ঢাকা ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শেরপুর সদর-১ আসনে ড. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কাকে বাসফোর পরিষদের ফুলেল শুভেচ্ছা “মাত্র ১০ সেকেন্ডের ভূ/মি/কম্পেই মানুষের অসহায়ত্ব প্রমাণ—জমিনের মালিক একমাত্র আল্লাহ” ভূ/মি/কম্প: মানুষের জন্য এক সতর্কবার্তা ভূমিকম্পে কাঁপল রাজধানী ঢাকা কেরানীগঞ্জ আশেপাশের এলাকা সহ ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সারা দেশ ঢাকা–কেরানীগঞ্জসহ সর্বত্র আতঙ্ক “নর্তকি সংসদে যেতে পারলে রিকশাচালক কেন পারবে না”—ঢাকা-৮ এনসিপির মনোনয়ন পাওয়া রিকশাচালক সুজনের লড়াই শেরপুরে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ওষুধ বিতরণ বাকেরগঞ্জ, বরিশাল-৬ আসন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ধানের শীষের মনোনয়ন প্রার্থী : জনাব আবুল হোসেন খান দীর্ঘ ৪০ বছরের যে উন্নয়ন হয়নি মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা, বরিশাল- ৪ আসনে আমি মনে করি আমার হাত দিয়ে সেই উন্নয়ন গুলি হবে যদি আমি জাতীয় সংসদে যেতে পারি : রাজিব আহসান ঢাকা–৭ আসনে জেএসডি মনোনীত প্রার্থী কবি সাহানা সুলতানার প্রচারণা গতিশীল—দোয়া ও সমর্থন কামনা

রাজশাহীর তানোরে গাছে গাছে দুলছে সজিনা ডাটা এতে লাভবান হচ্ছে কৃষক

রিপোর্টার সাহিদ মন্ডল
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:৫০:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৬৫ বার পড়া হয়েছে

সজনে গাছের বৈজ্ঞানিক নাম মরিঙ্গা ওলেইফেরা গড়ৎরহমধ ঙষবরভবৎধ, ইংরেজি নাম ড্রামস্টিক ট্রি আবার গবেষকদের মতে ‘মিরাক্কেল ট্রি’ বিস্ময় বৃক্ষ বা অলৌকিক গাছ পুষ্টিবিদদের মতে, সজনে গাছ ৩০০ ধরনের রোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করে। সজনের বাকল, শিকড়, ফুল-ফল, পাতা, বীজ এমনকি এর আঠাতেও পুষ্টি ও ঔষধিগুণ থাকায় ‘পুষ্টির ডিনামাইট’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয় সড়ক-মহাসড়কের পাশে, ক্ষেতের আইল, পুকুর পাড় ও বাঁধের ধার খাল-বিল ও নদীর ধার, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা মাঠ, পাড়া-মহল্লায় বসতবাড়ির আঙ্গিনা বিভিন্ন পতিত জমিসহ যে কোন ফাঁকা শুষ্ক জায়গায় সজনে গাছ লাগানো যায়। সজনে চাষে বীজ বা চারাও প্রয়োজন হয় না শুধু ডাল কেটে মাটিতে পুঁতে রাখলেই ডাল থেকে শাখা-প্রশাখা হয়ে গাছে পরিণত হয়। অবহেলা অযত্নে প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে উঠে ফলে তেমন কোন খরচ হয় না। সজনে চাষে আলাদা কোন জমি বা বিশেষ কোন পদ্ধতি গ্রহণ, রাসায়নিক সার পরিচর্যা বা বালাইনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না। সারা বছর সজনে ডাঁটার ফলন পাওয়া যায় তবে গ্রীষ্ম মৌসুমে বেশি। বাড়ির পতিত জমিতে পরিকল্পনা ছাড়াই বেড়ে ওঠা এসব গাছে বছরে একবারই সজনে ডাঁটা ধরে। আবার বারোমাসি নামে আরেক ধরনের সজনে গাছে বছরে তিন থেকে চার বার ফলন পাওয়া যায়। বিনা খরচে সজনে চাষ করে অধিক আয় পাওয়া যায়। তাঁরা নিজ উদ্যোগে সজনে গাছ লাগিয়ে থাকেন তবে কৃষি বিভাগও কৃষকদের জমিতে সজনের চাষ করতে উৎসাহিত করছেন। প্রতিটি গাছে গড়ে প্রায় ১৫-৩০ কেজি সজনে ডাঁটা হয় স্থানীয়ভাবে বিক্রয়ের পাশাপাশি হাট-বাজার থেকে পাইকাররা সজনে ডাঁটা কিনে নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানী করছেন। সজনের ডাঁটা ও পাতা বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাজশাহীর তানোরে গাছে গাছে দুলছে সজিনা ডাটা এতে লাভবান হচ্ছে কৃষক

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:৫০:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

সজনে গাছের বৈজ্ঞানিক নাম মরিঙ্গা ওলেইফেরা গড়ৎরহমধ ঙষবরভবৎধ, ইংরেজি নাম ড্রামস্টিক ট্রি আবার গবেষকদের মতে ‘মিরাক্কেল ট্রি’ বিস্ময় বৃক্ষ বা অলৌকিক গাছ পুষ্টিবিদদের মতে, সজনে গাছ ৩০০ ধরনের রোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করে। সজনের বাকল, শিকড়, ফুল-ফল, পাতা, বীজ এমনকি এর আঠাতেও পুষ্টি ও ঔষধিগুণ থাকায় ‘পুষ্টির ডিনামাইট’ হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয় সড়ক-মহাসড়কের পাশে, ক্ষেতের আইল, পুকুর পাড় ও বাঁধের ধার খাল-বিল ও নদীর ধার, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা মাঠ, পাড়া-মহল্লায় বসতবাড়ির আঙ্গিনা বিভিন্ন পতিত জমিসহ যে কোন ফাঁকা শুষ্ক জায়গায় সজনে গাছ লাগানো যায়। সজনে চাষে বীজ বা চারাও প্রয়োজন হয় না শুধু ডাল কেটে মাটিতে পুঁতে রাখলেই ডাল থেকে শাখা-প্রশাখা হয়ে গাছে পরিণত হয়। অবহেলা অযত্নে প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে উঠে ফলে তেমন কোন খরচ হয় না। সজনে চাষে আলাদা কোন জমি বা বিশেষ কোন পদ্ধতি গ্রহণ, রাসায়নিক সার পরিচর্যা বা বালাইনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না। সারা বছর সজনে ডাঁটার ফলন পাওয়া যায় তবে গ্রীষ্ম মৌসুমে বেশি। বাড়ির পতিত জমিতে পরিকল্পনা ছাড়াই বেড়ে ওঠা এসব গাছে বছরে একবারই সজনে ডাঁটা ধরে। আবার বারোমাসি নামে আরেক ধরনের সজনে গাছে বছরে তিন থেকে চার বার ফলন পাওয়া যায়। বিনা খরচে সজনে চাষ করে অধিক আয় পাওয়া যায়। তাঁরা নিজ উদ্যোগে সজনে গাছ লাগিয়ে থাকেন তবে কৃষি বিভাগও কৃষকদের জমিতে সজনের চাষ করতে উৎসাহিত করছেন। প্রতিটি গাছে গড়ে প্রায় ১৫-৩০ কেজি সজনে ডাঁটা হয় স্থানীয়ভাবে বিক্রয়ের পাশাপাশি হাট-বাজার থেকে পাইকাররা সজনে ডাঁটা কিনে নিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানী করছেন। সজনের ডাঁটা ও পাতা বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা