ঢাকা ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ  আলোচনা গণতান্ত্রিক শাসন শক্তিশালী করার উপায় নিয়ে শাহরাস্তির আতঙ্ক জাবেদ বাহিনী, মসজিদের জায়গা জবর দখল, দালালী আর মামলাবাজিতে হাতিয়েছেন ২ হাজার কোটি টাকা : রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। ময়মনসিংহ রেঞ্জের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত  গাজীপুর জেলা শাখা অন্তর্গত “শ্রীপুর উপজেলা” শাখার কমিটির অনুমোদন।  বেকারত্ব নিরসনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা নোয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময়  তবে উদ্যোগ রাজনৈতিক’ আমরা রাজনৈতিক দল নই তাহলে কি নিজেদের জালে-ই ফেঁসে গেলো ছাত্র সংঘটন!

সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর আইন বিধান প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের লক্ষ্যে ইসলামী সমাজ।

রিপোর্টার রোজিনা বেগম 
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:০৫:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৮ বার পড়া হয়েছে

আজ ৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ইসলামী সমাজ।তাঁরা এক লিখিত বক্তব্যে জানায়,সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে গণতন্ত্রসহ ইসলাম বিরোধী সকল মতবাদ ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থার মূলোৎপাটন করে সমাজ ও রাষ্ট্রে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের লক্ষ্যে ইসলামী সমাজে শামিল হওয়ার আহ্বান।বিতাড়িত অভিশপ্ত শয়তানের কুমন্ত্রণা হ’তে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে, অতিশয় মেহেরবান ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্। সম্মানিত ভাই ও বোনেরা,মানুষ সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সর্বোত্তম সৃষ্টি এবং তাঁরই গোলাম ও প্রতিনিধি। মানুষের প্রয়োজন ও কল্যাণেই সমাজ এবং রাষ্ট্র। সমাজ ও রাষ্ট্রের মূল বিষয় বকা- সার্বভৌমত্বের মালিক। অর্থাৎ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনার লক্ষ্যে আইন-বিধান প্রণয়ন ও প্রয়োগের সর্বোচ্চ ক্ষমতার মালিক’ই হলো সমাজ ও রাষ্ট্রের রব্বা। মানুষের সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সমগ্র বিশ্ব জগতের একমাত্র রপ হলেন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। কিন্তু গণতন্ত্রসহ সকল প্রকার মানব রচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষের সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পরিবর্তে মানুষকে রক্স- সার্বভৌমত্বের মালিক গ্রহণ করা হয়, যা মূলতঃ মহান রব্বের সাথে কুফর এবং শিরক। কুফর এবং শিরকের পরিণতি মানুষের দুনিয়ার জীবনে অকল্যাণ, অশান্তি এবং তাদের আখিরাতের জীবনে চিরস্থায়ী ঠিকানা নিশ্চিত জাহান্নাম। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও শাসন-কর্তৃত্ব এবং কুরআন বিরোধী মানব রচিত সংবিধানের এবং এরই ধারক-বাহক নেতার আনুগত্য প্রতিষ্ঠিত আছে, আর এসবই কুফর এবং শিরক। কুফর এবং শির্কের কারণে মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার নাই, তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বৈষম্য আর বৈষম্য। তাদের ন্যায্য অধিকার আদায় ও সংরক্ষণ হচ্ছে না। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি এবং দুর্নীতির কারণে সন্ত্রাস, উগ্রতা জঙ্গিতৎপরতাসহ বিভিন্ন ইস্যু কেন্দ্রিক মানবতা বিরোধী অপতৎপরতা মানুষের জীবনকে গ্রাস করেছে। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গিতৎপরতাসহ সকল মানবতা বিরোধী অপরাধ ও বৈষম্য মুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে হলে গণতন্ত্রসহ সকল প্রকার মানব রচিত মতবাদ ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থার মূলোৎপাটন করে সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্ম পালনের সুযোগ রেখে সমাজ ও রাষ্ট্রে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধান তাঁরই রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠা করতে হবে, এর কোন বিকল্প নাই। গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচন, গণআন্দোলন কিংবা সশস্ত্র লড়াই ইত্যাদি কোনটাই ইসলাম প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের জন্য কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক- আল্লাহর নির্দেশিত এবং তাঁরই রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতি নয়। এসব পদ্ধতির যে কোন পদ্ধতি গ্রহণ করলে আল্লাহর সাথে কুফর এবং শিরক করা হয়, যার পরিণতি দুনিয়ার জীবনে অকল্যাণ, আশান্তি এবং আখিাতের জীবনে মহাক্ষতি। দুনিয়ার জীবনে কল্যাণ শান্তি এবং আখিরাতের জীবনে মহাক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়ে চূড়ান্ত সফলতা লাভ করতে হলে মানব রচিত ব্যবস্থা পরিত্যাগ করে সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলাম গ্রহণ করে আল্লাহর রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার ঈমানী দায়িত্ব পালন করতেই হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে আল্লহর রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) লোকদেরকেন মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও শাসন-কর্তৃত্ব পরিত্যাগ করে একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ শাসন-কর্তৃত্ব গ্রহণ করে “রাব্বুনাল্লাহ” বা “আল্লাহু আকবার” ঘোষণা, মানুষের মনগড়া আইন-বিধানে রচিত সংবিধানের আনুগত্য অস্বীকার করে দাসত্ব আনুগত্য ও উপাসনা একমাত্র আল্লাহর গ্রহণ করে “আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ সাক্ষ্য ও অঙ্গীকার এবং মানুষের মনগড়া আইনে রচিত সংবিধানের ভিত্তিতে নেতৃত্বদানকারী নেতা বা সরকারের আনুগত্য অস্বীকার করে একমাত্র আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর শর্তহীন আনুগত্য- অনুসরণ ও অনুকরণ গ্রহণ করে “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ” সাক্ষ্য ও অঙ্গীকার করার দাওয়াত দিয়েছিলেন। যারা তাঁ দাওয়াত কবুল করেছিলেন তাদেরকে নিয়ে তিনি তাঁর নিজ নেতৃত্বে ঈমানদার মুসলিমগণের সমাজ গঠন আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মানব রচিত ব্যবস্থার ধারক-বাহক এবং তাদের অনুসারীদের সকল প্রকার নির্যাতনের মুখে তিনি এবং তাঁর সাহাবীগ ছবর ও ক্ষমার নীতি গ্রহণ করেছিলেন। নিজেরা মুকাবিলা না করে মুকাবিলার দায়িত্ব আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে তাঁর উপর পূর্ণ নির্ভরশী হয়ে দাওয়াতি কাজের মাধ্যমে ঈমানী পরিক্ষা দিয়ে যখন রাসূল (সাঃ) এর নেতৃত্বের শর্তহীন আনুগত্যে তাঁর অনুসারীরা ঈমানের সর্বো পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন, তখনি সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ মদীনায় অনুকূল পরিবেশ তৈরী করে রাসূল (সাঃ) এর নেতৃত্বে ঈমানদারদেরকে মদিন রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব দান করলেন। রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের পরই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে পর্যায়ক্রমে রাসূল (সাঃ) সৃষ্টিকর্তা আল্লা আইন-বিধান মানুষের জীবনে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরিপূর্ণ কল্যাণকর ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটাই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিন প্রতিষ্ঠায় তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রদর্শিত পদ্ধতি। সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রদনি পদ্ধতিতে’ই ‘ইসলামী সমাজ’ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সকলকে আমরা গণতন্ত্রসহ ইসল বিরোধী সকল ব্যবস্থা ত্যাগ করে সমাজ ও রাষ্ট্রে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের লক্ষ্যে ইসলামী সম শামিল হওয়ার আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর আইন বিধান প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের লক্ষ্যে ইসলামী সমাজ।

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:০৫:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজ ৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ইসলামী সমাজ।তাঁরা এক লিখিত বক্তব্যে জানায়,সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে গণতন্ত্রসহ ইসলাম বিরোধী সকল মতবাদ ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থার মূলোৎপাটন করে সমাজ ও রাষ্ট্রে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের লক্ষ্যে ইসলামী সমাজে শামিল হওয়ার আহ্বান।বিতাড়িত অভিশপ্ত শয়তানের কুমন্ত্রণা হ’তে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে, অতিশয় মেহেরবান ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্। সম্মানিত ভাই ও বোনেরা,মানুষ সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সর্বোত্তম সৃষ্টি এবং তাঁরই গোলাম ও প্রতিনিধি। মানুষের প্রয়োজন ও কল্যাণেই সমাজ এবং রাষ্ট্র। সমাজ ও রাষ্ট্রের মূল বিষয় বকা- সার্বভৌমত্বের মালিক। অর্থাৎ সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনার লক্ষ্যে আইন-বিধান প্রণয়ন ও প্রয়োগের সর্বোচ্চ ক্ষমতার মালিক’ই হলো সমাজ ও রাষ্ট্রের রব্বা। মানুষের সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সমগ্র বিশ্ব জগতের একমাত্র রপ হলেন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। কিন্তু গণতন্ত্রসহ সকল প্রকার মানব রচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষের সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর পরিবর্তে মানুষকে রক্স- সার্বভৌমত্বের মালিক গ্রহণ করা হয়, যা মূলতঃ মহান রব্বের সাথে কুফর এবং শিরক। কুফর এবং শিরকের পরিণতি মানুষের দুনিয়ার জীবনে অকল্যাণ, অশান্তি এবং তাদের আখিরাতের জীবনে চিরস্থায়ী ঠিকানা নিশ্চিত জাহান্নাম। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন এবং পরিচালনায় মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও শাসন-কর্তৃত্ব এবং কুরআন বিরোধী মানব রচিত সংবিধানের এবং এরই ধারক-বাহক নেতার আনুগত্য প্রতিষ্ঠিত আছে, আর এসবই কুফর এবং শিরক। কুফর এবং শির্কের কারণে মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার নাই, তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বৈষম্য আর বৈষম্য। তাদের ন্যায্য অধিকার আদায় ও সংরক্ষণ হচ্ছে না। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি এবং দুর্নীতির কারণে সন্ত্রাস, উগ্রতা জঙ্গিতৎপরতাসহ বিভিন্ন ইস্যু কেন্দ্রিক মানবতা বিরোধী অপতৎপরতা মানুষের জীবনকে গ্রাস করেছে। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গিতৎপরতাসহ সকল মানবতা বিরোধী অপরাধ ও বৈষম্য মুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করতে হলে গণতন্ত্রসহ সকল প্রকার মানব রচিত মতবাদ ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থার মূলোৎপাটন করে সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্ম পালনের সুযোগ রেখে সমাজ ও রাষ্ট্রে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধান তাঁরই রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠা করতে হবে, এর কোন বিকল্প নাই। গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচন, গণআন্দোলন কিংবা সশস্ত্র লড়াই ইত্যাদি কোনটাই ইসলাম প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের জন্য কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক- আল্লাহর নির্দেশিত এবং তাঁরই রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতি নয়। এসব পদ্ধতির যে কোন পদ্ধতি গ্রহণ করলে আল্লাহর সাথে কুফর এবং শিরক করা হয়, যার পরিণতি দুনিয়ার জীবনে অকল্যাণ, আশান্তি এবং আখিাতের জীবনে মহাক্ষতি। দুনিয়ার জীবনে কল্যাণ শান্তি এবং আখিরাতের জীবনে মহাক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়ে চূড়ান্ত সফলতা লাভ করতে হলে মানব রচিত ব্যবস্থা পরিত্যাগ করে সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলাম গ্রহণ করে আল্লাহর রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার ঈমানী দায়িত্ব পালন করতেই হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে আল্লহর রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) লোকদেরকেন মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও শাসন-কর্তৃত্ব পরিত্যাগ করে একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ শাসন-কর্তৃত্ব গ্রহণ করে “রাব্বুনাল্লাহ” বা “আল্লাহু আকবার” ঘোষণা, মানুষের মনগড়া আইন-বিধানে রচিত সংবিধানের আনুগত্য অস্বীকার করে দাসত্ব আনুগত্য ও উপাসনা একমাত্র আল্লাহর গ্রহণ করে “আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ সাক্ষ্য ও অঙ্গীকার এবং মানুষের মনগড়া আইনে রচিত সংবিধানের ভিত্তিতে নেতৃত্বদানকারী নেতা বা সরকারের আনুগত্য অস্বীকার করে একমাত্র আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর শর্তহীন আনুগত্য- অনুসরণ ও অনুকরণ গ্রহণ করে “আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ” সাক্ষ্য ও অঙ্গীকার করার দাওয়াত দিয়েছিলেন। যারা তাঁ দাওয়াত কবুল করেছিলেন তাদেরকে নিয়ে তিনি তাঁর নিজ নেতৃত্বে ঈমানদার মুসলিমগণের সমাজ গঠন আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মানব রচিত ব্যবস্থার ধারক-বাহক এবং তাদের অনুসারীদের সকল প্রকার নির্যাতনের মুখে তিনি এবং তাঁর সাহাবীগ ছবর ও ক্ষমার নীতি গ্রহণ করেছিলেন। নিজেরা মুকাবিলা না করে মুকাবিলার দায়িত্ব আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে তাঁর উপর পূর্ণ নির্ভরশী হয়ে দাওয়াতি কাজের মাধ্যমে ঈমানী পরিক্ষা দিয়ে যখন রাসূল (সাঃ) এর নেতৃত্বের শর্তহীন আনুগত্যে তাঁর অনুসারীরা ঈমানের সর্বো পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন, তখনি সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ মদীনায় অনুকূল পরিবেশ তৈরী করে রাসূল (সাঃ) এর নেতৃত্বে ঈমানদারদেরকে মদিন রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব দান করলেন। রাষ্ট্রীয় নেতৃত্ব লাভের পরই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশে পর্যায়ক্রমে রাসূল (সাঃ) সৃষ্টিকর্তা আল্লা আইন-বিধান মানুষের জীবনে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পরিপূর্ণ কল্যাণকর ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এটাই সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিন প্রতিষ্ঠায় তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রদর্শিত পদ্ধতি। সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রদনি পদ্ধতিতে’ই ‘ইসলামী সমাজ’ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সকলকে আমরা গণতন্ত্রসহ ইসল বিরোধী সকল ব্যবস্থা ত্যাগ করে সমাজ ও রাষ্ট্রে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের লক্ষ্যে ইসলামী সম শামিল হওয়ার আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি।