ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছয় দিনব্যাপী প্রথমা প্রকাশনের বইমেলা উদ্ভোধন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছয় দিনব্যাপী প্রথমা প্রকাশনের বইমেলা শুরু উদ্ধোধন করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে বইমেলাটর আয়োজন করা হয়েছে।

প্রথমা প্রকাশনের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন জানান, এখন অনলাইনের যুগ। বই পড়া থেকে আমরা যেন হারিয়ে না যায়। প্রথমা প্রকাশন এখন পর্যন্ত ৮০০ বই প্রকাশ করেছে। ৫০এর বেশি পুরস্কার পেয়েছে প্রথমা প্রকাশন।
জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৗর মুক্তমঞ্চে প্রথমা প্রকাশনের বইমেলা চলবে আগামী ২৮ আগস্ট পর্যন্ত।প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত বইমেলায় প্রথমা প্রকাশনের স্টল খোলা থাকবে।
তিনি আরো জানান, বইমেলায় প্রথমা প্রকাশনের বই এবং দেশি বিদেশি বইয়ের বিশাল সমারোহ রয়েছে। এছাড়া বইমেলায় প্রথমা প্রকাশনের বইয়ে ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ ছাড়, অন্যান্য প্রকাশনীর বইয়ে ২৫ শতাংশ ছাড় এবং ভারতীয় বইয়ে এক রুপি ( ১ দশমিক ৫ থেকে ১ দশমিক ৮ টাকা হারে বিক্রি করা হবে। বইমেলা আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করতে সার্বিক সহযোগিতা করছে প্রথম আলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভার সদস্যরা।
মেলাটি উদ্ধোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন।
প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদৎ হোসেন এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম, প্রথমা প্রকাশনের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক (প্রশাসন) হারুন অর রশিদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সোহেল আহাদ, ফারুক ভূইয়া, বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক শাজাহান মিয়া ও সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন।

এসময় কবি জয়দুল হোসেন বলেন, পাঠাগারের প্রয়োজন হাসপাতালের চেয়ে কম না, স্কুল-কলেজের চেয়ে বেশি।বাড়িতে চাইলেই স্কুল-হাসপাতাল গড়া যায় না। কিন্তু পাঠাগার গড়া যায়।মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতির চিকিৎসার জন্য যেভাবে হাসপাতাল প্রয়োজন, মানুষের মানসিক বিকাশের জন্য বইপড়া উচিত নিয়মিত বই পড়লে মন ভালো থাকবে।মন ভালো থাকলে শরীর ভালো হয়ে যায়। সুস্থ মন, সুস্থ দেহ। তাই সবাইকে বই পড়ায় উৎসাহিত করতে হবে।কারণ বই পড়লে পৃথিবীর কোনো দুঃখ কাউকে স্পর্শ করে না। কারণ বই পড়লে মানুষ পরাবাস্তবে চলে যায়।