ঢাকা ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নাগরপুর বিএনপির সংবাদ সম্মেলন সাগর -রুনি হত্যার বিচারের দাবীতে বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের মানববন্ধন জেলা বিএনপি আহবায়ক এড.মান্নানের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়। অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার 

বাঞ্ছারামপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর কারাদণ্ড।

এম কে খোকন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্যুরো চীফ
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৭:৪০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ১০৪ বার পড়া হয়েছে

বাঞ্ছারামপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর কারাদণ্ড

 

 

 

২৩ নভেম্বর ২০২৩

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে গৃহবধূ রহিমা বেগম হত্যা মামলায় প্রধান আসামী স্বামী মো. আল আমিন মিয়াকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা দায়রা জজ আদালত।

 

বৃহস্পতিবার(২৩ নভেম্বর) দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দায়রা জজ আদালত এ রায় প্রদান করেন।

 

আদালত ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের মধ্যনগর গ্রামের মুন্সিবাড়ির জাকির হোসেনের মেয়ে রহিমা বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার দড়িকান্দি ইউনিয়নের খাল্লা নতুনপাড়া গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে মো. আল আমিন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়। আল আমিন পেশায় অটোরিকশা চালক। দীর্ঘ ৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে নুসাইবা আক্তার (৬) নামে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

 

এদিকে রহিমা ও আমিনের পরিবারে অভাব অনটনসহ পরিবারিক নানা বিষয়াদি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এর মধ্যে হত্যার ঘটনার ৩ মাস আগে রহিমার স্বামী আল আমিন মিয়া রহিমার অজান্তে খাল্লা গ্রামের এক লোকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার নেয়। এই ধারের টাকা পরিশোধ করার জন্যে রহিমার ওপর চাপ দেয় স্বামী আল আমিন। ধারের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে এ নিয়ে প্রায়শই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।এ নিয়ে গত ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর বুধবার রাত ২টার দিকে স্বামীর স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়া চলাকালে আল আমিন উত্তেজিক হয়ে লোহার রড দিয়ে রহিমার মাথায় আঘাত করলে, ঘটনাস্থলেই রহিমা প্রাণ হারায়। রহিমার নিহত হওয়ার ঘটনাটিকে ভিন্ন দিকে চালিয়ে দিতে আল আমিন বাড়িতে চোর এসেছে বলে চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকারে এলাকার লোকজন জড়ো হয়। এরই মধ্যে খবর পেয়ে রাতেই নিহতের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছোটে আসেন। তারা জানতে পারেন রহিমাকে তার স্বামীই হত্যা করেছে।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসীর সহায়তায় আল আমিনকে ধরে ওই দিন রাতেই পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। নিহত রহিমার বাবা মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে আল আমিনকে প্রধান আসামি করে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি হত্যা মামালা দায়ের করেন। মামলাটি অধিকতর তদন্ত করে থানা পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আসামিও ১৬৪ ধারায় আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। আদালত সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে আসামির উপস্থিতিতে আল আমিনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায়ে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও প্রদান করা হয়। অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিডিউটর অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন জানান, মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৩০৪ ধারায় আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাঞ্ছারামপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর কারাদণ্ড।

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৭:৪০:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

বাঞ্ছারামপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর কারাদণ্ড

 

 

 

২৩ নভেম্বর ২০২৩

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে গৃহবধূ রহিমা বেগম হত্যা মামলায় প্রধান আসামী স্বামী মো. আল আমিন মিয়াকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা দায়রা জজ আদালত।

 

বৃহস্পতিবার(২৩ নভেম্বর) দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা দায়রা জজ আদালত এ রায় প্রদান করেন।

 

আদালত ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছয়ফুল্লাকান্দি ইউনিয়নের মধ্যনগর গ্রামের মুন্সিবাড়ির জাকির হোসেনের মেয়ে রহিমা বেগমের সঙ্গে একই উপজেলার দড়িকান্দি ইউনিয়নের খাল্লা নতুনপাড়া গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে মো. আল আমিন মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়। আল আমিন পেশায় অটোরিকশা চালক। দীর্ঘ ৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে নুসাইবা আক্তার (৬) নামে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

 

এদিকে রহিমা ও আমিনের পরিবারে অভাব অনটনসহ পরিবারিক নানা বিষয়াদি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। এর মধ্যে হত্যার ঘটনার ৩ মাস আগে রহিমার স্বামী আল আমিন মিয়া রহিমার অজান্তে খাল্লা গ্রামের এক লোকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার নেয়। এই ধারের টাকা পরিশোধ করার জন্যে রহিমার ওপর চাপ দেয় স্বামী আল আমিন। ধারের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে এ নিয়ে প্রায়শই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।এ নিয়ে গত ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর বুধবার রাত ২টার দিকে স্বামীর স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়া চলাকালে আল আমিন উত্তেজিক হয়ে লোহার রড দিয়ে রহিমার মাথায় আঘাত করলে, ঘটনাস্থলেই রহিমা প্রাণ হারায়। রহিমার নিহত হওয়ার ঘটনাটিকে ভিন্ন দিকে চালিয়ে দিতে আল আমিন বাড়িতে চোর এসেছে বলে চিৎকার করতে থাকে। তার চিৎকারে এলাকার লোকজন জড়ো হয়। এরই মধ্যে খবর পেয়ে রাতেই নিহতের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছোটে আসেন। তারা জানতে পারেন রহিমাকে তার স্বামীই হত্যা করেছে।

 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসীর সহায়তায় আল আমিনকে ধরে ওই দিন রাতেই পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। নিহত রহিমার বাবা মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে আল আমিনকে প্রধান আসামি করে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি হত্যা মামালা দায়ের করেন। মামলাটি অধিকতর তদন্ত করে থানা পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আসামিও ১৬৪ ধারায় আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। আদালত সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে আসামির উপস্থিতিতে আল আমিনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায়ে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও প্রদান করা হয়। অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিডিউটর অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন জানান, মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৩০৪ ধারায় আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।