ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জেলা বিএনপি আহবায়ক এড.মান্নানের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়। অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে।

কাজ করছে সরকার মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে 

রিপোর্টার সোয়াইব হোসেন
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৭:৩৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪ ১৫ বার পড়া হয়েছে

Sheikh-Hasina

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এবং মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।তিনি ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।এ উপলক্ষ্যে তিনি দেশের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শিশুবান্ধব শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশের দীক্ষা’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর শিক্ষা খাতকে গুরুত্ব দিয়ে ১৯৭২ সালে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. কুদরত-ই খুদাকে প্রধান করে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। তিনি দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।ভারত-চীন-রাশিয়া থেকে সমরাস্ত্র কেনা হচ্ছে : সংসদে প্রধানমন্ত্রী রক্তাক্ত হাতে খাবার খেতে খেতেই জিয়া ফাঁসির আদেশে স্বাক্ষর করতেন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করেন এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেছেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে এবং ১ লাখ ৫ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করা হয়েছে।তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকদের পদ ২য় শ্রেণিতে এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেল কয়েক ধাপ উন্নীত করা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে এবং এ উপবৃত্তির টাকা তাদের মায়ের কাছে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে। স্কুল ফিডিং, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, শিক্ষকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করার পাশাপাশি অনেক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।সরকার প্রধান বলেন, সরকার ২০১০ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করে যাচ্ছেন। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে মোট ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি বই বিতরণ করা হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে চাকমা, মারমা, গারো, ত্রিপুরা ও সাদারি এই ৫টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় রচিত পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে টকিং বুক দেওয়া হচ্ছে।তিনি বলেন, তাদের সময়োপযোগী পদক্ষেপে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার মতো শিশুদের ভর্তির হার বৃদ্ধি, ঝরে পড়ার হার কমানো, বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বৃদ্ধি, শিক্ষাচক্র সমাপনের হার বৃদ্ধিসহ মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন সম্ভব হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং আমাদের নির্বাচনি ইশতেহার মানসম্মত ও জীবনমুখী শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করতে সক্ষম হব এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব, ইনশাআল্লাহ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কাজ করছে সরকার মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে 

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৭:৩৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এবং মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।তিনি ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।এ উপলক্ষ্যে তিনি দেশের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘শিশুবান্ধব শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশের দীক্ষা’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর শিক্ষা খাতকে গুরুত্ব দিয়ে ১৯৭২ সালে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. কুদরত-ই খুদাকে প্রধান করে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। তিনি দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।ভারত-চীন-রাশিয়া থেকে সমরাস্ত্র কেনা হচ্ছে : সংসদে প্রধানমন্ত্রী রক্তাক্ত হাতে খাবার খেতে খেতেই জিয়া ফাঁসির আদেশে স্বাক্ষর করতেন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করেন এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেছেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে এবং ১ লাখ ৫ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করা হয়েছে।তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষকদের পদ ২য় শ্রেণিতে এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেল কয়েক ধাপ উন্নীত করা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে এবং এ উপবৃত্তির টাকা তাদের মায়ের কাছে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে। স্কুল ফিডিং, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, শিক্ষকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করার পাশাপাশি অনেক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।সরকার প্রধান বলেন, সরকার ২০১০ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করে যাচ্ছেন। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে মোট ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭টি বই বিতরণ করা হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে চাকমা, মারমা, গারো, ত্রিপুরা ও সাদারি এই ৫টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় রচিত পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রেইল পাঠ্যপুস্তকের সঙ্গে টকিং বুক দেওয়া হচ্ছে।তিনি বলেন, তাদের সময়োপযোগী পদক্ষেপে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার মতো শিশুদের ভর্তির হার বৃদ্ধি, ঝরে পড়ার হার কমানো, বিদ্যালয়ে উপস্থিতি বৃদ্ধি, শিক্ষাচক্র সমাপনের হার বৃদ্ধিসহ মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন সম্ভব হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং আমাদের নির্বাচনি ইশতেহার মানসম্মত ও জীবনমুখী শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন করতে সক্ষম হব এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব, ইনশাআল্লাহ।