ঢাকা ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর আইন বিধান প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের লক্ষ্যে ইসলামী সমাজ। ডাকুয়া ইউনিয়ন প্রভাবশালীদের দখলে রেকর্ডের জমি ও সরকারি খাস জমি।  চান্দিনা মহিলা কলেজে পাঁচ দফা দাবি সহ উপাধ্যক্ষ ও প্রভাষকের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রীদের আন্দোলন ১১ দফা দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির(বিটিএ) সংবাদ সম্মেলন। ছাত্র-জনতার বিজয়কে পুঁজি করে মাজার-দরগায় হামলা করছে ওলী বিদ্বেষীরা”মাজারে হামলার বিরুদ্ধে বিটিপি’র প্রতিবাদ সভা আইপিডিসি ফাইন্যান্সে নিয়োগ, সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন গন অভ্যুস্খান পরবর্তী তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভা। নবাগত সম্মানিত পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম শেরপুর জেলায় যোগদান ও দায়িত্বভার গ্রহণ” দেওয়ানগঞ্জে ছাত্র অধিকার পরিষদের ত্রি বার্ষিক সম্মেলন। অর্থের বিনিময়ে পেলেন রেহাই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে

শিশুসহ আহত ৫৬ চুয়াডাঙ্গায় কুকুরের কামড়ে 

রিপোর্টার মোঃ আলমগীর হোসেন 
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:৪৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪ ১৫ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে বেড়েছে বেওয়ারিশ কুকুরের দৌরাত্ম্য। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, শিশু, পথচারীসহ সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে চরম বিড়ম্বনায়। রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে কুকুরের ভয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে পথচারীসহ স্থানীয়দের। প্রায় প্রতিদিনই কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন মানুষ এসব কুকুর নিধনে পৌরসভা ও প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ না থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন সুবিধা না থাকায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাক্সিন রয়েছে। গত ৬ দিনে অর্থাৎ ১ জুন থেকে ৬ জুন বিকেল ৩টা পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে শিশুসহ মোট চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৬ জন। বিশেষ করে গতকাল শনিবার এবং বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৩২ জন লোক কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন নেই।এছাড়া রাতে বেওয়ারিশ কুকুরগুলোর ঘেউ ঘেউ শব্দে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে এলাকাবাসীর। রাতে কেউ মহল্লায় চলতে গেলে দল বেধে কুকুর এসে পথ আটকে রাখে। কেবল যে পায়ে হাঁটা পথিক কুকুরের আক্রমণের শিকার, তা নয়। মোটরবাইক আরোহীদের ওপরও কুকুরগুলো চড়াও হচ্ছে।এদিকে, জেলার দামুড়হুদা, আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ এসব জায়গায় নেই অ্যান্টি-র‍্যাবিস ভ্যাকসিন। ফলে কুকুর-বিড়ালে আঁচড় কিংবা কামড়ালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এসে ভ্যাকসিন দিতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তি পড়ছেন রোগীরা।ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, আমার বাড়ি আলমডাঙ্গাতে। গতকাল একটি কুকুর কামড়ে দিয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে তারা জানান এখানে ভ্যাকসিন নেই। কিনে দিতে হবে, অথবা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গিয়ে দিতে হবে। পরে বাধ্য হয়ে সদর হাসপাতালে এসেছি। সদর হাসপাতালের পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন রাখার দাবি জানান তিনি। ভুক্তভোগীরা জানান, শহরের বিভিন্ন সড়কে কুকুরের উৎপাত বেড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় পাগলা কুকুরের আক্রমণে শিশুসহ নারী-পুরুষ জখম হচ্ছে। রাতের বেলা সড়কের ওপর শুয়ে থাকছে কুকুরের দল। এতে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে।চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন সুমিয়াদিয়া এলাকার বিজয় আরিয়ান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের এলাকায় গত চারদিনে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ মোট ৬ জন আহত হয়েছে। যাকে পাচ্ছে তাকে কামড়ে দিচ্ছে। আবার পাশ দিয়ে কেউ গেলে তেড়ে আসছে। এতে এলাকায় রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। পরে গতকাল কে বা কারা কুকুরটাকে মেরে ফেলেছে বলে শুনেছি।চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আইন অনুযায়ী কুকুর নিধনের অনুমতি নেই। তবে যেহেতু শহরে কুকুরের উৎপাত বেড়েছে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ড. কিসিঞ্জার চাকমা ঢাকা বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে কিছু এখতেয়ার দেওয়া আছে, যদি জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ে সে ক্ষেত্রে বেওয়ারিশ কুকুরের বিষয়ে কিছু কার্যক্রম আছে। সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা ব্যবস্থা নিতে পারে। আমি হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে পরিসখ্যান নেব। প্রয়োজনে পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে নির্দেশনা দেব। তিনি আরও বলেন, শুধু কুকুর না, অন্য কোনো প্রাণীর ওপর কেউ যেন অযাচিত ক্ষতি না করে সেটাও আমাদের দেখতে হবে।নিয়মতান্ত্রিকভাবে সেভাবে পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করা উচিত, যদি জনস্বাস্থ্যের হুমকি হয় সেগুলো বিধিবিধান প্রক্রিয়া আছে। চাইলেই কুকুর মেরে ফেলা যায় না। আইনত কিছু বিধিনিষেধ রয়ে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

