ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ  আলোচনা গণতান্ত্রিক শাসন শক্তিশালী করার উপায় নিয়ে শাহরাস্তির আতঙ্ক জাবেদ বাহিনী, মসজিদের জায়গা জবর দখল, দালালী আর মামলাবাজিতে হাতিয়েছেন ২ হাজার কোটি টাকা : রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। ময়মনসিংহ রেঞ্জের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত  গাজীপুর জেলা শাখা অন্তর্গত “শ্রীপুর উপজেলা” শাখার কমিটির অনুমোদন।  বেকারত্ব নিরসনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা নোয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময়  তবে উদ্যোগ রাজনৈতিক’ আমরা রাজনৈতিক দল নই তাহলে কি নিজেদের জালে-ই ফেঁসে গেলো ছাত্র সংঘটন!

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে যোগ দিলেন গণ অধিকার পরিষদ এর অর্থ সম্পাদক সাইফুলা হায়দার। 

সিপন রানা নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ১২:৩৭:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ২৪৯ বার পড়া হয়েছে

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে যোগ দিলেন গণ অধিকার পরিষদ এর অর্থ সম্পাদক সাইফুলা হায়দার।

তিনি এক ফেজবুক স্ট্যাটাস এ বলেন বর্তমান জায়গায় দাঁড়িয়ে যদি প্রশ্ন করা হয় আমরা এখন কী করবো? তাহলে আগে বুঝতে হবে আমরা আসলে কী করতে চেয়েছিলাম এবং কী করতাম। ১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে রাস্তায় ছাত্রদের চমৎকার শৃঙ্খলা বাস্তবায়ন করে দেখানো, লাইন ধরে গাড়ি চলা, ইমার্জেন্সি লেন এসব দেখার পর মনে হয়েছিলো এই রাষ্ট্রের মূল সমস্যা আসলে পরিচালন ব্যবস্থায়। এই ব্যবস্থা বদলাতে পারলেই খুব সুন্দর একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণ সম্ভব। পরপর দুইটি সফল ছাত্র আন্দোলনের পরে অসংখ্য মানুষের মতো আমিও হৃদয়ের সবটুকু দিয়ে বিশ্বাস করেছিলাম আমরাই পারবো, এটা আমাদেরই দ্বায়িত্ব।

 

যার ফলশ্রুতিতেই অধিকার পরিষদের রাজনৈতিক কাঠামো বিনির্মানে অংশগ্রহণ। আমরা সর্বতোভাবেই বিশ্বাস করেছিলাম অধিকার পরিষদের মাধ্যমেই রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তন হবে, আর আমরাই করবো। অধিকার পরিষদের মাধ্যমে আমরা স্পষ্টভাবে “রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তনের” সংগ্রামই করে গেছি বা করতে চেয়েছি। কারণ রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তনের এই সংগ্রামকে আমরা আমাদের জীবনের লড়াই বলে মনে করি একইসাথে আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ অস্তিত্বের লড়াই মনে করি। তাই কোনো অবস্থাতেই এই লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানো কিংবা পথ পরিবর্তন আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

 

সময়ের সাথে আপনাদের অনেকের মতোই আমাদেরও মনে হয়েছে আমাদের আকাঙ্খা ও সংগঠনের চলার পথ ঠিক মিলছে না। মনে হয়েছে “রাষ্ট্র ব্যবস্থা” পরিবর্তনের লড়াই ও নতুন বাংলাদেশ গঠনের উপযোগী সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে ওঠছে না বা সেই উদ্যোগও অনুপস্থিত বা গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না বিভিন্ন কারনে। ফলে তৈরি হচ্ছে নানা অভ্যন্তরীন সমস্যা। কিন্তু এরপরেও আশা ছিলো এরকম একঝাঁক তরুণ ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলে হয়তো পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব হতেও পারে। কিন্তু ব্যক্তি কোন্দলে দল বিভক্ত হয়ে যাওয়ার ভেতর দিয়ে সেই স্বপ্নও শেষ হয়ে যায়। এরপরেও চেষ্টা করেছি একত্রিত করার বা হওয়ার। যেখানে আপনারা দেখেছেন কেউ কেউ প্রকাশ্যে ঐক্য চেষ্টার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে দিয়েছে।

