ঢাকা ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর আইন বিধান প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের লক্ষ্যে ইসলামী সমাজ। ডাকুয়া ইউনিয়ন প্রভাবশালীদের দখলে রেকর্ডের জমি ও সরকারি খাস জমি।  চান্দিনা মহিলা কলেজে পাঁচ দফা দাবি সহ উপাধ্যক্ষ ও প্রভাষকের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রীদের আন্দোলন ১১ দফা দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির(বিটিএ) সংবাদ সম্মেলন। ছাত্র-জনতার বিজয়কে পুঁজি করে মাজার-দরগায় হামলা করছে ওলী বিদ্বেষীরা”মাজারে হামলার বিরুদ্ধে বিটিপি’র প্রতিবাদ সভা আইপিডিসি ফাইন্যান্সে নিয়োগ, সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন গন অভ্যুস্খান পরবর্তী তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভা। নবাগত সম্মানিত পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম শেরপুর জেলায় যোগদান ও দায়িত্বভার গ্রহণ” দেওয়ানগঞ্জে ছাত্র অধিকার পরিষদের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন। অর্থের বিনিময়ে পেলেন রেহাই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে

বিপদজনক একটি নাম ব্লাড প্রেসার দৈনিক যেসব ভুলে আড়ালে বাড়ছে ব্লাড প্রেশার 

রিপোর্টার ফাহারিয়া ইসলাম মুন
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৭:৪৫:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪ ২১ বার পড়া হয়েছে

নীরব ঘাতকের মতো বাড়ে হাইপারটেনশন। আমরা যাকে ‘হাই ব্লাড প্রেশার’ নামে চিনি। এই প্রেশার প্রাণঘাতীও বটে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন ওষুধ খেতে হবে। আর একদিন প্রেশারের ওষুধ বাদ দিলেই আপনি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে হতে পারেন। উচ্চ রক্তচাপের জেরে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো সমস্যা দেখা দেয়। কেন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হানা দেয় এবং কীভাবে এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, তারই খুঁটিনাটি রইল এখানে।হাইপারটেনশনের পেছনে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি লাইফস্টাইল ফ্যাক্টরকে দায়ী করেছেন। এর মধ্যে ব্যায়াম থেকে শুরু করে ওবেসিটি, ধূমপানের মতো বিভিন্ন কারণ রয়েছে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু প্রতিদিন অ্যারোবিক ব্যায়াম করে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। বিশেষত যাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। অন্যদিকে, শরীরের ওজন বেড়ে গেলে, ওবেসিটিতে ভুগলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। আবার অনেক সময় ওবেসিটির জেরে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার মুখোমুখি হতে হয়। এখান থেকেও হাইপারটেনশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।বিশেষজ্ঞরা হাইপারটেনশনের বিরুদ্ধে দায়ী করেছেন প্রিজারভেটিভ, চিনি ও নুন দেওয়া প্রক্রিয়াজাত খাবারকে। এতে উচ্চ পরিমাণে ক্যালোরি, সোডিয়াম থাকে। এগুলো উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি কিডনির সমস্যা ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি এড়াতে ফাস্ট ফুড ছেড়ে স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করা জরুরি। হাইপারটেনশনের ঝুঁকি এড়াতে ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকা পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এই লাইফস্টাইল ফ্যাক্টরগুলো ছাড়াও আরেকটি বিষয়কে হাইপারটেনশনের জন্য দায়ী করেছেন তারা। স্ট্রেস বা মানসিক চাপও উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী। মানসিক চাপ কমিয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।হাইপারটেশনের আক্রান্ত হলেই অনেকেই চিকিৎসা করান না। এমনকি চিকিৎসাধীনও থাকেন না। অর্ধেকের বেশি মানুষ জানেনই না যে তার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। যেহেতু তারা কখনওই নিয়মিত ব্লাড প্রেশার মাপেন না। আর যারা এই স্বাস্থ্য অবস্থা সম্পর্কে সচেতন এবং হাইপারটেনশনের রোগী, তাদের মধ্যে অর্ধেক রোগী প্রতিদিন ওষুধ খান না। আর এর জেরেই ধীরে ধীরে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলেন।চিকিৎসাধীন না থাকলে, নিয়মিত ব্লাড প্রেশার চেক না করালে এবং ওষুধ না খেলে জটিলতা বাড়বে। এখান থেকে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই ঘন ঘন রক্তচাপ পরীক্ষা করানো এবং সেই মতো ওষুধ খাওয়া উচিত। এতে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখা আরও সহজ হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বিপদজনক একটি নাম ব্লাড প্রেসার দৈনিক যেসব ভুলে আড়ালে বাড়ছে ব্লাড প্রেশার 

