ঢাকা ০১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ  আলোচনা গণতান্ত্রিক শাসন শক্তিশালী করার উপায় নিয়ে শাহরাস্তির আতঙ্ক জাবেদ বাহিনী, মসজিদের জায়গা জবর দখল, দালালী আর মামলাবাজিতে হাতিয়েছেন ২ হাজার কোটি টাকা : রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। ময়মনসিংহ রেঞ্জের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত  গাজীপুর জেলা শাখা অন্তর্গত “শ্রীপুর উপজেলা” শাখার কমিটির অনুমোদন।  বেকারত্ব নিরসনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা নোয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময়  তবে উদ্যোগ রাজনৈতিক’ আমরা রাজনৈতিক দল নই তাহলে কি নিজেদের জালে-ই ফেঁসে গেলো ছাত্র সংঘটন!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বৈরশাসকের পতন একমাস পূর্ণহওয়ায় শহীদি মার্চ পালিত। 

এম কে খোকন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্যুরো চীফ
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:৫১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১ বার পড়া হয়েছে

ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক পতনের এক মাস পূর্ণ হলো আজ। বহু প্রাণের বিনিময়ে আলোর মুখ দেখেছে ছাত্র-জনতার বিপ্লব। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনটি ঘিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় ঘোষিত ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে । বৃহস্পতিবার(৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ঐক্যের আয়োজনে এই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। ।  এর আগে একমাস পূর্ণ হওয়ায় প্রেসক্লাবে হতে আনন্দ র্যালী ও শহীদি মার্চ করে কাউতলি চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ছাত্র জনতার। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদি মার্চ কর্মসূচীতে তৌসিফ বক্তব্যে বলেন, আমাদের আন্দোলনের শুরুটা ছিল কোটা সংস্কার দাবিতে। আমাদের প্রতি সরকারের মারমুখী আচরন, সরকার পক্ষে থেকে উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং লেলিয়ে দেয়া হয় পেটুয়া বাহিনী। আন্দোলন দমাতে সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ করে সরকার। পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাবের পাশাপাশি, সেনাবাহিনী নামিয়ে করা হয় সান্ধ্য আইন। শাসকগোষ্ঠী যেন মেতে ওঠে রক্তের নেশায়। মূল্যহীন করে তোলে ছাত্র-জনতার জীবন। পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষণ অথবা পাহাড়-সমতল; মুক্তির নেশায় মেতে ওঠে সবাই। জ্বলতে থাকেন দ্রোহের আগুনে। অনেকের ভাবনার জগতে ছিল না, এমনকি এখনও কেউ কেউ বিশ্বাস করতে পারেন না- এক কাপড়ে  পালিয়ে গেছেন নির্মম-পরাক্রমশালী স্বৈরশাসক হাসিনা সরকার। বায়েজিদুল ইসলাম সিয়াম বলেন,  সেই সময়ে সরকারের দোসর, ভারতের দোসর রবিউল মোকাতাদির ও তার দলে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের আন্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। অনেককে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছে। গুম, মামলা ও গুলি করে হত্যা করার হুমকি দিত। আগস্টের প্রথম দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন তীব্র আকারে ধারন করে তখন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীবাহিনী অনেক নির্যাতন করেছে, পিঠিয়েছে। আমরা প্রশাসন কে বলতে চাই ২০২১ সালে হেফাজতে আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পতন পর্যন্ত যত মানুষ উবায়দুল মোকতাদির ও তার সন্ত্রাসীরা করেছে তাদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করতে হবে। তাকসিন আরাফাত বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে গ্রামের কৃষক থেকে শুরু করে বিত্তবান মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কোন প্রকার বৈষম্য থাকবে না। প্রশাসনের সরকারি কর্মকর্তা -কর্মচারীদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা কোন দলের হযে কাজ করবেন না, আপনাদের পরিবার ও জনগনের চিন্তা এবং দুর্নীতি গ্রস্ত হাসিনা সরকার পতনের থেকে শিক্ষা গ্রহন করে সরকারি দায়িত্ব পালন করবেন। উল্লেখ গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে একমাস পূর্ণ হওয়ায় শহীদি মার্চ পালিত হয়েছে। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলার ও ইউনিয়ন পর্যাযের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বৈষম্য বিরোধী  ছাত্র ঐক্য ব্যানারে শহীদি মার্চ পালিত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বৈরশাসকের পতন একমাস পূর্ণহওয়ায় শহীদি মার্চ পালিত। 

