ঢাকা ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর আইন বিধান প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের লক্ষ্যে ইসলামী সমাজ। ডাকুয়া ইউনিয়ন প্রভাবশালীদের দখলে রেকর্ডের জমি ও সরকারি খাস জমি।  চান্দিনা মহিলা কলেজে পাঁচ দফা দাবি সহ উপাধ্যক্ষ ও প্রভাষকের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রীদের আন্দোলন ১১ দফা দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির(বিটিএ) সংবাদ সম্মেলন। ছাত্র-জনতার বিজয়কে পুঁজি করে মাজার-দরগায় হামলা করছে ওলী বিদ্বেষীরা”মাজারে হামলার বিরুদ্ধে বিটিপি’র প্রতিবাদ সভা আইপিডিসি ফাইন্যান্সে নিয়োগ, সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন গন অভ্যুস্খান পরবর্তী তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভা। নবাগত সম্মানিত পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম শেরপুর জেলায় যোগদান ও দায়িত্বভার গ্রহণ” দেওয়ানগঞ্জে ছাত্র অধিকার পরিষদের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন। অর্থের বিনিময়ে পেলেন রেহাই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা সংস্কার ও বৈষম্যরোধে অবস্থান কর্মসূচী পালিত। 

এম কে খোকন  (ব্যুরো চীফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪ ২১ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা সংস্কার ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবিতে আলোচনা সভা, মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

 

বুধবার(১০ জুলাই) সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়ে পৌরশহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবে  গিয়ে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কলেজ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।  মিছিলে অংগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল ব্যানার, ফেস্টুন, প্লে কার্ড ও স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা।

 

মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবীগুলো উপস্থাপন করেন এবং তাদের যৌক্তিক দাবীগুলো সরকার মেনে না নিলে তারা এই আন্দোলন আরো কঠোরভাবে অবস্থান করবেন বলে হুশিয়ারি দেন।

 

অবস্থান কর্মসূচীতে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। এখানে কোনো বৈষম্য চলবে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী, আমরা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী। মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দেশ্যই ছিল একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন করা। প্রাইমারিতে ৯৬% কৌটা, রেলওয়েতে ৮২% কৌটা, ১ম শ্রেণির চাকরিতে ৫৬ কৌটা যা সম্পূর্ণ অযোক্তিক। সবকৌটা সংস্কার করে ৫% নিয়ে আসতে হবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।

 

তারা আরো বলেন, আমরা কোন ঝুলন্ত সিদ্ধান্ত মানতেছি না “সংসদে আইন পাস করে সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন গ্রেডে সকল ধরণের বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এ দাবি নির্বাহী বিভাগ থেকে যতক্ষণ না পূরণ করা হবে আমরা রাজপথে থাকবো। কোটা সংস্কার ও বৈষম্যরোধে ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর আলোকে আমরা রাজপথে থাকব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা সংস্কার ও বৈষম্যরোধে অবস্থান কর্মসূচী পালিত। 

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:২৫:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটা সংস্কার ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবিতে আলোচনা সভা, মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

 

বুধবার(১০ জুলাই) সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে থেকে একটি মিছিল বের হয়ে পৌরশহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবে  গিয়ে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কলেজ ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।  মিছিলে অংগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল ব্যানার, ফেস্টুন, প্লে কার্ড ও স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা।

 

মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবীগুলো উপস্থাপন করেন এবং তাদের যৌক্তিক দাবীগুলো সরকার মেনে না নিলে তারা এই আন্দোলন আরো কঠোরভাবে অবস্থান করবেন বলে হুশিয়ারি দেন।

 

অবস্থান কর্মসূচীতে অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। এখানে কোনো বৈষম্য চলবে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী, আমরা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী। মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দেশ্যই ছিল একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন করা। প্রাইমারিতে ৯৬% কৌটা, রেলওয়েতে ৮২% কৌটা, ১ম শ্রেণির চাকরিতে ৫৬ কৌটা যা সম্পূর্ণ অযোক্তিক। সবকৌটা সংস্কার করে ৫% নিয়ে আসতে হবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।

 

তারা আরো বলেন, আমরা কোন ঝুলন্ত সিদ্ধান্ত মানতেছি না “সংসদে আইন পাস করে সরকারি চাকরিতে বিভিন্ন গ্রেডে সকল ধরণের বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এ দাবি নির্বাহী বিভাগ থেকে যতক্ষণ না পূরণ করা হবে আমরা রাজপথে থাকবো। কোটা সংস্কার ও বৈষম্যরোধে ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর আলোকে আমরা রাজপথে থাকব।