ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জেলা বিএনপি আহবায়ক এড.মান্নানের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়। অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে।

সৌদি আরবে কোনো ফ্রি ভিসা নাই, এটা প্রলোভন

রিপোর্টার:- দেলোয়ার খান
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৩:৫৩:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০০ বার পড়া হয়েছে

সৌদি আরবে কোনো ফ্রি ভিসা নাই, এটা প্রলোভন

সাধারণত বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে লেবার ভিসাই বেশি ইস্যু হয়। ছবি: পেক্সেলস থেকে নেওয়া

একটা প্রবাদ আছে- অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়। ‘অভাব’ এই ছোট্ট শব্দটা সকল সাধারণ মানুষের মনেই জীবনের কোনো না কোনো সময় দাগ টেনে যায়।  কেউ তা প্রতিনিয়ত বহন করে, কেউ অল্প সময়। এই অভাবের তাড়নাতেই বাংলাদেশের অনেক মানুষ নানা দেশে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য পাড়ি জমান। এ ক্ষেত্রে নানা ফাঁদ আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও বাজে ধরনের ফাঁদ হচ্ছে ‘ফ্রি ভিসা’। আমি যেহেতু সৌদি আরবে আছি, তাই সৌদি আরবে প্রবাসীরা কেন, কখন, কোথায় ঠিক কী কারণে সমস্যায় জর্জরিত হয়, তা-ই জানানোর চেষ্টা করছি।
সাধারণত বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে লেবার ভিসাই সবচেয়ে বেশি ইস্যু হয়। তারপর ড্রাইভার, মেকানিক, আয়া, অফিস বয় ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে অফিশিয়াল অনেক পদই এখন সৌদিদের কাছে চলে যাওয়ায় প্রবাসীদের জন্য এ ধরনের পদের সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোটায় চলে এসেছে। তারপরও ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ যা হয়, তা অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই কম।

প্রথম ধাপ থেকেই শুরু বিপত্তির
বাংলাদেশ থেকে একজন শ্রমিকের সৌদি আরবে আসার পেছনে আছে কোনো না কোনো অভাবের গল্প। আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে একজন যুবক, একজন স্বামী, একজন বাবার মনে কী পরিমাণ ঝড় বয়ে যায়, তা যার হয়, সে-ই জানে।  সাধারণত আমাদের দেশের গ্রামের মানুষেরাই শ্রমিক ভিসায় সৌদি আরবে আসেন। তাদের কেউ হয়তো দেশে কৃষিকাজ করতেন, কেউ ছিলেন অটোরিকশা চালক, দিনমজুর, হোটেল শ্রমিক বা অন্য কোনো খণ্ডকালীন শ্রমিক।  দেশে জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহে হিমশিম খাওয়া মানুষগুলো তখন তুলনামূলক সহজ গন্তব্য হিসেবে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ভাবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা গ্রামে বা শহরে পরিচিত লোকেদের দ্বারস্থ হন। এখানেই বাধে বিপত্তি।সৌদি আরবে প্রবাসী হতে আগ্রহীদের এই পরিচিতজনদের অনেকেই দারুণ সহ স্বপ্ন দেখান। বিদেশ ব্যাপারীরা এমনকি মাস শেষে ৫০/৬০ হাজার টাকা ঘরে পাঠানো মামুলি একটা ব্যাপার বলে সামনে হাজির করেন। সাথে বলেন, যাওয়ার খরচও বেশি না। এসব শুনে অভাবের তাড়নায় থাকা সেই মানুষেরা মহা আনন্দে ঘরে ফেরেন। পরিবারকে জানান। পরিবারও সব শুনে আশায় বুক বাঁধে।

