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। প্রায় ১,১১৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ১৩২ জনের অবস্থা গুরুতর। তারা মেট্রোরেল স্টেশন, বিটিভি ভবন এবং সকল গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা চালায়।আরাফাত বলেন, আমরা বিএনপি, জামায়াত এবং ইসলামি উগ্রপন্থীদের হামলা চালানোর একটি স্পষ্ট হাতে লেখা নির্দেশনা দেখেছি। ছাত্র আন্দোলনকারীদের নেতারাও এসব ধ্বংসযজ্ঞ ও সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, তৃতীয় পক্ষ তাদেরকে অপব্যবহার করেছে।আরাফাত বলেন, কিছু ছাত্র তাদের বন্ধুদের হারিয়েছে। তারা মনে করে সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে এবং সরকার পতন ঘটাতে নৈরাজ্যবাদীরা এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।তৃতীয় পক্ষের অনুপ্রবেশের ফলে আন্দোলন অনেক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার দিকে চলে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

প্রতিমন্ত্রী সরকার সহিংসতার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে বদ্ধপরিকর

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৭:২৩:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ জুলাই ২০২৪

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সংঘটিত প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ তদন্ত করতে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।মঙ্গলবার জার্মান গণমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে (ডিডব্লিউ) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, প্রতিটি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা ইতোমধ্যে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আরাফাত বলেন, এখনও বৈশ্বিক মিডিয়া এমন একটি সমীকরণে আটকে আছে যা হচ্ছে সরকার বনাম ছাত্র বিক্ষোভকারী। কিন্তু ব্যাপারটা মোটেও তা নয়। সেখানে তৃতীয় পক্ষ ছিল। তৃতীয় পক্ষ মানে বিএনপি, জামায়াত এবং শিবির, ইসলামি উগ্রবাদী। তারাই আসলে ধ্বংস ও সহিংসতা চালিয়েছে।তিনি বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে কিছু লোক এই পরিস্থিতির মধ্যে আটকে পড়ে যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার তথ্য সত্য নয়। সরকারি হিসাব অনুযায়ী মোট সংখ্যা ১৫০ জন।আরাফাত বলেন, ১৫০ জনের মধ্যে, এমন অনেকে ছিল যাদের হামলাকারীরা পুড়িয়ে ফেলে। আমরা তাদের পরিচয়ও শনাক্ত করতে পারিনি। হতাহতদের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের অনেক লোকও ছিল।প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার জনগণের শান্তি ও জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করছে। ছাত্রদের বিক্ষোভে জঙ্গি গোষ্ঠীর অনুপ্রবেশের পর জনগণের জীবন রক্ষা এবং শান্তি পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া সরকারের কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়।তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা কারাগারে প্রবেশ করে ৯ জন শীর্ষস্থানীয় জিহাদিসহ প্রায় ৮২৬ বন্দিকে কারাগার থেকে পালাতে বাধ্য করে এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে। জঙ্গিরা পুলিশের ২৩৫টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, ৬৯টি পুলিশ ফাঁড়ি ধ্বংস করেছে এবং অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। পুলিশকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। প্রায় ১,১১৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে ১৩২ জনের অবস্থা গুরুতর। তারা মেট্রোরেল স্টেশন, বিটিভি ভবন এবং সকল গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা চালায়।আরাফাত বলেন, আমরা বিএনপি, জামায়াত এবং ইসলামি উগ্রপন্থীদের হামলা চালানোর একটি স্পষ্ট হাতে লেখা নির্দেশনা দেখেছি। ছাত্র আন্দোলনকারীদের নেতারাও এসব ধ্বংসযজ্ঞ ও সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, তৃতীয় পক্ষ তাদেরকে অপব্যবহার করেছে।আরাফাত বলেন, কিছু ছাত্র তাদের বন্ধুদের হারিয়েছে। তারা মনে করে সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে এবং সরকার পতন ঘটাতে নৈরাজ্যবাদীরা এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।তৃতীয় পক্ষের অনুপ্রবেশের ফলে আন্দোলন অনেক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার দিকে চলে যায়।