শিশুসহ আহত ৫৬ চুয়াডাঙ্গায় কুকুরের কামড়ে 

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:৪৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে বেড়েছে বেওয়ারিশ কুকুরের দৌরাত্ম্য। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, শিশু, পথচারীসহ সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে চরম বিড়ম্বনায়। রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে কুকুরের ভয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে পথচারীসহ স্থানীয়দের। প্রায় প্রতিদিনই কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন মানুষ এসব কুকুর নিধনে পৌরসভা ও প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ না থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন সুবিধা না থাকায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাক্সিন রয়েছে। গত ৬ দিনে অর্থাৎ ১ জুন থেকে ৬ জুন বিকেল ৩টা পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে শিশুসহ মোট চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৬ জন। বিশেষ করে গতকাল শনিবার এবং বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৩২ জন লোক কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন নেই।এছাড়া রাতে বেওয়ারিশ কুকুরগুলোর ঘেউ ঘেউ শব্দে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটছে এলাকাবাসীর। রাতে কেউ মহল্লায় চলতে গেলে দল বেধে কুকুর এসে পথ আটকে রাখে। কেবল যে পায়ে হাঁটা পথিক কুকুরের আক্রমণের শিকার, তা নয়। মোটরবাইক আরোহীদের ওপরও কুকুরগুলো চড়াও হচ্ছে।এদিকে, জেলার দামুড়হুদা, আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ এসব জায়গায় নেই অ্যান্টি-র‍্যাবিস ভ্যাকসিন। ফলে কুকুর-বিড়ালে আঁচড় কিংবা কামড়ালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এসে ভ্যাকসিন দিতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তি পড়ছেন রোগীরা।ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, আমার বাড়ি আলমডাঙ্গাতে। গতকাল একটি কুকুর কামড়ে দিয়েছে। আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে তারা জানান এখানে ভ্যাকসিন নেই। কিনে দিতে হবে, অথবা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গিয়ে দিতে হবে। পরে বাধ্য হয়ে সদর হাসপাতালে এসেছি। সদর হাসপাতালের পাশাপাশি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন রাখার দাবি জানান তিনি। ভুক্তভোগীরা জানান, শহরের বিভিন্ন সড়কে কুকুরের উৎপাত বেড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় পাগলা কুকুরের আক্রমণে শিশুসহ নারী-পুরুষ জখম হচ্ছে। রাতের বেলা সড়কের ওপর শুয়ে থাকছে কুকুরের দল। এতে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে।চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন সুমিয়াদিয়া এলাকার বিজয় আরিয়ান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের এলাকায় গত চারদিনে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ মোট ৬ জন আহত হয়েছে। যাকে পাচ্ছে তাকে কামড়ে দিচ্ছে। আবার পাশ দিয়ে কেউ গেলে তেড়ে আসছে। এতে এলাকায় রীতিমতো আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। পরে গতকাল কে বা কারা কুকুরটাকে মেরে ফেলেছে বলে শুনেছি।চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আইন অনুযায়ী কুকুর নিধনের অনুমতি নেই। তবে যেহেতু শহরে কুকুরের উৎপাত বেড়েছে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ড. কিসিঞ্জার চাকমা ঢাকা বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে কিছু এখতেয়ার দেওয়া আছে, যদি জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ে সে ক্ষেত্রে বেওয়ারিশ কুকুরের বিষয়ে কিছু কার্যক্রম আছে। সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা ব্যবস্থা নিতে পারে। আমি হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে পরিসখ্যান নেব। প্রয়োজনে পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে নির্দেশনা দেব। তিনি আরও বলেন, শুধু কুকুর না, অন্য কোনো প্রাণীর ওপর কেউ যেন অযাচিত ক্ষতি না করে সেটাও আমাদের দেখতে হবে।নিয়মতান্ত্রিকভাবে সেভাবে পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করা উচিত, যদি জনস্বাস্থ্যের হুমকি হয় সেগুলো বিধিবিধান প্রক্রিয়া আছে। চাইলেই কুকুর মেরে ফেলা যায় না। আইনত কিছু বিধিনিষেধ রয়ে গেছে।