শুরু হয়ে যায় বিদেশ যাওয়ার চিন্তা ও মিশন। প্রথমেই পাসপোর্ট বানাতে হবে। তাই সরকারি বিধি অনুযায়ী পাসপোর্ট অফিসে যান। মনে মনে ভাবেন-এ আর এমনকি; সেখানে গেলেই বুঝি পাসপোর্ট হয়ে যাবে। কিন্তু না ফরম ফিলাপ করতে হবে। ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে। তারপর পাসপোর্ট অফিসে আসতে হবে। মাথায় প্রশ্ন আসে- কী করা যায়? সহজ উপায় কী? দেখা যায়, পাসপোর্ট অফিসের আশপাশেই দালাল ঘোরাঘুরি করে। তাদের কথা শুনে আশ্বস্ত হওয়ার পর চুক্তিতে আসে আর্জেন্ট, নরমাল, মাঝামাঝি কোন স্তরে কত। দেখা যায় নরমালেই নির্ধারিত ফি থেকে ৫/৬ হাজার টাকা বেশি। কারণ হিসেবে বলা হয়, এই টেবিল-ওই টেবিল, নানা টেবিলে টাকা দিতে হয়। এভাবে নানা ঝকমারি শেষে আবেদনের ৩-৪ মাস পর হাতে আসে পাসপোর্ট, যা বিদেশ যাওয়ার প্রথম ধাপ।
পাসপোর্ট আসার সাথে সাথে বিদেশ ব্যাপারীকে অবহিত করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। পাসপোর্ট জমা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে নেওয়া কারও কাছ থেকে ৫০ হাজার বা তারও বেশি টাকা, যেন গ্রাহক ছুটে না যায়। তারপর মেডিকেল, ভিসা প্রসেসিং, প্রবাসী প্রশিক্ষণ, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ম্যানপাওয়ার, টিকিট, আরও কত কী। নানা তারিখ ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রায় ৫-৮ মাস পর সৌদি যাওয়ার তারিখ পাওয়া যায়। এর মধ্যে আরও অজস্র ঝকমারি আছে। ভিসাসহ বিদেশ যাওয়ার অনুমোদন হাতে পেতে পেতে পকেট থেকে খসে যায় প্রায় ৫ লাখ টাকা। ফলে যাদের আর্থিক অবস্থা বেশি খারাপ, তাদের ভিটা পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়। আর জমি, অটোরিকশা, সুদে ঋণ নেওয়া-এ তো হামেশাই ঘটে। মনে মনে স্বপ্ন দেখে, ‘যাচ্ছি তো টাকার খনিতে।  কামাই করে শোধ করে দেব।’

এর পর আর কী? মা-বাবা, স্ত্রী, সন্তান, আত্মীয়-পরিজন রেখে পাড়ি দেন। বিমানবন্দরেই রচিত বেদনার আখ্যান। ভেজা চোখেই বোর্ডিং পাসের জন্য দাঁড়িয়ে নামমাত্র সম্মানটুকুও পায় না নিজ দেশের বিমানবন্দর থেকে। অথচ বছর বছর প্রবাসী আয়ের অঙ্ক ঘোষণার সময় আবেগমথিত কণ্ঠে বলা হয়- রেমিট্যান্স যোদ্ধা। যদিও বিমানবন্দরে সামন্যতম কোনো ভুল হলেই টাকা খসতে থাকে জীবনের নানা দিক থেকে খাওয়া এসব মানুষের পকেট থেকে।

যা হোক, সব ঝক্কি শেষে যখন ইমিগ্রেশন অফিসারের সামনে দাঁড়ান প্রবাসে পাড়ি দিতে ইচ্ছুক মানুষেরা, তখন তাদের আচরণে মনে হয়-তাঁরা হয়তো কোনো দেশের রাষ্ট্রপতি হবেন বোধ হয়। নানা প্রশ্নবাণে বিক্ষত করা হয় তাঁদের। অবশ্য অনেক অফিসার আছেন, যারা মানবিক, যারা বোঝেন যে, এই মানুষগুলো আসলেই সরল। এসব কিছু শেষ করে যখন তাঁরা উড়োজাহাজ দেখেন চোখের সামনে, তখন তাঁদের সে কী আনন্দ হয়!
এর পর স্বপ্নের সেই বিমানযাত্রা, বিমানবালা, গোছানো খাবারের প্লেট ইত্যাদি সবকিছুই এই মানুষদের সামনে আসে একেকটি চমক হিসেবে। তারপর তো প্রবাস। স্বপ্ন তখনও তাজা-সেখানে কাজ ও থাকার নতুন পরিবেশ, পরিবারের সদস্যদের সাথে দূরালাপন, মাস শেষে বেতন, প্রতি মাসে ঘরে ৫০-৬০ হাজার টাকা পাঠানো, ঋণ পরিশোধ ইত্যাদি। কিন্তু এই স্বপ্নের স্থায়িত্ব খুবই কম, আকাশপথের দূরত্বটুকু শুধু।
ওই স্বপ্নের ঘোরে যখন ওই ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ আনন্দে লাফিয়ে উঠবে উঠবে করে, তখনই দেখা যায় স্বপ্ন নয়, সেটা ছিল নিছক কল্পনা।  টের পায়, তার পা ধরে কে যেন নিচ থেকে টেনে ধরে রেখেছে।  সৌদি আরবে পৌঁছে সে একে একে আবিষ্কার করতে থাকে স্বপ্ন ও বাস্তবের ফারাক।

দেখা যায়, নতুন প্রবাসে আসা লোকটিকে থাকতে দেওয়া হয়েছে এক রুমে ৭-৮ জনের সাথে গাদাগাদি করে। সেখানে কোনোমতে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমানোর জায়গা খুঁজতে হয়। তাকে জানানো হয়-‘১০ দিন পর তোমাকে কাজে নিয়ে যাব। আপাতত এখানে খাও, ঘুমাও।’ এদিকে পৌঁছানোর পরপরই কোনোভাবে জোগাড়যন্ত্র করে বাড়িতে খবর পাঠাতে হয়, ‘আমি পৌঁছিয়েছি। অনেক ভালো আছি। কোনো চিন্তা করো না। মোবাইল বা সিম কিনে তোমাদের সাথে যোগাযোগ করব।’
কিন্তু কাজে যোগ দেওয়ার অপেক্ষার অবসান হয় না সহজে। এভাবেই চলে যায় সপ্তাহ, মাস। এর পর তাকে কোনো সাপ্লাই কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। বেতন কত-প্রশ্ন করলে উত্তর আসে ৮০০-৯০০ রিয়াল, যা বাংলাদেশের টাকায় ৩০ হাজার টাকাও নয়। চোখে তখন অন্ধকার নেমে আসে। সেই লোকটির অবনস্থা তখন হয়-‘কোথায় আসলাম? কেন আসলাম? ফেরত যাওয়ারও তো রাস্তা নেই। অন্য কোনো কাজও তো জানি না।’ একদম নিরুপায় হয়ে পড়ে থাকে সেই লোক মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। মনে অশান্তি নিয়ে পার হতে থাকে দুঃসময়।

সাপ্লাই কোম্পানিগুলো এক ধরনের রাক্ষস। কিছু উদাহরণ দেওয়া যাক। কোনো কাজের জন্য কোনো প্রবাসীর বেতন যদি ২০০০ রিয়াল হয়, তাকে দেওয়া হয় ৮০০-৯০০ রিয়াল, যাও আবার নিয়মিত দেওয়া হয় না। কারও কারও ক্ষেত্রে ২-৩ মাস পরপর দেওয়া হয়। এদিকে আবার খাবারের দামও বেশি। কোনোমতে চলতে গেলেও ৩০০-৪০০ রিয়াল ব্যয় হয়।  ফলে মাসে ৫০ বা ৬০ হাজার নয়, বহু কষ্টে ২০ হাজার টাকা হয়তো তারা পাঠাতে পারে। ঋণ পরিশোধ তো দূরের কথা, দেশে ঘরের খরচ চালানোই মুশকিল হয়ে পড়ে।
কী ভুল হয়েছিল তবে?
এই যে একটি লোক দেশে নিজের যৎসামান্য সম্পদটুকু বিক্রি করে, ধার-দেনা করে, দালাল ধরে নআনা কসরৎ করে সৌদি আরব এলেন, সেখানে তিনি আসলে কী কী ভুল করলেন?

একে একে আসা যাক। তাঁর প্রথম ভুল- তিনি কোনো কিছু না জেনেই কাউকে বিশ্বাস করে টাকা জমা দিয়ে বিদেশ এসেছেন। দ্বিতিয়ত, তিনি কী কাজে আসছেন, সে বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করেননি।

এই প্রশ্ন না করার কারণ তিনি কোনো কাজ জানেন না। তাঁর সাথে হওয়া চুক্তি সম্পর্কেও তিনি কিছু জানেন না। কোথায় যাচ্ছেন, কার কাছে যাচ্ছেন, তারও কোনো খবর নেননি। তিনি সুদূর সৌদি আরবে পাড়ি দিয়েছেন শুধু বিশ্বাস করে।

