ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহীতে পুলি*শ দেখে নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃ*ত্যু সাংবাদিকদের রুটি-রুজি নিয়ে খেলবেন না ছাত্রদল নেতা কয়েস আহমদ এর কেক কাঁটার মধ্যে দিয়ে জন্মদিন পালন প্রবাসী স্ত্রীকে ফেরত পেতে চাই কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ ৬ বছর পর প্রবাসী স্ত্রী কে ফিরে পেতে এয়ারপোর্টে অঝোরে কাদলেন যুবক , ভেতরে ভেতরে আমরা সবাই শ্রমিক: ফেসবুক স্ট্যাটাসে বললেন নাগরপুরের ইউএনও আরাফাত মোহাম্মদ নোমান নাগরপুরে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালনে পাঁচ সংগঠনের বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও কর্মসূচি নাগরপুরে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন সাভার উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার্স সোসাইটি (সুজ) এর নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন।

রাজশাহীর তানোরে গাছে গাছে দুলছে সজিনা ডাটা এতে লাভবান হচ্ছে কৃষক

রিপোর্টার সাহিদ মন্ডল
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:৫০:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ২২ বার পড়া হয়েছে

সজনে গাছের বৈজ্ঞানিক নাম মরিঙ্গা ওলেইফেরা গড়ৎরহমধ ঙষবরভবৎধ, ইংরেজি নাম ড্রামস্টিক ট্রি আবার গবেষকদের মতে ‘মিরাক্কেল ট্রি’ বিস্ময় বৃক্ষ বা অলৌকিক গাছ পুষ্টিবিদদের মতে, সজনে গাছ ৩০০ ধরনের রোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করে। সজনের বাকল, শিকড়, ফুল-ফল, পাতা, বীজ এমনকি এর আঠাতেও পুষ্টি ও ঔষধিগুণ থাকায় ‘পুষ্টির ডিনামাইট’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয় সড়ক-মহাসড়কের পাশে, ক্ষেতের আইল, পুকুর পাড় ও বাঁধের ধার খাল-বিল ও নদীর ধার, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা মাঠ, পাড়া-মহল্লায় বসতবাড়ির আঙ্গিনা বিভিন্ন পতিত জমিসহ যে কোন ফাঁকা শুষ্ক জায়গায় সজনে গাছ লাগানো যায়। সজনে চাষে বীজ বা চারাও প্রয়োজন হয় না শুধু ডাল কেটে মাটিতে পুঁতে রাখলেই ডাল থেকে শাখা-প্রশাখা হয়ে গাছে পরিণত হয়। অবহেলা অযত্নে প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে উঠে ফলে তেমন কোন খরচ হয় না। সজনে চাষে আলাদা কোন জমি বা বিশেষ কোন পদ্ধতি গ্রহণ, রাসায়নিক সার পরিচর্যা বা বালাইনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না। সারা বছর সজনে ডাঁটার ফলন পাওয়া যায় তবে গ্রীষ্ম মৌসুমে বেশি। বাড়ির পতিত জমিতে পরিকল্পনা ছাড়াই বেড়ে ওঠা এসব গাছে বছরে একবারই সজনে ডাঁটা ধরে। আবার বারোমাসি নামে আরেক ধরনের সজনে গাছে বছরে তিন থেকে চার বার ফলন পাওয়া যায়। বিনা খরচে সজনে চাষ করে অধিক আয় পাওয়া যায়। তাঁরা নিজ উদ্যোগে সজনে গাছ লাগিয়ে থাকেন তবে কৃষি বিভাগও কৃষকদের জমিতে সজনের চাষ করতে উৎসাহিত করছেন। প্রতিটি গাছে গড়ে প্রায় ১৫-৩০ কেজি সজনে ডাঁটা হয় স্থানীয়ভাবে বিক্রয়ের পাশাপাশি হাট-বাজার থেকে পাইকাররা সজনে ডাঁটা কিনে নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানী করছেন। সজনের ডাঁটা ও পাতা বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাজশাহীর তানোরে গাছে গাছে দুলছে সজিনা ডাটা এতে লাভবান হচ্ছে কৃষক

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:৫০:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

সজনে গাছের বৈজ্ঞানিক নাম মরিঙ্গা ওলেইফেরা গড়ৎরহমধ ঙষবরভবৎধ, ইংরেজি নাম ড্রামস্টিক ট্রি আবার গবেষকদের মতে ‘মিরাক্কেল ট্রি’ বিস্ময় বৃক্ষ বা অলৌকিক গাছ পুষ্টিবিদদের মতে, সজনে গাছ ৩০০ ধরনের রোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করে। সজনের বাকল, শিকড়, ফুল-ফল, পাতা, বীজ এমনকি এর আঠাতেও পুষ্টি ও ঔষধিগুণ থাকায় ‘পুষ্টির ডিনামাইট’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয় সড়ক-মহাসড়কের পাশে, ক্ষেতের আইল, পুকুর পাড় ও বাঁধের ধার খাল-বিল ও নদীর ধার, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা মাঠ, পাড়া-মহল্লায় বসতবাড়ির আঙ্গিনা বিভিন্ন পতিত জমিসহ যে কোন ফাঁকা শুষ্ক জায়গায় সজনে গাছ লাগানো যায়। সজনে চাষে বীজ বা চারাও প্রয়োজন হয় না শুধু ডাল কেটে মাটিতে পুঁতে রাখলেই ডাল থেকে শাখা-প্রশাখা হয়ে গাছে পরিণত হয়। অবহেলা অযত্নে প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে উঠে ফলে তেমন কোন খরচ হয় না। সজনে চাষে আলাদা কোন জমি বা বিশেষ কোন পদ্ধতি গ্রহণ, রাসায়নিক সার পরিচর্যা বা বালাইনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না। সারা বছর সজনে ডাঁটার ফলন পাওয়া যায় তবে গ্রীষ্ম মৌসুমে বেশি। বাড়ির পতিত জমিতে পরিকল্পনা ছাড়াই বেড়ে ওঠা এসব গাছে বছরে একবারই সজনে ডাঁটা ধরে। আবার বারোমাসি নামে আরেক ধরনের সজনে গাছে বছরে তিন থেকে চার বার ফলন পাওয়া যায়। বিনা খরচে সজনে চাষ করে অধিক আয় পাওয়া যায়। তাঁরা নিজ উদ্যোগে সজনে গাছ লাগিয়ে থাকেন তবে কৃষি বিভাগও কৃষকদের জমিতে সজনের চাষ করতে উৎসাহিত করছেন। প্রতিটি গাছে গড়ে প্রায় ১৫-৩০ কেজি সজনে ডাঁটা হয় স্থানীয়ভাবে বিক্রয়ের পাশাপাশি হাট-বাজার থেকে পাইকাররা সজনে ডাঁটা কিনে নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানী করছেন। সজনের ডাঁটা ও পাতা বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা