ঢাকা ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ 

কলমি শাক(Ipomoea aquatica)

রিপোর্টার:-মোঃস্বপন
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ১০:৫৮:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩ ১৭৩ বার পড়া হয়েছে

কলমি শাক(Ipomoea aquatica)

কলমি শাক আঁশ জাতীয় খাবার। পুষ্টিগুনে ভরপুর কলমি শাক এবং এর মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদান। সহজলভ্য এবং দামে সস্তা এ শাকটি বাংলাদেশর সকল জেলাতেই পাওয়া যায়।

১০০ গ্রাম কলমি শাকের মধ্যে পুষ্টি গুণের পরিমাণ:
খাদ্য শক্তি ২৯ কিলো ক্যালরি
সোডিয়াম ১১৩ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ৩১২ মিলিগ্রাম
খাদ্য আঁশ ২.১ গ্রাম
প্রোটিন ৩ গ্রাম
ভিটামিন সি ৪৯ মিলিগ্রাম
আমিষ ৩.৯ গ্রাম
খাইয়ামিন ০.৯ মিলিগ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ৫.৪ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ৭৩ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ৫০ মিলিগ্রাম
আয়রন ২.৫ মিলিগ্রাম
জলীয় অংশ ৮৯.৭ গ্রাম
শ্বেত সার ৪.৪ গ্রাম
নায়াসিন ১.৩ মিলিগ্রাম
এবার আমরা জেনে নেব কলমি শাকের বিশেষ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে?

★ কলমি শাকের উপকারিতা:

১)দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে: এ শাকটি চোখের জন্য খুবই উপকারী। এই শাক খেলে দৃষ্টিশক্তি প্রখর হবে। তাছাড়া আর রাতকানা রোগ হওয়া থেকে কলমি শাক রক্ষা করে। আবার রাতকানা রোগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, কলমি শাক যদি চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ প্রতিদিন নিয়ম করে খাওয়া হয়, তাহলে রাতকানা রোগ ভালো হয়ে যেতে পারে। কারণ কলমি শাকের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন। আর এই কেরোটিন আমাদের শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ তৈরি করতে সাহায্য করে।

২) বুকের দুধ বৃদ্ধিতে: এ শাকটি বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
জন্মের পর শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খেতে বলা হয়। তাই অনেক সময় মায়ের বুকে দুধ না পেলে মাকে কলমি শাক রান্না করে খাওয়ান এতে শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পাবে। বাচ্চারা যদি মায়ের দুধ কম পায় তাহলে কলমি শাক ছোট মাছ দিয়ে রান্না করে খেলে, মায়ের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

৩) জ্বালাপোড়া কমাতে: এ শাকটি জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। প্রস্রাবে জ্বালা যন্ত্রণা করলে কলমি শাকের রস দুই থেকে তিন চামচ করে তিন সপ্তাহ খেলে ওই রকম জ্বালা – যন্ত্রণা কমে যাবে। আর যদি হাত পা বা শরীরে অন্য কোন অংশে জ্বালা করে, তাহলে কলমি শাকের রসের সঙ্গে একটু দুধ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে এক সপ্তাহ খেলে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

৪)মাথাব্যথা দূর করতে: এ শাকটি মাথা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। যাদের মাঝে মাঝে অকারণে মাথা ব্যথা করে। তারা যদি কলমি শাক খান তাহলে উপকার পেতে পারেন। অনিদ্রা দূর করতে কলমি শাক খেতে পারেন।

৫)কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে: এ শাকটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।কলমি শাক আঁশ জাতীয় খাবার। তাই খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে কলমি শাক। নিয়মিত কলমি শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা যেতে পারে।

৬)ক্যালসিয়াম:
কলমি শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। ফলে কলমি শাক খেলে আমাদের হাড় মজবুত হয়। তাই ছোটবেলা থেকে এই শিশুদের কলমি শাক খাওয়ানোর অভ্যাস করা উচিৎ।

৭)শরীরে দুর্বলতা কমাতে:
কলমি শাক আমাদের শরীরে দূর্বলতা কমাতে বিশেষ উপকারি। কেননা কলমি শাকের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য শক্তি। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য শক্তির থাকার ফলে, আমাদের শরীরে দুর্বলতাকে সারিয়ে তুলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

