ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি ছুটিতেও স্কুল খোলা, মানছে না সরকারী নীতিমালা।
সারাদেশ ব্যাপী চলছে সনাতন ধর্মালম্বীদের বড় উৎসব দূর্গা পূজা ও লক্ষীপূজা। এ উপলক্ষ্যে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি পেয়েছে ৮ দিন। কিন্তু এই সরকারি প্রজ্ঞাপন অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্গাপূজার সরকার ঘোষিত ছুটিতেও কিন্ডারগার্টেনে শ্রেণী কার্যক্রম এবং কোচিং চলছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ভাদুঘরে অবস্থিত প্রফেসি কিন্ডারগার্টেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা, প্রবারণা পূর্ণিমা, এবং ফাতেহা-ই-ইয়াজদহম উপলক্ষে ছুটি থাকলেও কিন্ডারগার্টেনটি শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে বাধ্য করছে।
জানা গেছে গত দূর্গাপূজার অষ্টমী ও নবমী এবং দশমী উপলক্ষে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এই কিন্ডারগার্টেনটি শ্রেণী কার্যক্রম ও কোচিং পরিচালনা করেছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পূজার ছুটি এবং সর্বজনীন উৎসবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজার ছুটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীগণ।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক অভিবাবক বলেন, দূর্গাপূজা শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব নয়, বরং এখন তা সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে যে কারণে সরকার দূর্গাপূজা উপলক্ষে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি দিয়েছে। তারা এই ছুটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পরও ক্লাসের কার্যক্রমের বিষয়ে প্রফেসি কিন্ডারগার্টেনের প্রিন্সিপালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে চায়নি। ওনার ভাতিজা সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের সব আইন মেনে চলা সম্ভব নয়। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাদ্রাসা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে না। নির্বাহী আদেশে সরকার যে ছুটি দেন সেটা আমার জানা নেই।
তিনি আরো বলেন, ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছে। সেগুলো তো ছুটি দেয়নি। তাই আমরা সরকারি আইন মানতে বাধ্য নয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সেলিম শেখ বলেন, আইন সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য জানিয়ে এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান।
সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, চন্দ্র তারিখ অনুসারে সরকার সনাতন, বৌদ্ধ ও মুসলিম দের ধর্মীয় অনুষ্ঠান এক সাথে হওয়াতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি বেসরকারি ভাবে ছুটি দিয়েছেন। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বেশি দিয়েছে ৮ দিন। এই আইন সবার জন্য সমান। আমরা জেনেছি এবিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষ্যে ব্যবস্থা নিব। আগেও এ রকম অভিযোগ আসছে এ প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আহ্বায়ক সুনিল চন্দ্র দেব এবিষয়ে বলেন, আইন সবার জন্য সমান। ওনারা এরকম করা দুঃখজনক। আমরা প্রশাসনিকভাবে এবিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করব।
উল্লেখ্য, প্রফেসী কিন্ডারগার্টেনের বিরুদ্ধে আগেও সংখ্যালঘুদের সরকার ঘোষিত ধর্মীয় ছুটির দিনে শ্রেণী কার্যক্রম ও কোচিং চালু রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রধান সম্পাদক : ফারুক হোসেন | ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোঃ মতিউর রহমান
নির্বাহী সম্পাদক : হাজী মোঃ লিয়াকত আলী,যুগ্ম-সম্পাদক: আব্দুল মালেক,যুগ্ম - সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন , ব্যুরো প্রধান: ফাহারিয়া ইসলাম( মুন) প্রেস এডিটর: মোঃ ফয়সাল হোসেন , মোঃ শান্ত।
যোগাযোগ ০১৭৬৫৮৮৪৪৪৯
দেশপ্রিয়২৪.কম