 

সব আশাই যখন শেষ হয়ে যায় তখন আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতেই হতো আমাদের সেই প্রতিশ্রুত “রাষ্ট্র ব্যবস্থা” পরিবর্তনের সংগ্রাম আমরা কীভাবে এগিয়ে নিবো। আমাদেরকে আন্তরিকতার সাথেই খুঁজে দেখতে হয়েছে কারা এই সংগ্রাম সততার সাথে করছে এবং আমাদের মতোই এই সংগ্রামকে অস্তিত্বের লড়াই বলে মনে করে। খুুঁজতে গিয়ে অধিকার পরিষদ গঠনের শুরুর দিকে আমাদের এই সংস্কারবাদী রাজনীতির সব থেকে বড় বন্ধু “রাষ্ট্র চিন্তা”র দিকেও তাকাতে হয়েছে। যারা আমাদের সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে “রাষ্ট্র ব্যবস্থা” বদলের রাজনীতি শিক্ষা দিয়েছিলো এবং সবসময় বন্ধুর মতো পাশে ছিলো। আমাদের পর্যবেক্ষণে আমরা যথেষ্ট নিশ্চিত হয়েছি যে, রাষ্ট্র চিন্তা “রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন” নামে পার্টি গঠনের মাধমে এখনও “রাষ্ট্র ব্যবস্থা” বদলের সেই রাজনীতিতেই অটল আছে। সেখানেই আমরা রাজনৈতিক শেকড়ে ফিরে যাওয়ার একটা তাড়না বোধ করি। তাছাড়া ফ্যাসিবাদ পতনের যে লড়াই ১৮ সাল থেকে করে আসছি তার চুড়ান্ত সময় চলছে তাই এই সময়ে আমরা কোনোভাবেই ঘরে বসে থাকতে পারি না। তাই সবকিছু বিবেচনা করে আমরা নিজ নিজ সিদ্ধান্তে “রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন”-এ অংশগ্রহণের মাধ্যে আমাদের সংগ্রামকে চালিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে যোগ দিলেন গণ অধিকার পরিষদ এর অর্থ সম্পাদক সাইফুলা হায়দার। 

নিউজ প্রকাশের সময় : ১২:৩৭:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে যোগ দিলেন গণ অধিকার পরিষদ এর অর্থ সম্পাদক সাইফুলা হায়দার।

তিনি এক ফেজবুক স্ট্যাটাস এ বলেন বর্তমান জায়গায় দাঁড়িয়ে যদি প্রশ্ন করা হয় আমরা এখন কী করবো? তাহলে আগে বুঝতে হবে আমরা আসলে কী করতে চেয়েছিলাম এবং কী করতাম। ১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে রাস্তায় ছাত্রদের চমৎকার শৃঙ্খলা বাস্তবায়ন করে দেখানো, লাইন ধরে গাড়ি চলা, ইমার্জেন্সি লেন এসব দেখার পর মনে হয়েছিলো এই রাষ্ট্রের মূল সমস্যা আসলে পরিচালন ব্যবস্থায়। এই ব্যবস্থা বদলাতে পারলেই খুব সুন্দর একটি রাষ্ট্র বিনির্মাণ সম্ভব। পরপর দুইটি সফল ছাত্র আন্দোলনের পরে অসংখ্য মানুষের মতো আমিও হৃদয়ের সবটুকু দিয়ে বিশ্বাস করেছিলাম আমরাই পারবো, এটা আমাদেরই দ্বায়িত্ব।

 