কীভাবে আসা উচিত
সৌদি আরবে আসলে আমি মনে করি অবশ্যই কোনো বিশ্বস্ত কোম্পানির মাধ্যমে আসা উচিত। অনেকেই ফ্রি ভিসার কথা বলে সৌদি আরবে লোকজনকে নিয়ে আসে। কিন্তু সৌদিতে কোনো ফ্রি ভিসা নেই। এটি একটি মিথ্যা প্রলোভন। বর্তমানে এই ভিসায় যারা আসেন, তাঁদের অবস্থা খুবই খারাপ।

একটু বিস্তারিত বলা যাক, ফ্রি ভিসা বলতে বোঝানো হয় চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মালিক পরিবর্তন করতে পারবেন। কিন্তু বাস্তবে নির্ধারিত মালিকের বাইরে অন্য কাজ করা যায় না। এ ধরনের ভিসা টাকায় লেনদেন হয়। ফ্রি ভিসা বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তার মালিক সম্পর্কে কোনো তথ্য দেওয়া হয় না।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি জানতেই পারে না যে, তার মালিক কে, কোথায় থাকে? এই ভিসার নাম আমেল আইদি। এই ভিসায় মালিক বদলানো যায়। মুশকিল হচ্ছে কাজ না থাকলে বিপদের শেষ নেই। নির্দিষ্ট মালিকের অধীনে কাজ না করলে পুলিশ ধরতে পারে। আর পুলিশ ধরলে নির্ঘাত দেশে পাঠিয়ে দেবে। তাই সৌদিতে আসতে আগ্রহীদের সব সময় মাথায় রাখা উচিত যে, এই দেশে কোনো স্বাধীন ভিসা নেই। যারা বলে তারা মিথ্যা বলে। এ কথা নিজের সৌদি প্রবাসের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি।

সৌদি আরবের বড় বড় শহরের চিত্র এখন ঢাকার ফুটপাথের মতোই। বাংলাদেশ সরকার বিএমআইটির মাধ্যমে নানা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে প্রবাসীদের জন্য।

এ ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হলো- নিজের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে চাইলে অবশ্যই অবশ্যই কিছু কাজ শিখে আসুন, যেমন ড্রাইভিং ছোট গাড়ি ও বড় গাড়ি, ইলেকট্রিক্যাল নানা কাজ (হাই ভোল্টেজ, লো ভোল্টেজ), কনস্ট্রাকশন, প্লাম্বিং, মেকানিক্যাল যেকোনো কাজ। এখানে কর্মসংস্থান আছে। নির্মাণকাজ, এসি ও ফ্রিজ মেরামতের কাজ ইত্যাদি কাজ পাওয়া যায়। সাথে ন্যূনতম পড়াশোনাটা শিখুন। মনে রাখবেন, যে যত বেশি কাজ জানে, এখানে তার দাম তত বেশি।

সৌদি আরবে এখন অনেক বড় প্রজেক্ট চলছে, যেখানে দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন। তাই দক্ষ মানবসম্পদ যদি বাংলাদেশ রপ্তানি করতে পারে, তাহলে আমাদের রেমিট্যান্সও অনেক অংশে বেড়ে যাবে। আর বেতনকাঠামো নিয়ে এবং মধ্যস্বত্তভোগীদের দৌরাত্ম কমাতে সরকার সহায়ক নানা ভূমিকা নিতে পারে। এতে এখানে আমাদের কর্মীদের অবস্থা আরও ভালো হবে।

সব শেষে
নিজের স্বপ্ন অন্য কেউ গলা টিপে হত্যা করার আগে জানুন-বুঝুন। তারপর আসেন। যারা এত কষ্ট করে আসেন, কিন্তু এসে কিছু করতে পারেন না, তাদের ডুবে যেতে হয় হতাশায়। যদি কাজ না শিখে আসার প্রস্তুতি নেন, তাকে বলব-আসার দরকার নেই। ধাক্কা খাবেন। এর চেয়ে দেশেই কৃষিকাজ বা রাজমিস্ত্রির কাজ করুন বা যে কাজ পারেন, তা করুন। কারণ একটা সময় এ দেশে শ্রমের মূল্য অনেক বেশি ছিল। এখন অনেক কমে গেছে। কারণ, শ্রমিক অনেক বেশি। অন্য দেশের কথা বাদই দিলাম এখানে এখন আমাদের দেশের শ্রমিকের সংখ্যাই বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সৌদি আরবে কোনো ফ্রি ভিসা নাই, এটা প্রলোভন

