ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জেলা বিএনপি আহবায়ক এড.মান্নানের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়। অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে।

শেখ হাসিনা সরকার পুরো দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন  

মোঃ মাহাবুব আলম চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান 
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪ ১৭ বার পড়া হয়েছে

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কী ক্ষতি করেছেন, বলতে পারেন উনি বাংলাদেশের অনেকগুলো ব্যাংক লুট করিয়েছেন উনার অনুগতদের দিয়ে। এইটাই সবচেয়ে বড় ক্ষতি। এই ক্ষতির ক্ষত বাংলাদেশকে বয়ে বেড়াতে হবে বহু বছর।আজকের খবর অনুযায়ী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম একাই নিয়ে গেছেন ৫০,০০০ কোটি টাকা; প্রায় ৫০০ কোটি ডলার।ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক আর ন্যাশনাল ব্যাংক- মোট আটটা ব্যাংক একাই দখল করে বসে ছিলেন এস আলম।এক ব্যাংক থেকেই যদি ৫ বিলিয়ন ডলার নিয়ে থাকেন (এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, নিয়েছেন আরো বেশি), ৮ ব্যাংক থেকে কতো নিয়েছেন, ধারণা করেন।এই লুটপাট এস আলম একা একা করতে পারেননি। এস আলমকে সহায়তা করেছে শেখ হাসিনার সরকারের অনেকগুলো অঙ্গ।আপনি শিশু কিংবা পাগল না হলে এতোটুকু বুঝবেন, এই টাকাগুলো এস আলম একাই ভোগ করেননি। শেখ হাসিনা এবং তার বোনকেও ভাগ দিয়েছেন নিশ্চয়ই।সবচেয়ে বিপদের কথা হলো, লুট করা টাকাগুলো দেশে নেই। ডলারে রুপান্তর হয়ে বিদেশে পাচার হয়ে গেছে বেশিরভাগ টাকা। সেই লুটপাট এর অনুসন্ধান বন্ধ করতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে ব্যবহার করেছেন শেখ হাসিনা।বেসিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক- এরকম আরো অনেক ব্যাংকও লুটেছেন শেখ হাসিনার অন্যান্য লোকজন। অনেকগুলো লিজিং কোম্পানি লুট হয়েছে, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লুট হয়েছে, লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লুট হয়েছে। লুটপাট এমন মাত্রায় হয়েছে যে, সঠিক চিত্র তুলে আনাই মুশকিল।এই লুটপাটের কারণে এখন দেশের ব্যাংকগুলো খালি। আমাদের টাকার পারচেজিং পাওয়ার দিনদিন কমছে। আমাদের সামনে কঠিন দিন, কঠিন রাত।চাইলেই এই লুট করা টাকা ফিরিয়ে আনা যাবেনা। ডলার পাচার করা হয়ে গেলে সেগুলো ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব কাজ।লুটপাট করে আমাদের ভবিষ্যতকে কেমন করে অনিশ্চিত করে দিয়েছেন শেখ হাসিনার লোকেরা, তার একটা উদাহরণ দিই।