ঢাকা ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ 

উচ্চ রক্তচাপ মানি ব্লাড প্রেসার এইটা একটা বিপদজনক 

রিপোর্টার মোঃ আলমগীর হোসেন 
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪ ১৬ বার পড়া হয়েছে

নীরব ঘাতকের মতো বেড়ে চলে হাইপারটেনশন। আমরা যাকে ‘হাই ব্লাড প্রেশার’ নামে চিনি। এই প্রেশার প্রাণঘাতীও বটে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন ওষুধ খেতে হয়। আর একদিন প্রেশারের ওষুধ বাদ দিলেই আপনি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে হতে পারেন। উচ্চ রক্তচাপের জেরে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো সমস্যা দেখা দেয়। কেন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হানা দেয় এবং কীভাবে এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, তারই খুঁটিনাটি রইলো এহাইপারটেনশনের পেছনে কয়েকটি লাইফস্টাইল ফ্যাক্টরকে দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। এর মধ্যে ব্যায়াম থেকে শুরু করে ওবেসিটি, ধূমপানের মতো বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তাদের মতে, নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু প্রতিদিন অ্যারোবিক ব্যায়াম করে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। বিশেষত যাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না, শরীরের ওজন বেড়ে গেলে, ওবেসিটিতে ভুগলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। আবার অনেক সময় ওবেসিটির জেরে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার মুখোমুখি হতে হয়। এখান থেকেও হাইপারটেনশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।চিকিৎসকরা হাইপারটেনশনের বিরুদ্ধে দায়ী করেছেন প্রিজারভেটিভ, চিনি ও লবণ দেওয়া প্রক্রিয়াজাত খাবারকে। এতে উচ্চ পরিমাণে ক্যালোরি, সোডিয়াম থাকে। এগুলো উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি কিডনির সমস্যা ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি এড়াতে ফাস্ট ফুড ছেড়ে স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করা জরুরি।হাইপারটেনশনের ঝুঁকি এড়াতে ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকা পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই লাইফস্টাইল ফ্যাক্টরগুলো ছাড়াও আরেকটি বিষয়কে হাইপারটেনশনের জন্য দায়ী করেছেন তারা। স্ট্রেস বা মানসিক চাপও উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী। মানসিক চাপ কমিয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।হাইপারটেশনের রোগী হলে রোজ ওষুধ খেতে হবে এবং চিকিৎসাধীন থাকতে হবে। এমনটাই পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা জানান, হাইপারটেশনের আক্রান্ত হলেই অনেকেই চিকিৎসা করান না। এমনকি চিকিৎসাধীনও থাকেন না। অর্ধেকের বেশি মানুষ জানেনই না যে তার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। যেহেতু তারা কখনোই নিয়মিত ব্লাড প্রেশার মাপেন না। আর যারা এই স্বাস্থ্য অবস্থা সম্পর্কে সচেতন এবং হাইপারটেনশনের রোগী তাদের মধ্যে অর্ধেক রোগী প্রতিদিন ওষুধ খান না। আর এর জেরেই ধীরে ধীরে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলেন।চিকিৎসাধীন না থাকলে, নিয়মিত ব্লাড প্রেশার চেক না করালে এবং ওষুধ না খেলে জটিলতা বাড়বে। এখান থেকে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই ঘন ঘন রক্তচাপ পরীক্ষা করানো এবং সেই মতো ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এতে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখা আরও সহজ হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

উচ্চ রক্তচাপ মানি ব্লাড প্রেসার এইটা একটা বিপদজনক 

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪

নীরব ঘাতকের মতো বেড়ে চলে হাইপারটেনশন। আমরা যাকে ‘হাই ব্লাড প্রেশার’ নামে চিনি। এই প্রেশার প্রাণঘাতীও বটে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে প্রতিদিন ওষুধ খেতে হয়। আর একদিন প্রেশারের ওষুধ বাদ দিলেই আপনি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে হতে পারেন। উচ্চ রক্তচাপের জেরে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো সমস্যা দেখা দেয়। কেন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হানা দেয় এবং কীভাবে এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, তারই খুঁটিনাটি রইলো এহাইপারটেনশনের পেছনে কয়েকটি লাইফস্টাইল ফ্যাক্টরকে দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। এর মধ্যে ব্যায়াম থেকে শুরু করে ওবেসিটি, ধূমপানের মতো বিভিন্ন কারণ রয়েছে। তাদের মতে, নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু প্রতিদিন অ্যারোবিক ব্যায়াম করে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। বিশেষত যাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে না, শরীরের ওজন বেড়ে গেলে, ওবেসিটিতে ভুগলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। আবার অনেক সময় ওবেসিটির জেরে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার মুখোমুখি হতে হয়। এখান থেকেও হাইপারটেনশনের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।চিকিৎসকরা হাইপারটেনশনের বিরুদ্ধে দায়ী করেছেন প্রিজারভেটিভ, চিনি ও লবণ দেওয়া প্রক্রিয়াজাত খাবারকে। এতে উচ্চ পরিমাণে ক্যালোরি, সোডিয়াম থাকে। এগুলো উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি কিডনির সমস্যা ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি এড়াতে ফাস্ট ফুড ছেড়ে স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া করা জরুরি।হাইপারটেনশনের ঝুঁকি এড়াতে ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকা পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই লাইফস্টাইল ফ্যাক্টরগুলো ছাড়াও আরেকটি বিষয়কে হাইপারটেনশনের জন্য দায়ী করেছেন তারা। স্ট্রেস বা মানসিক চাপও উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী। মানসিক চাপ কমিয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।হাইপারটেশনের রোগী হলে রোজ ওষুধ খেতে হবে এবং চিকিৎসাধীন থাকতে হবে। এমনটাই পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা জানান, হাইপারটেশনের আক্রান্ত হলেই অনেকেই চিকিৎসা করান না। এমনকি চিকিৎসাধীনও থাকেন না। অর্ধেকের বেশি মানুষ জানেনই না যে তার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। যেহেতু তারা কখনোই নিয়মিত ব্লাড প্রেশার মাপেন না। আর যারা এই স্বাস্থ্য অবস্থা সম্পর্কে সচেতন এবং হাইপারটেনশনের রোগী তাদের মধ্যে অর্ধেক রোগী প্রতিদিন ওষুধ খান না। আর এর জেরেই ধীরে ধীরে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলেন।চিকিৎসাধীন না থাকলে, নিয়মিত ব্লাড প্রেশার চেক না করালে এবং ওষুধ না খেলে জটিলতা বাড়বে। এখান থেকে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই ঘন ঘন রক্তচাপ পরীক্ষা করানো এবং সেই মতো ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এতে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখা আরও সহজ হবে।