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৩:৫৩:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সৌদি আরবে কোনো ফ্রি ভিসা নাই, এটা প্রলোভন

সাধারণত বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে লেবার ভিসাই বেশি ইস্যু হয়। ছবি: পেক্সেলস থেকে নেওয়া

একটা প্রবাদ আছে- অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়। ‘অভাব’ এই ছোট্ট শব্দটা সকল সাধারণ মানুষের মনেই জীবনের কোনো না কোনো সময় দাগ টেনে যায়।  কেউ তা প্রতিনিয়ত বহন করে, কেউ অল্প সময়। এই অভাবের তাড়নাতেই বাংলাদেশের অনেক মানুষ নানা দেশে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য পাড়ি জমান। এ ক্ষেত্রে নানা ফাঁদ আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও বাজে ধরনের ফাঁদ হচ্ছে ‘ফ্রি ভিসা’। আমি যেহেতু সৌদি আরবে আছি, তাই সৌদি আরবে প্রবাসীরা কেন, কখন, কোথায় ঠিক কী কারণে সমস্যায় জর্জরিত হয়, তা-ই জানানোর চেষ্টা করছি।
সাধারণত বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে লেবার ভিসাই সবচেয়ে বেশি ইস্যু হয়। তারপর ড্রাইভার, মেকানিক, আয়া, অফিস বয় ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে অফিশিয়াল অনেক পদই এখন সৌদিদের কাছে চলে যাওয়ায় প্রবাসীদের জন্য এ ধরনের পদের সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোটায় চলে এসেছে। তারপরও ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ যা হয়, তা অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই কম।

প্রথম ধাপ থেকেই শুরু বিপত্তির
বাংলাদেশ থেকে একজন শ্রমিকের সৌদি আরবে আসার পেছনে আছে কোনো না কোনো অভাবের গল্প। আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে একজন যুবক, একজন স্বামী, একজন বাবার মনে কী পরিমাণ ঝড় বয়ে যায়, তা যার হয়, সে-ই জানে।  সাধারণত আমাদের দেশের গ্রামের মানুষেরাই শ্রমিক ভিসায় সৌদি আরবে আসেন। তাদের কেউ হয়তো দেশে কৃষিকাজ করতেন, কেউ ছিলেন অটোরিকশা চালক, দিনমজুর, হোটেল শ্রমিক বা অন্য কোনো খণ্ডকালীন শ্রমিক।  দেশে জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহে হিমশিম খাওয়া মানুষগুলো তখন তুলনামূলক সহজ গন্তব্য হিসেবে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা ভাবেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা গ্রামে বা শহরে পরিচিত লোকেদের দ্বারস্থ হন। এখানেই বাধে বিপত্তি।সৌদি আরবে প্রবাসী হতে আগ্রহীদের এই পরিচিতজনদের অনেকেই দারুণ সহ স্বপ্ন দেখান। বিদেশ ব্যাপারীরা এমনকি মাস শেষে ৫০/৬০ হাজার টাকা ঘরে পাঠানো মামুলি একটা ব্যাপার বলে সামনে হাজির করেন। সাথে বলেন, যাওয়ার খরচও বেশি না। এসব শুনে অভাবের তাড়নায় থাকা সেই মানুষেরা মহা আনন্দে ঘরে ফেরেন। পরিবারকে জানান। পরিবারও সব শুনে আশায় বুক বাঁধে।