৩০.০৬.২০২৪ ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকের মোট সম্পদ ছিলো ২১৮,০৮৩ কোটি টাকা, মোট দায়ও তাই।মোট আমানত ছিলো ১৫৯,৪৬৮ কোটি টাকা। মোট বিনিয়োগ ১৭২,২৩৫ কোটি টাকা। আমানতের চেয়ে ঋণ ১২,৭৬৭ কোটি টাকা বেশি!এই ১৭২,২৩৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ এর মধ্যে অন্তত: ৫০,০০০ কোটি টাকা আর ফিরে আসবে না।এখন, ইসলামী ব্যাংক চলতে পারছে না।বাংলাদেশ ব্যাংকে বিধিবদ্ধ জমা রাখতে হয় মোট আমানতের ৯.৫%। সেইটা রাখতে পারছে না।আজকে বাংলাদেশ ব্যাংকে ইসলামী ব্যাংকের চলতি হিসেবের ব্যালান্স -৭,১২৮ কোটি টাকা।ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকে ইচ্ছেমতো টাকা স্থানান্তর করতে পারছেন না। চেক ডিজঅনার হচ্ছে।এখন, ইসলামী ব্যাংকের ৫% আমানতকারীও যদি নিজেদের টাকা তোলার জন্য ব্যাংকের শাখাগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে যান, ব্যাংক টাকা দিতে পারবেনা ইসলামী ব্যাংক তাহলে কী করবেন? বন্ধ করে দিবেন? সব আমানত ফেরত না দিয়ে তো ব্যাংক বন্ধ করে দেয়া যাবেনা ইসলামী ব্যাংক কি অন্য ব্যাংকের সাথে মার্জ করে দেবেন? কে নেবে এই দায়?ব্যাংকের লাভ থেকে এই ৫০,০০০ কোটি টাকা পুরিয়ে দেবেন? ইসলামী ব্যাংক বছরে ৩,০০০ কোটি টাকা লাভ করে। ট্যাক্স দেবার পরে ১,৫০০ কোটিও টেকে না। কতো বছর লাগবে?দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীরা।ব্যাংক লুট করার পাশাপাশি বিদেশ থেকে লোন এনে উন্নয়নের নামে লুটপাটও করেছেন শেখ হাসিনা এবং তাঁর স্যাঙাতেরা।এখন, আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণ অন্ধকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন বটে, কিন্তু উনাদের হাতে জাদুর কাঠি নেই। ঋণ পরিশোধ না করলে বিদেশীরা ছাড় দেবে না। এলসির ডলার না পাঠালে পণ্যও আসবে না।আগামীতে কেমন করে চলবে দেশ, এই চিন্তা বাংলাদেশের ১% মানুষও করছেন না। এমন সংকটেও মুক্তিযুদ্ধ, চেতনা, দলবাজি, অনুভূতি, আওয়ামী লীগ, এইগুলা এদেশের নেতাদের প্রধান সমস্যা।যেদিন বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণের কিস্তি দিতে পারবেনা, আমদানির মূল্য পরিশোধ করতে পারবে না- সেইদিন খুব দূরে নয়।শেখ হাসিনা দেশের এই পরিমাণ ক্ষতি করার পরেও যারা চেতনার বুলি আওড়াচ্ছেন, শেখ হাসিনাকে আকারে ইঙ্গিতে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করছেন, ‘এই স্বাধীনতা চেয়েছিলাম’ বলে ভেংচি কাটছেন- তাদের জন্য করুণা। আপনারা একটু বিবেকের আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে নিয়েন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