যার ফলশ্রুতিতেই অধিকার পরিষদের রাজনৈতিক কাঠামো বিনির্মানে অংশগ্রহণ। আমরা সর্বতোভাবেই বিশ্বাস করেছিলাম অধিকার পরিষদের মাধ্যমেই রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তন হবে, আর আমরাই করবো। অধিকার পরিষদের মাধ্যমে আমরা স্পষ্টভাবে “রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তনের” সংগ্রামই করে গেছি বা করতে চেয়েছি। কারণ রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তনের এই সংগ্রামকে আমরা আমাদের জীবনের লড়াই বলে মনে করি একইসাথে আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ অস্তিত্বের লড়াই মনে করি। তাই কোনো অবস্থাতেই এই লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানো কিংবা পথ পরিবর্তন আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

 

সময়ের সাথে আপনাদের অনেকের মতোই আমাদেরও মনে হয়েছে আমাদের আকাঙ্খা ও সংগঠনের চলার পথ ঠিক মিলছে না। মনে হয়েছে “রাষ্ট্র ব্যবস্থা” পরিবর্তনের লড়াই ও নতুন বাংলাদেশ গঠনের উপযোগী সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে ওঠছে না বা সেই উদ্যোগও অনুপস্থিত বা গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না বিভিন্ন কারনে। ফলে তৈরি হচ্ছে নানা অভ্যন্তরীন সমস্যা। কিন্তু এরপরেও আশা ছিলো এরকম একঝাঁক তরুণ ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারলে হয়তো পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব হতেও পারে। কিন্তু ব্যক্তি কোন্দলে দল বিভক্ত হয়ে যাওয়ার ভেতর দিয়ে সেই স্বপ্নও শেষ হয়ে যায়। এরপরেও চেষ্টা করেছি একত্রিত করার বা হওয়ার। যেখানে আপনারা দেখেছেন কেউ কেউ প্রকাশ্যে ঐক্য চেষ্টার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে দিয়েছে।

 

সব আশাই যখন শেষ হয়ে যায় তখন আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতেই হতো আমাদের সেই প্রতিশ্রুত “রাষ্ট্র ব্যবস্থা” পরিবর্তনের সংগ্রাম আমরা কীভাবে এগিয়ে নিবো। আমাদেরকে আন্তরিকতার সাথেই খুঁজে দেখতে হয়েছে কারা এই সংগ্রাম সততার সাথে করছে এবং আমাদের মতোই এই সংগ্রামকে অস্তিত্বের লড়াই বলে মনে করে। খুুঁজতে গিয়ে অধিকার পরিষদ গঠনের শুরুর দিকে আমাদের এই সংস্কারবাদী রাজনীতির সব থেকে বড় বন্ধু “রাষ্ট্র চিন্তা”র দিকেও তাকাতে হয়েছে। যারা আমাদের সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে “রাষ্ট্র ব্যবস্থা” বদলের রাজনীতি শিক্ষা দিয়েছিলো এবং সবসময় বন্ধুর মতো পাশে ছিলো। আমাদের পর্যবেক্ষণে আমরা যথেষ্ট নিশ্চিত হয়েছি যে, রাষ্ট্র চিন্তা “রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন” নামে পার্টি গঠনের মাধমে এখনও “রাষ্ট্র ব্যবস্থা” বদলের সেই রাজনীতিতেই অটল আছে। সেখানেই আমরা রাজনৈতিক শেকড়ে ফিরে যাওয়ার একটা তাড়না বোধ করি। তাছাড়া ফ্যাসিবাদ পতনের যে লড়াই ১৮ সাল থেকে করে আসছি তার চুড়ান্ত সময় চলছে তাই এই সময়ে আমরা কোনোভাবেই ঘরে বসে থাকতে পারি না। তাই সবকিছু বিবেচনা করে আমরা নিজ নিজ সিদ্ধান্তে “রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন”-এ অংশগ্রহণের মাধ্যে আমাদের সংগ্রামকে চালিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার করেছি।