সব পার্ক-মাঠ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখার ঘোষণা ডিএনসিসি প্রশাসকে

- নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫:০২:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে

রিপোর্টার ফয়সাল হোসেন
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, আমরা অভিযোগ পাচ্ছি কয়েকটি পার্ক ও মাঠে জনসাধারণ সবসময় প্রবেশ করতে পারে না। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিচ্ছি আজ থেকে ডিএনসিসির মালিকানাধীন সব পার্ক ও মাঠ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে ডিএনসিসির অঞ্চল-০১ এর অন্তর্গত সব ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সাথে গণশুনানিতে তিনি এ ঘোষণা দেন।
নগরবাসীর এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, আমরা অভিযোগ পাচ্ছি কয়েকটি পার্ক ও মাঠে জনসাধারণ সবসময় প্রবেশ করতে পারে না। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিচ্ছি আজ থেকে ডিএনসিসির মালিকানাধীন সব পার্ক ও মাঠ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। কোন পার্ক ও মাঠে ডিএনসিসির অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারবে না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থানীয় কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করে মেইনটেন্সের জন্য কমিটি করে দিব। তারা মাঠ পার্ক দেখভাল করবে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
উত্তরখানের এক বাসিন্দা রাস্তার কাজের গতি বাড়ানোর বিষয়ে প্রশ্ন করলে ডিএনসিসি প্রশাসক জবাবে বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে প্রথমেই ঘোষণা দিয়েছি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে অবকাঠামো উন্নয়ন অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। নতুন ওয়ার্ডগুলোতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কাজের গতি বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যে উত্তরখানের প্রধান রাস্তাটির কাজ সম্পন্ন করে উদ্বোধন করে দিয়েছি। নতুন ওয়ার্ডে অন্য এলাকার তুলনায় অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
নতুন এলাকার এক বাসিন্দা হোল্ডিং ট্যাক্সের বিষয়ে প্রশ্ন করেন। জবাবে প্রশাসক বলেন, যদিও দীর্ঘদিন আপনাদের আশানুরূপ সেবা প্রদান ও অবকাঠামো উন্নয়ন করতে পারেনি সিটি কর্পোরেশন। কিন্তু হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে আইন রয়েছে। সেই আইন ভঙ্গ করে কয়েক বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফের এখতিয়ার আমার নেই। এটা করলে আইন ভঙ্গ করা হবে এবং এর জন্য ভবিষ্যতে আমি এবং আপনারা বিপদে পড়ব। পরবর্তীতে যিনি দায়িত্বে আসবেন তখন আবার পূর্বের সব বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করতে বাধ্য হবেন। তাই আপনারা নিয়ম অনুযায়ী সব বছরের হোল্ডিং ট্যাক্স দিবেন, তবে আমার কাছে রিবেটের (কর ছাড়) সুযোগ রয়েছে। রিবেটের জন্য আবেদন করবেন আমরা এখতিয়ার অনুযায়ী সর্বোচ্চটা পাশ করে দিব। এতে গিয়ে আপনাদের হোল্ডিং ট্যাক্সের পরিমান অনেক কমে যাবে। এতে আইন অনুযায়ী একটি সুন্দর সমাধান হবে।
গণশুনানিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, মোহাম্মদ খয়বর রহমান, মোহাম্মদ ছাদেকুর রহমান, মোহাম্মদ জুলকার নায়ন প্রমুখ।