ঢাকা ১০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জেলা বিএনপি আহবায়ক এড.মান্নানের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়। অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে।

খাইবার পাখতুনখাওয়ারেপাকিস্তানে রাজনৈতিক সমাবেশে বোমা হামলা।

সিফাত শেখ (বিশেষ প্রতিনিধি)
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০২:১৬:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩ ১২১ বার পড়া হয়েছে

খাইবার পাখতুনখাওয়ারেপাকিস্তানে রাজনৈতিক সমাবেশে বোমা হামলা।

খাইবার পাখতুনখাওয়ার বিস্ফোরণস্থল।

পাকিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখাওয়ায় রাজনৈতিক সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনায় নিহত বেড়ে ৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল প্রদেশের বাজাউর জেলায় এই বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। বার্তা সংস্থা এএফপি এবং পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

 

 

দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাইবার পাখতুনখাওয়ার বাজাউর জেলায় জমিয়ত উলেমা ইসলাম-ফজলের (জেইউআই-এফ) জনসভায় এই বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। বাজাউর জেলার জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা সাদ খান বোমা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক গভর্নর হাজি গোলাম আলী এএফপিকে জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৪৪ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে, আহত ১২৩ জন। আহতদের মধ্যে ১৭ জনের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন।

 

এই হামলায় জেইউআই-এফের শীর্ষস্থানীয় নেতা মাওলানা জিয়াউল্লাহ জানও নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডনের সাংবাদিক জানিয়েছেন, স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকও এই হামলায় আহত হয়েছেন।

 

এদিকে, বাজাউর জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফয়সাল খান বলেছেন, হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৫। তিনি জানিয়েছেন, আহতের সংখ্যা ১৫০। আহতদের বাজাউর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গুরুতর অসুস্থদের সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে পেশোয়ারের লেডি রিডিং হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

 

রহিম শাহ নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সব মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক লোক জমিয়ত উলেমা ইসলাম-ফজলের জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন। যখন বিস্ফোরণ ঘটে তখন সভায় একজন ধর্মীয় বক্তা বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিস্ফোরণের শব্দে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফেরার পর আমি দেখতে পাই চারদিকে রক্তের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।’

 

ডিস্ট্রিক্ট পুলিশ অফিসার নাজির খান জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর বাজাউর ও আশপাশের এলাকার হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অবস্থা যাদের সংকটজনক, তাদের সামরিক হেলিকপ্টারে করে বাজাউর থেকে পেশোয়ারে নেওয়া হয়েছে।

 

পাকিস্তানের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বলছে, এখনো তদন্ত চলছে। তারা তথ্য সংগ্রহ করছে। তারা আত্মঘাতী হামলাকারীর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে।

 

অনলাইন জিও নিউজ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। নাজির খান বলেছেন, সন্দেহজনকভাবে তিনজনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

 

নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে ইসলামাবাদের অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভেঙে যায় গত বছর। তার পর থেকেই দেশটিতে বিদ্রোহীদের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে পেশোয়ারে একটি মসজিদে বোমা হামলায় নিহত হয় কমপক্ষে ১০০ জন।

 

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সম্প্রতি জমা দেওয়া এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকতে পারে টিটিপি। এর মধ্য দিয়ে তারা একটি অঙ্গ সংগঠন হিসেবে কাজ করতে পারে। যার অধীনে দক্ষিণ এশিয়ায় সব রকম মিলিট্যান্ট গ্রুপ থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

খাইবার পাখতুনখাওয়ারেপাকিস্তানে রাজনৈতিক সমাবেশে বোমা হামলা।

নিউজ প্রকাশের সময় : ০২:১৬:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

খাইবার পাখতুনখাওয়ারেপাকিস্তানে রাজনৈতিক সমাবেশে বোমা হামলা।

খাইবার পাখতুনখাওয়ার বিস্ফোরণস্থল।

পাকিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখাওয়ায় রাজনৈতিক সমাবেশে বোমা হামলার ঘটনায় নিহত বেড়ে ৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল প্রদেশের বাজাউর জেলায় এই বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। বার্তা সংস্থা এএফপি এবং পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

 

 

দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাইবার পাখতুনখাওয়ার বাজাউর জেলায় জমিয়ত উলেমা ইসলাম-ফজলের (জেইউআই-এফ) জনসভায় এই বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। বাজাউর জেলার জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা সাদ খান বোমা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক গভর্নর হাজি গোলাম আলী এএফপিকে জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৪৪ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে, আহত ১২৩ জন। আহতদের মধ্যে ১৭ জনের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন।

 

এই হামলায় জেইউআই-এফের শীর্ষস্থানীয় নেতা মাওলানা জিয়াউল্লাহ জানও নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডনের সাংবাদিক জানিয়েছেন, স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিকও এই হামলায় আহত হয়েছেন।

 

এদিকে, বাজাউর জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফয়সাল খান বলেছেন, হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৫। তিনি জানিয়েছেন, আহতের সংখ্যা ১৫০। আহতদের বাজাউর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গুরুতর অসুস্থদের সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে পেশোয়ারের লেডি রিডিং হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

 

রহিম শাহ নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সব মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক লোক জমিয়ত উলেমা ইসলাম-ফজলের জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন। যখন বিস্ফোরণ ঘটে তখন সভায় একজন ধর্মীয় বক্তা বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিস্ফোরণের শব্দে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফেরার পর আমি দেখতে পাই চারদিকে রক্তের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।’

 

ডিস্ট্রিক্ট পুলিশ অফিসার নাজির খান জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর বাজাউর ও আশপাশের এলাকার হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে অবস্থা যাদের সংকটজনক, তাদের সামরিক হেলিকপ্টারে করে বাজাউর থেকে পেশোয়ারে নেওয়া হয়েছে।

 

পাকিস্তানের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বলছে, এখনো তদন্ত চলছে। তারা তথ্য সংগ্রহ করছে। তারা আত্মঘাতী হামলাকারীর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে।

 

অনলাইন জিও নিউজ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। নাজির খান বলেছেন, সন্দেহজনকভাবে তিনজনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

 

নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে ইসলামাবাদের অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভেঙে যায় গত বছর। তার পর থেকেই দেশটিতে বিদ্রোহীদের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে পেশোয়ারে একটি মসজিদে বোমা হামলায় নিহত হয় কমপক্ষে ১০০ জন।

 

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সম্প্রতি জমা দেওয়া এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকতে পারে টিটিপি। এর মধ্য দিয়ে তারা একটি অঙ্গ সংগঠন হিসেবে কাজ করতে পারে। যার অধীনে দক্ষিণ এশিয়ায় সব রকম মিলিট্যান্ট গ্রুপ থাকবে।