শুরু হয়ে যায় বিদেশ যাওয়ার চিন্তা ও মিশন। প্রথমেই পাসপোর্ট বানাতে হবে। তাই সরকারি বিধি অনুযায়ী পাসপোর্ট অফিসে যান। মনে মনে ভাবেন-এ আর এমনকি; সেখানে গেলেই বুঝি পাসপোর্ট হয়ে যাবে। কিন্তু না ফরম ফিলাপ করতে হবে। ব্যাংকে টাকা জমা দিতে হবে। তারপর পাসপোর্ট অফিসে আসতে হবে। মাথায় প্রশ্ন আসে- কী করা যায়? সহজ উপায় কী? দেখা যায়, পাসপোর্ট অফিসের আশপাশেই দালাল ঘোরাঘুরি করে। তাদের কথা শুনে আশ্বস্ত হওয়ার পর চুক্তিতে আসে আর্জেন্ট, নরমাল, মাঝামাঝি কোন স্তরে কত। দেখা যায় নরমালেই নির্ধারিত ফি থেকে ৫/৬ হাজার টাকা বেশি। কারণ হিসেবে বলা হয়, এই টেবিল-ওই টেবিল, নানা টেবিলে টাকা দিতে হয়। এভাবে নানা ঝকমারি শেষে আবেদনের ৩-৪ মাস পর হাতে আসে পাসপোর্ট, যা বিদেশ যাওয়ার প্রথম ধাপ।
পাসপোর্ট আসার সাথে সাথে বিদেশ ব্যাপারীকে অবহিত করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। পাসপোর্ট জমা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে নেওয়া কারও কাছ থেকে ৫০ হাজার বা তারও বেশি টাকা, যেন গ্রাহক ছুটে না যায়। তারপর মেডিকেল, ভিসা প্রসেসিং, প্রবাসী প্রশিক্ষণ, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ম্যানপাওয়ার, টিকিট, আরও কত কী। নানা তারিখ ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রায় ৫-৮ মাস পর সৌদি যাওয়ার তারিখ পাওয়া যায়। এর মধ্যে আরও অজস্র ঝকমারি আছে। ভিসাসহ বিদেশ যাওয়ার অনুমোদন হাতে পেতে পেতে পকেট থেকে খসে যায় প্রায় ৫ লাখ টাকা। ফলে যাদের আর্থিক অবস্থা বেশি খারাপ, তাদের ভিটা পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়। আর জমি, অটোরিকশা, সুদে ঋণ নেওয়া-এ তো হামেশাই ঘটে। মনে মনে স্বপ্ন দেখে, ‘যাচ্ছি তো টাকার খনিতে।  কামাই করে শোধ করে দেব।’

এর পর আর কী? মা-বাবা, স্ত্রী, সন্তান, আত্মীয়-পরিজন রেখে পাড়ি দেন। বিমানবন্দরেই রচিত বেদনার আখ্যান। ভেজা চোখেই বোর্ডিং পাসের জন্য দাঁড়িয়ে নামমাত্র সম্মানটুকুও পায় না নিজ দেশের বিমানবন্দর থেকে। অথচ বছর বছর প্রবাসী আয়ের অঙ্ক ঘোষণার সময় আবেগমথিত কণ্ঠে বলা হয়- রেমিট্যান্স যোদ্ধা। যদিও বিমানবন্দরে সামন্যতম কোনো ভুল হলেই টাকা খসতে থাকে জীবনের নানা দিক থেকে খাওয়া এসব মানুষের পকেট থেকে।

যা হোক, সব ঝক্কি শেষে যখন ইমিগ্রেশন অফিসারের সামনে দাঁড়ান প্রবাসে পাড়ি দিতে ইচ্ছুক মানুষেরা, তখন তাদের আচরণে মনে হয়-তাঁরা হয়তো কোনো দেশের রাষ্ট্রপতি হবেন বোধ হয়। নানা প্রশ্নবাণে বিক্ষত করা হয় তাঁদের। অবশ্য অনেক অফিসার আছেন, যারা মানবিক, যারা বোঝেন যে, এই মানুষগুলো আসলেই সরল। এসব কিছু শেষ করে যখন তাঁরা উড়োজাহাজ দেখেন চোখের সামনে, তখন তাঁদের সে কী আনন্দ হয়!
এর পর স্বপ্নের সেই বিমানযাত্রা, বিমানবালা, গোছানো খাবারের প্লেট ইত্যাদি সবকিছুই এই মানুষদের সামনে আসে একেকটি চমক হিসেবে। তারপর তো প্রবাস। স্বপ্ন তখনও তাজা-সেখানে কাজ ও থাকার নতুন পরিবেশ, পরিবারের সদস্যদের সাথে দূরালাপন, মাস শেষে বেতন, প্রতি মাসে ঘরে ৫০-৬০ হাজার টাকা পাঠানো, ঋণ পরিশোধ ইত্যাদি। কিন্তু এই স্বপ্নের স্থায়িত্ব খুবই কম, আকাশপথের দূরত্বটুকু শুধু।
ওই স্বপ্নের ঘোরে যখন ওই ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ আনন্দে লাফিয়ে উঠবে উঠবে করে, তখনই দেখা যায় স্বপ্ন নয়, সেটা ছিল নিছক কল্পনা।  টের পায়, তার পা ধরে কে যেন নিচ থেকে টেনে ধরে রেখেছে।  সৌদি আরবে পৌঁছে সে একে একে আবিষ্কার করতে থাকে স্বপ্ন ও বাস্তবের ফারাক।

দেখা যায়, নতুন প্রবাসে আসা লোকটিকে থাকতে দেওয়া হয়েছে এক রুমে ৭-৮ জনের সাথে গাদাগাদি করে। সেখানে কোনোমতে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমানোর জায়গা খুঁজতে হয়। তাকে জানানো হয়-‘১০ দিন পর তোমাকে কাজে নিয়ে যাব। আপাতত এখানে খাও, ঘুমাও।’ এদিকে পৌঁছানোর পরপরই কোনোভাবে জোগাড়যন্ত্র করে বাড়িতে খবর পাঠাতে হয়, ‘আমি পৌঁছিয়েছি। অনেক ভালো আছি। কোনো চিন্তা করো না। মোবাইল বা সিম কিনে তোমাদের সাথে যোগাযোগ করব।’
কিন্তু কাজে যোগ দেওয়ার অপেক্ষার অবসান হয় না সহজে। এভাবেই চলে যায় সপ্তাহ, মাস। এর পর তাকে কোনো সাপ্লাই কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। বেতন কত-প্রশ্ন করলে উত্তর আসে ৮০০-৯০০ রিয়াল, যা বাংলাদেশের টাকায় ৩০ হাজার টাকাও নয়। চোখে তখন অন্ধকার নেমে আসে। সেই লোকটির অবনস্থা তখন হয়-‘কোথায় আসলাম? কেন আসলাম? ফেরত যাওয়ারও তো রাস্তা নেই। অন্য কোনো কাজও তো জানি না।’ একদম নিরুপায় হয়ে পড়ে থাকে সেই লোক মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। মনে অশান্তি নিয়ে পার হতে থাকে দুঃসময়।

সাপ্লাই কোম্পানিগুলো এক ধরনের রাক্ষস। কিছু উদাহরণ দেওয়া যাক। কোনো কাজের জন্য কোনো প্রবাসীর বেতন যদি ২০০০ রিয়াল হয়, তাকে দেওয়া হয় ৮০০-৯০০ রিয়াল, যাও আবার নিয়মিত দেওয়া হয় না। কারও কারও ক্ষেত্রে ২-৩ মাস পরপর দেওয়া হয়। এদিকে আবার খাবারের দামও বেশি। কোনোমতে চলতে গেলেও ৩০০-৪০০ রিয়াল ব্যয় হয়।  ফলে মাসে ৫০ বা ৬০ হাজার নয়, বহু কষ্টে ২০ হাজার টাকা হয়তো তারা পাঠাতে পারে। ঋণ পরিশোধ তো দূরের কথা, দেশে ঘরের খরচ চালানোই মুশকিল হয়ে পড়ে।
কী ভুল হয়েছিল তবে?
এই যে একটি লোক দেশে নিজের যৎসামান্য সম্পদটুকু বিক্রি করে, ধার-দেনা করে, দালাল ধরে নআনা কসরৎ করে সৌদি আরব এলেন, সেখানে তিনি আসলে কী কী ভুল করলেন?

একে একে আসা যাক। তাঁর প্রথম ভুল- তিনি কোনো কিছু না জেনেই কাউকে বিশ্বাস করে টাকা জমা দিয়ে বিদেশ এসেছেন। দ্বিতিয়ত, তিনি কী কাজে আসছেন, সে বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করেননি।

এই প্রশ্ন না করার কারণ তিনি কোনো কাজ জানেন না। তাঁর সাথে হওয়া চুক্তি সম্পর্কেও তিনি কিছু জানেন না। কোথায় যাচ্ছেন, কার কাছে যাচ্ছেন, তারও কোনো খবর নেননি। তিনি সুদূর সৌদি আরবে পাড়ি দিয়েছেন শুধু বিশ্বাস করে।