৮) গর্ভবতী মায়েদের জন্য : গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের হাতে পায়ে জল আসে। সেই সময় কলমি শাক একটু বেশি করে রসুন দিয়ে ভেজে দুই থেকে তিন সপ্তাহ খেলে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

৯) রক্তশূন্যতা দূর করতে:
কলমি শাক এর মধ্যে আছে সঠিক পরিমাণে আয়রন। যা রক্ত শূন্যতা ভোগা রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। সারা শরীরে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ সঠিক রাতে কলমি শাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১০) হজমে সাহায্য করে:
কলমি শাকের পাতা এবং কান্ডের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। যা আমাদের শরীরে খাদ্য হজম করতে সহায়তা করে।

১১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বারায়:কলমি শাক আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কারণ কলমি শাকের মধ্যে আছে ভিটামিন সি এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

১২)ফোড়া ভালো করতে সাহায্য :কারো যদি কোন জায়গায় ফোড়া হয়, তাহলে কলমি শাকের পাতার সঙ্গে একটু আদা বেটে, ফোড়ার চারপাশে ভালো করে লাগিয়ে দিতে হবে। তিন চারদিন এইভাবে লাগালে ফোড়া পেকে যাবে এবং পুঁজ হয়ে ফেটে শুকিয়ে যাবে।

১৩)মাথার খুশকি দূর করে:নিয়মিত খাদ্য তাকায় রাখলে এ শাক খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।

১৪)অনিদ্রা জনিত সমস্যা দূর করতে কলমি শাক সাহায্য করে।
১৫. পিঁপড়ে, মৌমাছি বা অন্য কোন পোকা কামড়ালে কলমি শাকের পাতার রস লাগালে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

★ কলমি শাকের অপকারিতা:

অতিরিক্ত কলমি শাক খেলে বদহজম হতে পারে।
অতিরিক্ত কলমি শাক খেলে ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে।

তবে ঢোল কলতি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন সেটা বিষাক্ত। এটা গাছ আকারে হয়ে থাকে। এটা কলমি শাক নয় কলমি গাছ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কলমি শাক(Ipomoea aquatica)

নিউজ প্রকাশের সময় : ১০:৫৮:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

কলমি শাক(Ipomoea aquatica)

কলমি শাক আঁশ জাতীয় খাবার। পুষ্টিগুনে ভরপুর কলমি শাক এবং এর মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উপাদান। সহজলভ্য এবং দামে সস্তা এ শাকটি বাংলাদেশর সকল জেলাতেই পাওয়া যায়।

১০০ গ্রাম কলমি শাকের মধ্যে পুষ্টি গুণের পরিমাণ:
খাদ্য শক্তি ২৯ কিলো ক্যালরি
সোডিয়াম ১১৩ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ৩১২ মিলিগ্রাম
খাদ্য আঁশ ২.১ গ্রাম
প্রোটিন ৩ গ্রাম
ভিটামিন সি ৪৯ মিলিগ্রাম
আমিষ ৩.৯ গ্রাম
খাইয়ামিন ০.৯ মিলিগ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ৫.৪ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ৭৩ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ৫০ মিলিগ্রাম
আয়রন ২.৫ মিলিগ্রাম
জলীয় অংশ ৮৯.৭ গ্রাম
শ্বেত সার ৪.৪ গ্রাম
নায়াসিন ১.৩ মিলিগ্রাম
এবার আমরা জেনে নেব কলমি শাকের বিশেষ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে?

★ কলমি শাকের উপকারিতা:

১)দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে: এ শাকটি চোখের জন্য খুবই উপকারী। এই শাক খেলে দৃষ্টিশক্তি প্রখর হবে। তাছাড়া আর রাতকানা রোগ হওয়া থেকে কলমি শাক রক্ষা করে। আবার রাতকানা রোগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, কলমি শাক যদি চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ প্রতিদিন নিয়ম করে খাওয়া হয়, তাহলে রাতকানা রোগ ভালো হয়ে যেতে পারে। কারণ কলমি শাকের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন। আর এই কেরোটিন আমাদের শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ তৈরি করতে সাহায্য করে।

