ঢাকা ১০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জেলা বিএনপি আহবায়ক এড.মান্নানের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়। অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে।

আসন্ন সিটি নির্বাচন বিএনপির এসিড টেস্ট

প্রতিনিধির নাম
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:২৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩ ৭৯ বার পড়া হয়েছে
দেশের পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুসারে আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেটের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্য করা গেলেও জাতীয় নির্বাচনের আগে আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ নেই বিএনপির। শুধু সিটি নির্বাচন নয়, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনই না করার ঘোষণা দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সরকারের ট্র্যাপ (ফাঁদ) বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এবার আর কোনো ট্র্যাপে বিএনপি পা দেবে না। বিএনপির আন্দোলন একটাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।
তবে দলের এমন সিদ্ধান্তে বিএনপির মধ্যম সারির নেতাদের ভিন্ন মত রয়েছে। এই সারির নেতারা নির্বাচন যাওয়ার ব্যাপারে জোরালো মতামত দিচ্ছেন। তাদের দাবি কর্মীদের উজ্জীবিত করা বা তাদের একত্রী করার একটি বড় মাধ্যম হল নির্বাচন। বিএনপি দলীয় ভাবে নির্বাচন না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও দলের অনেক জনপ্রিয় নেতা রয়েছেন যাদের ওপর নির্বাচন যাওয়ার ব্যাপারে আলাদা একটা চাপ রয়েছে।
এই সারির নেতাদের দাবি, বিএনপি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন বর্জন করেছে। ২০১৮ সালে নির্বাচন অংশ নিলেও এককভাবে নির্বাচন করেনি, জোটের ব্যানারে নির্বাচন করেছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এর আগে পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এখন যদি বিএনপি আবার নির্বাচনে না যায় তাহলে দলটি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে দেশের জনগণের সঙ্গে নেতাকর্মীদের আলোদা একটা দূরত্ব তৈরি হবে। কিন্তু রাজনীতিতে নির্বাচন হল জনগণের সঙ্গে নেতাদের নারীর টানের মতো। নির্বাচনই দেশের জনগণের সঙ্গে নেতাদের সম্পর্ক বাচিঁয়ে রাখে এবং একটা সময় ওই নেতাকে ধীরে ধীরে জাতীয় নেতা পর্যন্ত বানায়। অথচ নির্বাচনে যদি সেই নেতা জনগণের সঙ্গে না থাকে, নির্বাচন বর্জন করে তাহলে সেটি হবে জনবিচ্ছিন্নতা।
সেই বিবেচনায় বিএনপির মধ্যে যারা সরাসরি জনগণের সাথে রাজনীতি করছেন তারা আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। ধারণা করা হচ্ছে শেষ পর্যন্ত যদি বিএনপি কঠোর অবস্থানে যায় তাহলে বিএনপির এই সারির একাধিক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। আর এই নির্বাচনে যদি বিএনপি সুবিধা করতে পারে তাহলে সামনের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে হিড়িক পড়বে। কাজেই বিএনপি এই নির্বাচন থেকে কতটুকু দূর থাকতে পারবে সেটাই এখন মূখ্য বিষয়। কারণ নিকট অতীতে দেখা গেছে, বিএনপি দলীয় ভাবে নির্বাচন না করলেও দলের জনপ্রিয় প্রার্থীগণ স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলেন কুমিল্লার মনিরুল হক সাক্কু, নারায়ণগঞ্জের তৈমুর আলম খন্দকার। এছাড়া খুলনা জেলার বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জুও অন্যতম। খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন নিয়ে দলের সিদ্ধান্তে আপত্তি তুলেছিলেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
শুধু কাগজে-কলমে নয়, বিএনপির নেতাকর্মীরা যদি সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে পারেন তাহলে বুঝা যাবে বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে একইভাবে অনড় থাকবে। আর যদি বিএনপি দলের নেতাকর্মীদের কোনো ভাবে ঠেকাতে না পারেন তাহলে আগামী নির্বাচনেও বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকাতে পারবে না। সে সময় বিএনপির অনেক নেতাকর্মীই উকিল সাত্তারের মডেলে নির্বাচনে যাবে। ফলে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন হচ্ছে বিএনপির জন্য এসিড টেস্ট। বিএনপি যদি নির্বাচন নাও করে সেটি যেমন তাদের জন্য একটি পরীক্ষা হবে তেমনি বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় সেটিও আরেকটি পরীক্ষা। বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে আওয়ামী লীগের জন্য একটা চাপ তৈরি হবে। আর দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যদি মনিরুল হক সাক্কু এবং তৈমুর আলম খন্দকারের মতো কেউ নির্বাচনে যায় তাহলে আওয়ামী লীগের জন্য কোনো চাপ সৃষ্টি হবে না। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ একটা কর্মফোট জোনে থাকবে। সুত্র: বাংলা ইনসাইডার

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আসন্ন সিটি নির্বাচন বিএনপির এসিড টেস্ট

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:২৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
দেশের পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুসারে আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেটের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্য করা গেলেও জাতীয় নির্বাচনের আগে আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ নেই বিএনপির। শুধু সিটি নির্বাচন নয়, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনই না করার ঘোষণা দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সরকারের ট্র্যাপ (ফাঁদ) বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এবার আর কোনো ট্র্যাপে বিএনপি পা দেবে না। বিএনপির আন্দোলন একটাই, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন।
তবে দলের এমন সিদ্ধান্তে বিএনপির মধ্যম সারির নেতাদের ভিন্ন মত রয়েছে। এই সারির নেতারা নির্বাচন যাওয়ার ব্যাপারে জোরালো মতামত দিচ্ছেন। তাদের দাবি কর্মীদের উজ্জীবিত করা বা তাদের একত্রী করার একটি বড় মাধ্যম হল নির্বাচন। বিএনপি দলীয় ভাবে নির্বাচন না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও দলের অনেক জনপ্রিয় নেতা রয়েছেন যাদের ওপর নির্বাচন যাওয়ার ব্যাপারে আলাদা একটা চাপ রয়েছে।
এই সারির নেতাদের দাবি, বিএনপি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন বর্জন করেছে। ২০১৮ সালে নির্বাচন অংশ নিলেও এককভাবে নির্বাচন করেনি, জোটের ব্যানারে নির্বাচন করেছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন। এর আগে পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এখন যদি বিএনপি আবার নির্বাচনে না যায় তাহলে দলটি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে দেশের জনগণের সঙ্গে নেতাকর্মীদের আলোদা একটা দূরত্ব তৈরি হবে। কিন্তু রাজনীতিতে নির্বাচন হল জনগণের সঙ্গে নেতাদের নারীর টানের মতো। নির্বাচনই দেশের জনগণের সঙ্গে নেতাদের সম্পর্ক বাচিঁয়ে রাখে এবং একটা সময় ওই নেতাকে ধীরে ধীরে জাতীয় নেতা পর্যন্ত বানায়। অথচ নির্বাচনে যদি সেই নেতা জনগণের সঙ্গে না থাকে, নির্বাচন বর্জন করে তাহলে সেটি হবে জনবিচ্ছিন্নতা।
সেই বিবেচনায় বিএনপির মধ্যে যারা সরাসরি জনগণের সাথে রাজনীতি করছেন তারা আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। ধারণা করা হচ্ছে শেষ পর্যন্ত যদি বিএনপি কঠোর অবস্থানে যায় তাহলে বিএনপির এই সারির একাধিক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। আর এই নির্বাচনে যদি বিএনপি সুবিধা করতে পারে তাহলে সামনের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ব্যাপারে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে হিড়িক পড়বে। কাজেই বিএনপি এই নির্বাচন থেকে কতটুকু দূর থাকতে পারবে সেটাই এখন মূখ্য বিষয়। কারণ নিকট অতীতে দেখা গেছে, বিএনপি দলীয় ভাবে নির্বাচন না করলেও দলের জনপ্রিয় প্রার্থীগণ স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করেছেন। এদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলেন কুমিল্লার মনিরুল হক সাক্কু, নারায়ণগঞ্জের তৈমুর আলম খন্দকার। এছাড়া খুলনা জেলার বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জুও অন্যতম। খুলনা জেলা ও মহানগর কমিটি গঠন নিয়ে দলের সিদ্ধান্তে আপত্তি তুলেছিলেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
শুধু কাগজে-কলমে নয়, বিএনপির নেতাকর্মীরা যদি সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে পারেন তাহলে বুঝা যাবে বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে একইভাবে অনড় থাকবে। আর যদি বিএনপি দলের নেতাকর্মীদের কোনো ভাবে ঠেকাতে না পারেন তাহলে আগামী নির্বাচনেও বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকাতে পারবে না। সে সময় বিএনপির অনেক নেতাকর্মীই উকিল সাত্তারের মডেলে নির্বাচনে যাবে। ফলে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন হচ্ছে বিএনপির জন্য এসিড টেস্ট। বিএনপি যদি নির্বাচন নাও করে সেটি যেমন তাদের জন্য একটি পরীক্ষা হবে তেমনি বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় সেটিও আরেকটি পরীক্ষা। বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে আওয়ামী লীগের জন্য একটা চাপ তৈরি হবে। আর দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যদি মনিরুল হক সাক্কু এবং তৈমুর আলম খন্দকারের মতো কেউ নির্বাচনে যায় তাহলে আওয়ামী লীগের জন্য কোনো চাপ সৃষ্টি হবে না। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ একটা কর্মফোট জোনে থাকবে। সুত্র: বাংলা ইনসাইডার