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৭:৪৫:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

নীরব ঘাতকের মতো বাড়ে হাইপারটেনশন। আমরা যাকে ‘হাই ব্লাড প্রেশার’ নামে চিনি। এই প্রেশার প্রাণঘাতীও বটে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন ওষুধ খেতে হবে। আর একদিন প্রেশারের ওষুধ বাদ দিলেই আপনি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে হতে পারেন। উচ্চ রক্তচাপের জেরে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো সমস্যা দেখা দেয়। কেন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হানা দেয় এবং কীভাবে এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, তারই খুঁটিনাটি রইল এখানে।হাইপারটেনশনের পেছনে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি লাইফস্টাইল ফ্যাক্টরকে দায়ী করেছেন। এর মধ্যে ব্যায়াম থেকে শুরু করে ওবেসিটি, ধূমপানের মতো বিভিন্ন কারণ রয়েছে। নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু প্রতিদিন অ্যারোবিক ব্যায়াম করে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। বিশেষত যাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। অন্যদিকে, শরীরের ওজন বেড়ে গেলে, ওবেসিটিতে ভুগলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। আবার অনেক সময় ওবেসিটির জেরে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার মুখোমুখি হতে হয়। এখান থেকেও হাইপারটেনশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।বিশেষজ্ঞরা হাইপারটেনশনের বিরুদ্ধে দায়ী করেছেন প্রিজারভেটিভ, চিনি ও নুন দেওয়া প্রক্রিয়াজাত খাবারকে। এতে উচ্চ পরিমাণে ক্যালোরি, সোডিয়াম থাকে। এগুলো উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি কিডনির সমস্যা ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি এড়াতে ফাস্ট ফুড ছেড়ে স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করা জরুরি। হাইপারটেনশনের ঝুঁকি এড়াতে ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকা পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এই লাইফস্টাইল ফ্যাক্টরগুলো ছাড়াও আরেকটি বিষয়কে হাইপারটেনশনের জন্য দায়ী করেছেন তারা। স্ট্রেস বা মানসিক চাপও উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী। মানসিক চাপ কমিয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।হাইপারটেশনের আক্রান্ত হলেই অনেকেই চিকিৎসা করান না। এমনকি চিকিৎসাধীনও থাকেন না। অর্ধেকের বেশি মানুষ জানেনই না যে তার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। যেহেতু তারা কখনওই নিয়মিত ব্লাড প্রেশার মাপেন না। আর যারা এই স্বাস্থ্য অবস্থা সম্পর্কে সচেতন এবং হাইপারটেনশনের রোগী, তাদের মধ্যে অর্ধেক রোগী প্রতিদিন ওষুধ খান না। আর এর জেরেই ধীরে ধীরে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলেন।চিকিৎসাধীন না থাকলে, নিয়মিত ব্লাড প্রেশার চেক না করালে এবং ওষুধ না খেলে জটিলতা বাড়বে। এখান থেকে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই ঘন ঘন রক্তচাপ পরীক্ষা করানো এবং সেই মতো ওষুধ খাওয়া উচিত। এতে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখা আরও সহজ হবে।