সংস্কার, জাতীয় নির্বাচন ও আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভা

- নিউজ প্রকাশের সময় : ০৩:০০:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫ ২৭ বার পড়া হয়েছে

নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ সামসুজ্জামান দুদু২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই। আপনাদের প্রতি বিএনপির সম্মান আছে, শ্রদ্ধা আছে, ভালোবাসা আছে, এটা নষ্ট করার চেষ্টা করবেন না। নষ্ট করলে এর পরিণাম ভালো হবে না। সংস্কার করার জন্য তিন মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়। বিগত দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন দিয়েছেন। কেবল ফখরুদ্দীন-মঈনুদ্দীন অতিরিক্ত সময় নিয়েছেন। এ কারণে তাদের দেশ ছেড়ে স্থায়ীভাবে পালাতে হয়েছে। এটা বর্তমান সরকাররে ক্ষেত্রে আমরা দেখতে চাই না। তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন বিএনপি যতবার ক্ষমাতায় এসেছে জনগণের সমর্থন নিয়েই এসেছে। বাঁকা পথে কখনো আসেনি। আপনি যদি রাজনীতি করতে চান ছাত্রদের সরিয়ে আপনি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব গ্রহণ করুন এবং জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় আসুন। আপনি জয়লাভ করলে বিএনপি’ই আপনাকে অভিনন্দন জানাবে। তিনি প্রফেসর ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন আপনি তো রাজনীতির জন্য একদিনও জেল খাটেননি। অথচ বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী বছরের পর বছর জেল খেটেছে। তারা খুন, গুম ও নির্মম নির্যতনের শিকার হয়েছে। বেগম জিয়া বিনা অপরাধে বছরের পর বছর জেল খেটেছেন, সন্তান হারিয়েছেন। দেশের জন্য তাদের ত্যাগ এবং অবদান সিমাহীন। আপনি তাদের অন্ধকারে রেখে কিছুই করতে পারবেন না।
জনাব দুদু বলেন, নির্বাচনের জন্য সংস্কার প্রয়োজন। সেই নির্বাচনই যদি না হয় তাহলে সংস্কার কি কাজে লাগবে। তিনি বলেন বর্তমান সরকার যদি ভুল না করে, দেশকে বিপথে চালিত না করে তাহলে আগামীর বাংলাদেশ হবে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রমাণ করেছেন তিনি এদেশের কতটা আপনজন এবং কতটা ভালোবাসেন এদেশের মানুষকে। তিনি তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছেন। আওমালীগ সবসময় বলে বেড়াতো তারা গণতন্ত্রের অনূকুল শক্তি কিন্তু শেখ মুজিব ৭২ থেকে ৭৫ সালে বাকশাল কায়েম করেছেন, গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছেন। শেখ হাসিনাও একই পথে হেটেঁছেন। আমরা আশা করছি আপনি সেই পথ পরিহার করে গণতন্তের পথে ফিরে আসবেন।
‘সংস্কার, জাতীয় নির্বাচন ও আগামীর বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন
প্রধান অতিথি বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিশেষ অতিথি নিউ নেশনের সাবেক সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বাংলাদেশ সাংবাদপত্র এডিটরস এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মজুমদার, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী ড. রশীদ আহমেদ হোসাইনী, প্রজন্ম একাডেমি’র সভাপতি লেখক ও গবেষক কালাম ফয়েজী, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারী, মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, চাঁদপুর জেলা বিএনপির নেতা মিজানুর রহমান পাটোয়ারী, মোঃ শরীফুল ইসলাম, মহিদুল ইসলাম মামুন, হাফেজ শরিফুল ইসলাম, মুক্তিযুুদ্ধের প্রজন্মের সাধারণ সম্পাদক মো. নবী হোসেন, মুক্তিযুুদ্ধের প্রজন্মের ঢাকা মহানগর সভাপতি শোয়েব কোরাইশী, সাবেক ছাত্রনেতা রমিজউদ্দীন রুমি প্রমূখ।
সভাপতিত্ব করেছেন নাগরিক অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি এস.এম মিজানুর রহমান