ভারতে পাচার হওয়া শিশু নারীসহ ১০ বাংলাদেশী ফিরলেন।
- নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫:১২:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ মার্চ ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
কাজের সন্ধানে বিভিন্ন সময়ে দালালদের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে ভারতে গিয়ে আটক এবং কারাভোগ শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন ১০ বাংলাদেশি। শনিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সহকারী হাইকমিশন অফিসের সহযোগিতায় আগরতলা থেকে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা দেশে ফেরেন। দেশে ফেরত আসারা হলেন- নড়াইলের কালিয়া উপজেলার আল-আমীন মিনা, তার স্ত্রী কুলসুম বেগম, ছেলে রিফাত মিনা ও শিফাত মিনা এবং তার ভাই আহাদ মিনা। অন্যরা হলেন- একই উপজেলার রাজু শেখ, মোহাম্মদ মোল্লা ও তার স্ত্রী নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার সুমি আক্তার এবং তাদের চার মাস বয়সী সন্তান সানজিদ মোল্লা এবং নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার সাজেদা খাতুন। সাজা শেষে ত্রিপুরা রাজ্যের নরসিংগড় ডিটেনশন সেন্টারে তারা অবস্থান করছিলেন। তাদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন রয়েছে। তারা হলেন, নড়াইলের বাবুল মিয়ার ছেলে আল আমিন মিয়া তার ভাই আহাদ মিয়া, স্ত্রী কুলসুম বেগম, দুই ছেলে রিফাত মিয়া ও সিফাত মিয়া।দীর্ঘ দুই বছর কারাভোগ এবং সেইফ হোমে থাকার পর দুই দেশের সহযোগিতায় তারা দেশে ফিরে আসেন। এসময় আখাউড়া সীমান্তে অপেক্ষমান স্বজনদের দেখা পেয়ে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। নড়াইল কালিয়া উপজেলার শিরিনা বেগম বলেন, আমার পরিবারের ৫ জন দুই বছর আগে দালালের মাধ্যমে কাজের সন্ধ্যানে ভারতে গিয়ে আটকা পরে। এর মধ্যে ২ ছেলে, এক ছেলের বউ, ২ নাতি রয়েছে। দুই বছর পর তাদের ফেরত পেয়ে আমার খুব ভালো লাগছে। আমি যেন তাদের সঙ্গে শান্তিতে থাকতে পারি সেই কামনা করি। এসময় শূন্যরেখায় উপস্থিত ত্রিপুরাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন অফিসের কর্মকর্তা (কনস্যুলেট) মো. ওমর শরিফ জানান, দালালের মাধ্যমে চাকরির প্রত্যাশায় তারা ভারতের যান। তারা কাজের সন্ধ্যানে পাসপোর্ট ছাড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। ভারতের আদালতের নির্দেশে তারা সাজা ভোগ করেন। ছয় মাস কারাভোগের পর তারা সেখানকার একটি সেইফ হোমে ছিলেন। পরে আমরা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আজ দুই দেশের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে নিজ দেশ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ আখাউড়া উপজেলা প্রশানের সহকারী কমিশনার ভূমি প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী তাদের গ্রহন করেন। এসময় তিনি বলেন, তারা কাজের সন্ধ্যানে বের হয়ে দালালের মাধ্যমে ভারতে পাচার হয়েছিলেন। আমরা কাগজপত্র দেখে তাদেরকে গ্রহণ এবং পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। এ7সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের কনস্যুলার অফিসার মো. ইলিয়াস উদ্দিন, মো. ওমর শরীফ, আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, বিএসএফ ত্রিপুরাস্থ ডেপুটি কমান্ড রাম নরেশ সিং এবং আখাউড়া আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার হাবিলদার আব্দুল মোমেন প্রমুখ।