২) বুকের দুধ বৃদ্ধিতে: এ শাকটি বুকের দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
জন্মের পর শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খেতে বলা হয়। তাই অনেক সময় মায়ের বুকে দুধ না পেলে মাকে কলমি শাক রান্না করে খাওয়ান এতে শিশু পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ পাবে। বাচ্চারা যদি মায়ের দুধ কম পায় তাহলে কলমি শাক ছোট মাছ দিয়ে রান্না করে খেলে, মায়ের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।

৩) জ্বালাপোড়া কমাতে: এ শাকটি জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। প্রস্রাবে জ্বালা যন্ত্রণা করলে কলমি শাকের রস দুই থেকে তিন চামচ করে তিন সপ্তাহ খেলে ওই রকম জ্বালা – যন্ত্রণা কমে যাবে। আর যদি হাত পা বা শরীরে অন্য কোন অংশে জ্বালা করে, তাহলে কলমি শাকের রসের সঙ্গে একটু দুধ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে এক সপ্তাহ খেলে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

৪)মাথাব্যথা দূর করতে: এ শাকটি মাথা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। যাদের মাঝে মাঝে অকারণে মাথা ব্যথা করে। তারা যদি কলমি শাক খান তাহলে উপকার পেতে পারেন। অনিদ্রা দূর করতে কলমি শাক খেতে পারেন।

৫)কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে: এ শাকটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।কলমি শাক আঁশ জাতীয় খাবার। তাই খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে কলমি শাক। নিয়মিত কলমি শাক খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা যেতে পারে।

৬)ক্যালসিয়াম:
কলমি শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। ফলে কলমি শাক খেলে আমাদের হাড় মজবুত হয়। তাই ছোটবেলা থেকে এই শিশুদের কলমি শাক খাওয়ানোর অভ্যাস করা উচিৎ।

৭)শরীরে দুর্বলতা কমাতে:
কলমি শাক আমাদের শরীরে দূর্বলতা কমাতে বিশেষ উপকারি। কেননা কলমি শাকের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য শক্তি। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য শক্তির থাকার ফলে, আমাদের শরীরে দুর্বলতাকে সারিয়ে তুলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

৮) গর্ভবতী মায়েদের জন্য : গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের হাতে পায়ে জল আসে। সেই সময় কলমি শাক একটু বেশি করে রসুন দিয়ে ভেজে দুই থেকে তিন সপ্তাহ খেলে এই সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

৯) রক্তশূন্যতা দূর করতে:
কলমি শাক এর মধ্যে আছে সঠিক পরিমাণে আয়রন। যা রক্ত শূন্যতা ভোগা রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। সারা শরীরে প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ সঠিক রাতে কলমি শাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১০) হজমে সাহায্য করে:
কলমি শাকের পাতা এবং কান্ডের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। যা আমাদের শরীরে খাদ্য হজম করতে সহায়তা করে।

১১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বারায়:কলমি শাক আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কারণ কলমি শাকের মধ্যে আছে ভিটামিন সি এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

১২)ফোড়া ভালো করতে সাহায্য :কারো যদি কোন জায়গায় ফোড়া হয়, তাহলে কলমি শাকের পাতার সঙ্গে একটু আদা বেটে, ফোড়ার চারপাশে ভালো করে লাগিয়ে দিতে হবে। তিন চারদিন এইভাবে লাগালে ফোড়া পেকে যাবে এবং পুঁজ হয়ে ফেটে শুকিয়ে যাবে।

১৩)মাথার খুশকি দূর করে:নিয়মিত খাদ্য তাকায় রাখলে এ শাক খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।

১৪)অনিদ্রা জনিত সমস্যা দূর করতে কলমি শাক সাহায্য করে।
১৫. পিঁপড়ে, মৌমাছি বা অন্য কোন পোকা কামড়ালে কলমি শাকের পাতার রস লাগালে যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

★ কলমি শাকের অপকারিতা:

অতিরিক্ত কলমি শাক খেলে বদহজম হতে পারে।
অতিরিক্ত কলমি শাক খেলে ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে।

তবে ঢোল কলতি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন সেটা বিষাক্ত। এটা গাছ আকারে হয়ে থাকে। এটা কলমি শাক নয় কলমি গাছ।