শেখ হাসিনা সরকার পুরো দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন  

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪

শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কী ক্ষতি করেছেন, বলতে পারেন উনি বাংলাদেশের অনেকগুলো ব্যাংক লুট করিয়েছেন উনার অনুগতদের দিয়ে। এইটাই সবচেয়ে বড় ক্ষতি। এই ক্ষতির ক্ষত বাংলাদেশকে বয়ে বেড়াতে হবে বহু বছর।আজকের খবর অনুযায়ী বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম একাই নিয়ে গেছেন ৫০,০০০ কোটি টাকা; প্রায় ৫০০ কোটি ডলার।ইসলামী ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক আর ন্যাশনাল ব্যাংক- মোট আটটা ব্যাংক একাই দখল করে বসে ছিলেন এস আলম।এক ব্যাংক থেকেই যদি ৫ বিলিয়ন ডলার নিয়ে থাকেন (এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, নিয়েছেন আরো বেশি), ৮ ব্যাংক থেকে কতো নিয়েছেন, ধারণা করেন।এই লুটপাট এস আলম একা একা করতে পারেননি। এস আলমকে সহায়তা করেছে শেখ হাসিনার সরকারের অনেকগুলো অঙ্গ।আপনি শিশু কিংবা পাগল না হলে এতোটুকু বুঝবেন, এই টাকাগুলো এস আলম একাই ভোগ করেননি। শেখ হাসিনা এবং তার বোনকেও ভাগ দিয়েছেন নিশ্চয়ই।সবচেয়ে বিপদের কথা হলো, লুট করা টাকাগুলো দেশে নেই। ডলারে রুপান্তর হয়ে বিদেশে পাচার হয়ে গেছে বেশিরভাগ টাকা। সেই লুটপাট এর অনুসন্ধান বন্ধ করতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে ব্যবহার করেছেন শেখ হাসিনা।বেসিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক- এরকম আরো অনেক ব্যাংকও লুটেছেন শেখ হাসিনার অন্যান্য লোকজন। অনেকগুলো লিজিং কোম্পানি লুট হয়েছে, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লুট হয়েছে, লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লুট হয়েছে। লুটপাট এমন মাত্রায় হয়েছে যে, সঠিক চিত্র তুলে আনাই মুশকিল।এই লুটপাটের কারণে এখন দেশের ব্যাংকগুলো খালি। আমাদের টাকার পারচেজিং পাওয়ার দিনদিন কমছে। আমাদের সামনে কঠিন দিন, কঠিন রাত।চাইলেই এই লুট করা টাকা ফিরিয়ে আনা যাবেনা। ডলার পাচার করা হয়ে গেলে সেগুলো ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব কাজ।লুটপাট করে আমাদের ভবিষ্যতকে কেমন করে অনিশ্চিত করে দিয়েছেন শেখ হাসিনার লোকেরা, তার একটা উদাহরণ দিই।৩০.০৬.২০২৪ ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকের মোট সম্পদ ছিলো ২১৮,০৮৩ কোটি টাকা, মোট দায়ও তাই।মোট আমানত ছিলো ১৫৯,৪৬৮ কোটি টাকা। মোট বিনিয়োগ ১৭২,২৩৫ কোটি টাকা। আমানতের চেয়ে ঋণ ১২,৭৬৭ কোটি টাকা বেশি!এই ১৭২,২৩৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ এর মধ্যে অন্তত: ৫০,০০০ কোটি টাকা আর ফিরে আসবে না।এখন, ইসলামী ব্যাংক চলতে পারছে না।বাংলাদেশ ব্যাংকে বিধিবদ্ধ জমা রাখতে হয় মোট আমানতের ৯.৫%। সেইটা রাখতে পারছে না।আজকে বাংলাদেশ ব্যাংকে ইসলামী ব্যাংকের চলতি হিসেবের ব্যালান্স -৭,১২৮ কোটি টাকা।ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকে ইচ্ছেমতো টাকা স্থানান্তর করতে পারছেন না। চেক ডিজঅনার হচ্ছে।এখন, ইসলামী ব্যাংকের ৫% আমানতকারীও যদি নিজেদের টাকা তোলার জন্য ব্যাংকের শাখাগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে যান, ব্যাংক টাকা দিতে পারবেনা ইসলামী ব্যাংক তাহলে কী করবেন? বন্ধ করে দিবেন? সব আমানত ফেরত না দিয়ে তো ব্যাংক বন্ধ করে দেয়া যাবেনা ইসলামী ব্যাংক কি অন্য ব্যাংকের সাথে মার্জ করে দেবেন? কে নেবে এই দায়?ব্যাংকের লাভ থেকে এই ৫০,০০০ কোটি টাকা পুরিয়ে দেবেন? ইসলামী ব্যাংক বছরে ৩,০০০ কোটি টাকা লাভ করে। ট্যাক্স দেবার পরে ১,৫০০ কোটিও টেকে না। কতো বছর লাগবে?দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীরা।ব্যাংক লুট করার পাশাপাশি বিদেশ থেকে লোন এনে উন্নয়নের নামে লুটপাটও করেছেন শেখ হাসিনা এবং তাঁর স্যাঙাতেরা।এখন, আমাদের ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণ অন্ধকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন বটে, কিন্তু উনাদের হাতে জাদুর কাঠি নেই। ঋণ পরিশোধ না করলে বিদেশীরা ছাড় দেবে না। এলসির ডলার না পাঠালে পণ্যও আসবে না।আগামীতে কেমন করে চলবে দেশ, এই চিন্তা বাংলাদেশের ১% মানুষও করছেন না। এমন সংকটেও মুক্তিযুদ্ধ, চেতনা, দলবাজি, অনুভূতি, আওয়ামী লীগ, এইগুলা এদেশের নেতাদের প্রধান সমস্যা।যেদিন বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণের কিস্তি দিতে পারবেনা, আমদানির মূল্য পরিশোধ করতে পারবে না- সেইদিন খুব দূরে নয়।শেখ হাসিনা দেশের এই পরিমাণ ক্ষতি করার পরেও যারা চেতনার বুলি আওড়াচ্ছেন, শেখ হাসিনাকে আকারে ইঙ্গিতে ডিফেন্ড করার চেষ্টা করছেন, ‘এই স্বাধীনতা চেয়েছিলাম’ বলে ভেংচি কাটছেন- তাদের জন্য করুণা। আপনারা একটু বিবেকের আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে নিয়েন।