ঢাকা ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ 

২০০টাকার আদা এখন ৫০০ টাকা কেজি

চেকপোস্ট ডেস্ক::
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:৫৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩ ২৩১ বার পড়া হয়েছে

চেকপোস্ট ডেস্ক:: একমাস আগেও বাজারে যে চীনা আদার কেজি ছিল ২২০ টাকা, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। চীনা আদা বাদেও ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা আদার দামও বেড়েছে কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত। আর দেশি আদার দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকার বেশি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, বাজারে আমদানিনির্ভর এই পণ্যটির সরবরাহ এখন কম। অন্য বছরগুলোতে স্থানীয় পর্যায়ে যে পরিমাণ আদা উৎপাদিত হয়, সেটাও এবার কমেছে। এসব কারণে আদার দামে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা।

সোমবার (২২ মে) রাজধানীর বাজার ঘুরে চীনা আদার সংকট দেখা যায়। আর সংকট থাকায় প্রতি কেজি চীনা আদা বিক্রি হচ্ছিল ৫০০ টাকায়। ২ দিন আগে শনিবারও আদা বিক্রি হয়েছে ৪৬০ টাকায়। আর রমজান মাসে চীনা আদার কেজি ছিল ২২০ টাকা।

এদিন রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি বার্মিজ আদা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, ইন্দোনেশিয়ার আদা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা, ভিয়েতনামের আদা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা ও দেশি আদা ৩৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

আদার দাম এত বেশি কেন জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে এক ব্যবসায়ী জানান, আমাদের দেশে যে আদা আমদানি হয় সেখানে প্রায় ৫০ শতাংশ চীনা আদা এবং বাকিগুলো অন্যান্য দেশের। তবে দেশে চীনা আদার চাহিদা বেশি। কয়েক দিন ধরেই চীনের আদা আসছে না। তাই বাজারে আদার কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। চীনা আদা বাজারে নেই বললেই চলে।

আরেক আদা ব্যবসায়ী জানান, দেশে এ বছর আদার উৎপাদন কম হয়েছে। আমদানিও কম হয়েছে। এ জন্য দাম অনেক বেশি। কোরবানি ঈদের আগে আদার দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গত ২ দিনে আদার পাশাপাশি পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। গত শনিবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৬ টাকায়। আজ সেই একই মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

পেঁয়াজ আমদানি হলে দাম কিছুটা কমতে পারে। তা ছাড়া কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানান পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

২০০টাকার আদা এখন ৫০০ টাকা কেজি

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:৫৬:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩

চেকপোস্ট ডেস্ক:: একমাস আগেও বাজারে যে চীনা আদার কেজি ছিল ২২০ টাকা, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। চীনা আদা বাদেও ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা আদার দামও বেড়েছে কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত। আর দেশি আদার দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকার বেশি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, বাজারে আমদানিনির্ভর এই পণ্যটির সরবরাহ এখন কম। অন্য বছরগুলোতে স্থানীয় পর্যায়ে যে পরিমাণ আদা উৎপাদিত হয়, সেটাও এবার কমেছে। এসব কারণে আদার দামে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা।

সোমবার (২২ মে) রাজধানীর বাজার ঘুরে চীনা আদার সংকট দেখা যায়। আর সংকট থাকায় প্রতি কেজি চীনা আদা বিক্রি হচ্ছিল ৫০০ টাকায়। ২ দিন আগে শনিবারও আদা বিক্রি হয়েছে ৪৬০ টাকায়। আর রমজান মাসে চীনা আদার কেজি ছিল ২২০ টাকা।

এদিন রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি বার্মিজ আদা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, ইন্দোনেশিয়ার আদা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা, ভিয়েতনামের আদা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা ও দেশি আদা ৩৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

আদার দাম এত বেশি কেন জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে এক ব্যবসায়ী জানান, আমাদের দেশে যে আদা আমদানি হয় সেখানে প্রায় ৫০ শতাংশ চীনা আদা এবং বাকিগুলো অন্যান্য দেশের। তবে দেশে চীনা আদার চাহিদা বেশি। কয়েক দিন ধরেই চীনের আদা আসছে না। তাই বাজারে আদার কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। চীনা আদা বাজারে নেই বললেই চলে।

আরেক আদা ব্যবসায়ী জানান, দেশে এ বছর আদার উৎপাদন কম হয়েছে। আমদানিও কম হয়েছে। এ জন্য দাম অনেক বেশি। কোরবানি ঈদের আগে আদার দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গত ২ দিনে আদার পাশাপাশি পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। গত শনিবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৬ টাকায়। আজ সেই একই মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

পেঁয়াজ আমদানি হলে দাম কিছুটা কমতে পারে। তা ছাড়া কমার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানান পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।