কীভাবে আসা উচিত
সৌদি আরবে আসলে আমি মনে করি অবশ্যই কোনো বিশ্বস্ত কোম্পানির মাধ্যমে আসা উচিত। অনেকেই ফ্রি ভিসার কথা বলে সৌদি আরবে লোকজনকে নিয়ে আসে। কিন্তু সৌদিতে কোনো ফ্রি ভিসা নেই। এটি একটি মিথ্যা প্রলোভন। বর্তমানে এই ভিসায় যারা আসেন, তাঁদের অবস্থা খুবই খারাপ।

একটু বিস্তারিত বলা যাক, ফ্রি ভিসা বলতে বোঝানো হয় চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মালিক পরিবর্তন করতে পারবেন। কিন্তু বাস্তবে নির্ধারিত মালিকের বাইরে অন্য কাজ করা যায় না। এ ধরনের ভিসা টাকায় লেনদেন হয়। ফ্রি ভিসা বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তার মালিক সম্পর্কে কোনো তথ্য দেওয়া হয় না।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি জানতেই পারে না যে, তার মালিক কে, কোথায় থাকে? এই ভিসার নাম আমেল আইদি। এই ভিসায় মালিক বদলানো যায়। মুশকিল হচ্ছে কাজ না থাকলে বিপদের শেষ নেই। নির্দিষ্ট মালিকের অধীনে কাজ না করলে পুলিশ ধরতে পারে। আর পুলিশ ধরলে নির্ঘাত দেশে পাঠিয়ে দেবে। তাই সৌদিতে আসতে আগ্রহীদের সব সময় মাথায় রাখা উচিত যে, এই দেশে কোনো স্বাধীন ভিসা নেই। যারা বলে তারা মিথ্যা বলে। এ কথা নিজের সৌদি প্রবাসের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি।

সৌদি আরবের বড় বড় শহরের চিত্র এখন ঢাকার ফুটপাথের মতোই। বাংলাদেশ সরকার বিএমআইটির মাধ্যমে নানা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে প্রবাসীদের জন্য।

এ ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হলো- নিজের ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে চাইলে অবশ্যই অবশ্যই কিছু কাজ শিখে আসুন, যেমন ড্রাইভিং ছোট গাড়ি ও বড় গাড়ি, ইলেকট্রিক্যাল নানা কাজ (হাই ভোল্টেজ, লো ভোল্টেজ), কনস্ট্রাকশন, প্লাম্বিং, মেকানিক্যাল যেকোনো কাজ। এখানে কর্মসংস্থান আছে। নির্মাণকাজ, এসি ও ফ্রিজ মেরামতের কাজ ইত্যাদি কাজ পাওয়া যায়। সাথে ন্যূনতম পড়াশোনাটা শিখুন। মনে রাখবেন, যে যত বেশি কাজ জানে, এখানে তার দাম তত বেশি।

সৌদি আরবে এখন অনেক বড় প্রজেক্ট চলছে, যেখানে দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন। তাই দক্ষ মানবসম্পদ যদি বাংলাদেশ রপ্তানি করতে পারে, তাহলে আমাদের রেমিট্যান্সও অনেক অংশে বেড়ে যাবে। আর বেতনকাঠামো নিয়ে এবং মধ্যস্বত্তভোগীদের দৌরাত্ম কমাতে সরকার সহায়ক নানা ভূমিকা নিতে পারে। এতে এখানে আমাদের কর্মীদের অবস্থা আরও ভালো হবে।

সব শেষে
নিজের স্বপ্ন অন্য কেউ গলা টিপে হত্যা করার আগে জানুন-বুঝুন। তারপর আসেন। যারা এত কষ্ট করে আসেন, কিন্তু এসে কিছু করতে পারেন না, তাদের ডুবে যেতে হয় হতাশায়। যদি কাজ না শিখে আসার প্রস্তুতি নেন, তাকে বলব-আসার দরকার নেই। ধাক্কা খাবেন। এর চেয়ে দেশেই কৃষিকাজ বা রাজমিস্ত্রির কাজ করুন বা যে কাজ পারেন, তা করুন। কারণ একটা সময় এ দেশে শ্রমের মূল্য অনেক বেশি ছিল। এখন অনেক কমে গেছে। কারণ, শ্রমিক অনেক বেশি। অন্য দেশের কথা বাদই দিলাম এখানে এখন আমাদের দেশের শ্রমিকের সংখ্যাই বেশি।