আবারো উচ্ছেদ হল মুন্সীগঞ্জের আলোচিত সিপাহিপাড়া চৌরাস্তা বসা অবৈধ দোকানপাট।
- নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪ ১০২ বার পড়া হয়েছে
আবারো উচ্ছেদ হল মুন্সীগঞ্জের আলোচিত সিপাহিপাড়া চৌরাস্তা বসা অবৈধ দোকানপাট
রিপোর্টার মেহেদী হাসান অলি
মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার সিপাহিপাড়া চৌরাস্তার দীর্ঘদিন গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাটসহ সকল অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ অভিযানে নামলো জেলা প্রশাসন।এদিকে আজ ২৫ শে জানুয়ারি দুপুর ১২:৩০ দিকে পূর্ব নোটিশ ছাড়াই প্রশাসনের লোক এসে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নামে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি।স্থানীয় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের অনেকের দাবি,পূর্বনির্দেশনা ছাড়াই আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য উচ্ছেদের নামে একটি মহল সুপরিকল্পিতভাবে মাঠে নেমেছে।এতদিন প্রশাসনের সামনেই আমরা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি তখন কোথায় ছিল তারা।একপক্ষকে সরিয়ে আরেক পক্ষকে সুবিধা দেওয়ার জন্যই কি এই উচ্ছেদের নাটক করা হচ্ছে কিনা, সরকারের কাছে এর সঠিক তদন্তের অনুরোধ জানাই।আলোচিত সিপাহীপাড়া চৌরাস্তায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় রাস্তার উপরে গড়ে ওঠে স্টেট ফুড সহ বিভিন্ন দোকানপাট জমে ওঠে।একাধিকবার প্রশাসন এ রাস্তাটির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও, কিছুদিন পরেই আবার স্থানীয় পাতি নেতাদের ছত্রছায়ায় ব্যাঙের ছাতার মত রাতারাতি প্রশাসনের নাকের ডগায় পুনরায় গড়ে উঠে ।স্থানীয় এক সাধারণ পথচারীর দাবি এর আগেও কয়েকবার এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল।কিছুদিন যেতে না যেতেই ক্ষমতাসীনদের দলীয় প্রভাবে স্থানীয় কিছু পাতি নেতারা স্থানটি অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।তারপর গড়ে ওঠে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।অবৈধভাবে রাস্তার উপরেই চলে ব্যবসা কার্যক্রম।এখন আবার উচ্ছেদ করা হলো এতে আমরা আনন্দিত কিন্তু দেখার বিষয় কতদিন এই উচ্ছেদ অভিযান থাকে।ক্ষমতার পালা বদলে একপক্ষ গেলে আরেকপক্ষ এসে খুঁটি গারে।আবারো তৈরি হয় বিভিন্ন ফুটপাতের ব্যবসা-বাণিজ্য।নাম বলতে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর অভিযোগ আমরা তো টাকা দিয়ে এখানে দীর্ঘদিন ব্যবসা করে আসছি।তাহলে কেন বিনা নোটিশে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতি করা হলো,আমরা সরকারের কাছে এর ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।এ বিষয়ে প্রশাসনের কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি তারা তাদের নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে এসেছেন বলে জানান।তবে যাদের ছত্রছায়ায় এতদিন রাস্তার উপরে অবৈধ দোকানপাট পরিচালনা করে আসছেন তাদের বিষয় কি ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন,সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোন তথ্য জানা যায়নি।