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:৫১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঐতিহাসিক গণ অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক পতনের এক মাস পূর্ণ হলো আজ। বহু প্রাণের বিনিময়ে আলোর মুখ দেখেছে ছাত্র-জনতার বিপ্লব। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনটি ঘিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় ঘোষিত ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে । বৃহস্পতিবার(৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ঐক্যের আয়োজনে এই কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। ।  এর আগে একমাস পূর্ণ হওয়ায় প্রেসক্লাবে হতে আনন্দ র্যালী ও শহীদি মার্চ করে কাউতলি চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ছাত্র জনতার। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদি মার্চ কর্মসূচীতে তৌসিফ বক্তব্যে বলেন, আমাদের আন্দোলনের শুরুটা ছিল কোটা সংস্কার দাবিতে। আমাদের প্রতি সরকারের মারমুখী আচরন, সরকার পক্ষে থেকে উস্কানিমূলক বক্তব্য এবং লেলিয়ে দেয়া হয় পেটুয়া বাহিনী। আন্দোলন দমাতে সর্বোচ্চ বল প্রয়োগ করে সরকার। পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাবের পাশাপাশি, সেনাবাহিনী নামিয়ে করা হয় সান্ধ্য আইন। শাসকগোষ্ঠী যেন মেতে ওঠে রক্তের নেশায়। মূল্যহীন করে তোলে ছাত্র-জনতার জীবন। পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষণ অথবা পাহাড়-সমতল; মুক্তির নেশায় মেতে ওঠে সবাই। জ্বলতে থাকেন দ্রোহের আগুনে। অনেকের ভাবনার জগতে ছিল না, এমনকি এখনও কেউ কেউ বিশ্বাস করতে পারেন না- এক কাপড়ে  পালিয়ে গেছেন নির্মম-পরাক্রমশালী স্বৈরশাসক হাসিনা সরকার। বায়েজিদুল ইসলাম সিয়াম বলেন,  সেই সময়ে সরকারের দোসর, ভারতের দোসর রবিউল মোকাতাদির ও তার দলে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাদের আন্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। অনেককে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছে। গুম, মামলা ও গুলি করে হত্যা করার হুমকি দিত। আগস্টের প্রথম দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন তীব্র আকারে ধারন করে তখন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীবাহিনী অনেক নির্যাতন করেছে, পিঠিয়েছে। আমরা প্রশাসন কে বলতে চাই ২০২১ সালে হেফাজতে আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পতন পর্যন্ত যত মানুষ উবায়দুল মোকতাদির ও তার সন্ত্রাসীরা করেছে তাদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করতে হবে। তাকসিন আরাফাত বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে গ্রামের কৃষক থেকে শুরু করে বিত্তবান মানুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কোন প্রকার বৈষম্য থাকবে না। প্রশাসনের সরকারি কর্মকর্তা -কর্মচারীদের উদ্দেশ্য বলেন, আপনারা কোন দলের হযে কাজ করবেন না, আপনাদের পরিবার ও জনগনের চিন্তা এবং দুর্নীতি গ্রস্ত হাসিনা সরকার পতনের থেকে শিক্ষা গ্রহন করে সরকারি দায়িত্ব পালন করবেন। উল্লেখ গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে একমাস পূর্ণ হওয়ায় শহীদি মার্চ পালিত হয়েছে। এছাড়াও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলার ও ইউনিয়ন পর্যাযের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বৈষম্য বিরোধী  ছাত্র ঐক্য ব্যানারে শহীদি মার্চ পালিত হয়েছে।