ঢাকা ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহীতে পুলি*শ দেখে নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃ*ত্যু সাংবাদিকদের রুটি-রুজি নিয়ে খেলবেন না ছাত্রদল নেতা কয়েস আহমদ এর কেক কাঁটার মধ্যে দিয়ে জন্মদিন পালন প্রবাসী স্ত্রীকে ফেরত পেতে চাই কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ ৬ বছর পর প্রবাসী স্ত্রী কে ফিরে পেতে এয়ারপোর্টে অঝোরে কাদলেন যুবক , ভেতরে ভেতরে আমরা সবাই শ্রমিক: ফেসবুক স্ট্যাটাসে বললেন নাগরপুরের ইউএনও আরাফাত মোহাম্মদ নোমান নাগরপুরে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালনে পাঁচ সংগঠনের বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও কর্মসূচি নাগরপুরে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন সাভার উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার্স সোসাইটি (সুজ) এর নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন।

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে উত্তরায় মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ২৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার সংলগ্ন এলাকায় সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে উত্তরায় বসবাসরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের শতাধিক সাংবাদিক অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি দক্ষিণখান এলাকায় চোরাই পণ্য ও মাদকচক্রের গোপন তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন চ্যানেল এস-এর জনভোগান্তি ও অনুসন্ধান মুলক অনুষ্ঠান ‘কে শুনে কার কথা’-এর সাংবাদিকরা। হামলায় গুরুতর আহত হন তরিক শিবলী, শান্ত মাহমুদ ও রাব্বি নূর। এছাড়া স্থানীয় সাংবাদিক মোঃ মিজানুর রহমান ও শাকিল আল ফারুকীও হামলায় আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা চ্যানেল এস-এর ক্যামেরা, সরঞ্জাম ভাঙচুর করে এবং ভিডিও ফুটেজসহ ক্যামেরার মেমোরি কার্ড ছিনিয়ে নেয়, যাতে মাদকের লেনদেন ও চোরাই পণ্যের প্রমাণ ছিল। এতে প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
স্থানীয় সাংবাদিকরা আশরাফ আলী দেড়শ রূপান্তর ও গ্লোবাল টিভি বলেন, “এই হামলা শুধু সাংবাদিকদের ওপর নয়, গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।”

ফরিদ আহমেদ নয়ন এশিয়ান টিভি বলেন, “সাংবাদিকদের উপর বারবার হামলার ঘটনা ঘটছে। গত এক মাসেই দেশে ২২ জন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। এই বিচারহীনতা বন্ধ না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হব।”

মাসুদ পারভেজ, দৈনিক ইনকিলাব ও নাগরিক টেলিভিশন বলেন, “চ্যানেল এস-এর ওপর হামলাকারীরা চিহ্নিত হলেও এখনো ধরা পড়েনি। তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে—পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠছে।”
বক্তারা অভিযোগ করেন, উত্তরায় কিছু স্বঘোষিত সাংবাদিক একটি ক্লাব গড়ে তুলেছেন, যারা অসাধু ব্যবসায়ী ও অপরাধচক্রের সঙ্গে আঁতাতে জড়িত। তাদের কারণে এলাকায় অপরাধের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। বক্তারা অবিলম্বে ‘অপসংবাদিকতা’ বন্ধ এবং প্রকৃত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রাণের বাংলাদেশের সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন , কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জাকারিয়া আল মামুন, বি এম মাসিক হাসান সহ প্রায় শতাধিক টেলিভিশন ও পত্রিকা সাংবাদিকগণ।

উল্লেখ্য, দক্ষিণখান থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের হলেও ১জন হামলাকারী ছাড়া এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সাংবাদিক নেতারা বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও মাঠ পর্যায়ে সাংবাদিকরা এখনো চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ না হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নের মুখে পড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে উত্তরায় মানববন্ধন

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার সংলগ্ন এলাকায় সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে উত্তরায় বসবাসরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের শতাধিক সাংবাদিক অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি দক্ষিণখান এলাকায় চোরাই পণ্য ও মাদকচক্রের গোপন তথ্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন চ্যানেল এস-এর জনভোগান্তি ও অনুসন্ধান মুলক অনুষ্ঠান ‘কে শুনে কার কথা’-এর সাংবাদিকরা। হামলায় গুরুতর আহত হন তরিক শিবলী, শান্ত মাহমুদ ও রাব্বি নূর। এছাড়া স্থানীয় সাংবাদিক মোঃ মিজানুর রহমান ও শাকিল আল ফারুকীও হামলায় আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা চ্যানেল এস-এর ক্যামেরা, সরঞ্জাম ভাঙচুর করে এবং ভিডিও ফুটেজসহ ক্যামেরার মেমোরি কার্ড ছিনিয়ে নেয়, যাতে মাদকের লেনদেন ও চোরাই পণ্যের প্রমাণ ছিল। এতে প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
স্থানীয় সাংবাদিকরা আশরাফ আলী দেড়শ রূপান্তর ও গ্লোবাল টিভি বলেন, “এই হামলা শুধু সাংবাদিকদের ওপর নয়, গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত।”

ফরিদ আহমেদ নয়ন এশিয়ান টিভি বলেন, “সাংবাদিকদের উপর বারবার হামলার ঘটনা ঘটছে। গত এক মাসেই দেশে ২২ জন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। এই বিচারহীনতা বন্ধ না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হব।”

মাসুদ পারভেজ, দৈনিক ইনকিলাব ও নাগরিক টেলিভিশন বলেন, “চ্যানেল এস-এর ওপর হামলাকারীরা চিহ্নিত হলেও এখনো ধরা পড়েনি। তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে—পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তাই প্রশ্ন উঠছে।”
বক্তারা অভিযোগ করেন, উত্তরায় কিছু স্বঘোষিত সাংবাদিক একটি ক্লাব গড়ে তুলেছেন, যারা অসাধু ব্যবসায়ী ও অপরাধচক্রের সঙ্গে আঁতাতে জড়িত। তাদের কারণে এলাকায় অপরাধের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। বক্তারা অবিলম্বে ‘অপসংবাদিকতা’ বন্ধ এবং প্রকৃত সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করার দাবি জানান।
আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রাণের বাংলাদেশের সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন , কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জাকারিয়া আল মামুন, বি এম মাসিক হাসান সহ প্রায় শতাধিক টেলিভিশন ও পত্রিকা সাংবাদিকগণ।

উল্লেখ্য, দক্ষিণখান থানায় এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের হলেও ১জন হামলাকারী ছাড়া এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সাংবাদিক নেতারা বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও মাঠ পর্যায়ে সাংবাদিকরা এখনো চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ না হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নের মুখে পড়বে।