ইন্ডিয়ান জনগন,বাংলাদেশর তুলনায় এদেশে অনেক শান্তিতে আছে।চিকিৎসা নিতে যাওয়া স্কুল শিক্ষক_মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন

- নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ৬৪ বার পড়া হয়েছে

ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া বিদেশিদের মধ্যে ৫৪ শতাংশই বাংলাদেশি।ভারতের কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রণালয় প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে।খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।এক যুগ আগেও ভারতে মেডিকেল ট্যুরিস্টদের মধ্যে বাংলাদেশিদের হার ছিল ২৩ শতাংশের মতো।ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া স্কুল শিক্ষক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের নামের বাংলাদেশী নাগরিকের আবেগি স্ট্যাটাস।চিকিৎসার জন্য ভারতে এসেছি।এখানে এসে একটা জিনিস দেখলাম এবং উপলব্ধি করলাম।ইন্ডিয়ান জনগন এদেশে অনেক শান্তিতে আছে।নেই লোডশেডিং,বিদ্যুৎ গেলেও ৪-৫ মিনিট সর্বোচ্চ,তারপর আবার চলে আসে।নিত্ত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক কম।এখানে ৬০০-৭০০ টাকায় যা পাওয়া যায় বাংলাদেশে তা কিনতে অন্তত ২ হাজার টাকার প্রয়োজন।মাত্র ৩০০-৪০০ টাকার ট্যাক্সি ভাড়ায় আপনি এতটা দূরে যেতে পারবেন যেটা বাংলাদেশে অন্তত ২ হাজার টাকা নিবে ট্যাক্সি ভাড়া।শুনলে হয়তো অবাক হবেন এখানকার অটো/সিএনজি ড্রাইভারদের চার/পাঁচ তলা বাড়ি আছে প্রায় সবারই।কারো কারো আবার একের অধিক বাড়ি।বাংলাদেশে অটো বা সিন এন জি চালিয়ে ভালো একটা টিনের ঘরই করতে পারেনা কেউ,সেখানে চার/পাঁচ তলা বাড়ি তো বিলাসীতা।যেহেতু চিকিৎসার জন্য এসেছি সে ব্যাপারেও একটু না বললেই নয়।হাসপাতালে একটু সময় বেশি নেয় তবে চিকিৎসা সেবা ফার্স্ট ক্লাস মানের।সামান্য আয়া,ক্লিনার থেকে শুরু করে সকল স্টাফদের ব্যবহার অমায়ীক।ডাক্তারগন দীর্ঘ সময় একজন রোগীকে দেখে এবং অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে রোগীর প্রত্যেকটা কথা শুনে।এবং তারা রোগীর প্রতি অত্যন্ত যত্নবান।ইন্ডিয়াতে নেশাখোর আছে অনেক তবে চুরি বাটপারি নেই বললেই চলে।মোটর সাইকেল,অটো এসব যানবাহন নির্দিধায় রাতের বেলা রাস্তার পাশে রেখে দেয় এখানকার জনগন।চুরি হওয়ার ভয় নেই। সর্বোপরি ভারতীয় সাধারন জনগন তাদের দেশে অনেক শান্তিতে আছে।যেটা আমরা বাংলাদেশিরা কখনো পাইনি।কারন আমাদের দেশে সরকার আসে নিজেদের পকেট ভারী করার জন্য,জনগনের কল্যানের জন্য নয়।এখন বাংলাদেশের নীতি হলো…দেশ চুলোয় যাক,আমার গদি চাই।