ঢাকা ০৭:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ 

গাজীপুরে আওয়ামী লীগের শত্রু আওয়ামী লীগ

প্রতিনিধির নাম
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:২৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩ ৮৩ বার পড়া হয়েছে
আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচন। তফসিল অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৭ এপ্রিল, বাছাই ৩০ এপ্রিল ও ৮ মের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।
তবে নির্বাচনে কোন আগ্রহ নেই দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন করবে না দলটি। দলের এমন সিদ্ধান্তের বাহিরে যেয়ে যদি কেউ নির্বাচন করে তাহলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও জানায় দলটি। এদিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে না চাইলেও দলের অনেক নেতা নির্বাচনে অংশ নিতে তোড়জোড় চালাচ্ছেন। কেউ কেউ বিএনপি’র হাইকমান্ডের সঙ্গে সরাসরি কিংবা বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোন সবুজ সংকেত পাননি তারা। তাহলে কি শেষ পর্যন্ত গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছে?
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে তাহলে আওয়ামী লীগ নিজেই আওয়ামী লীগের শত্রু হয়ে মাঠে নামবে, এমন সম্ভাবনাই বেশি।
আওয়ামী লীগ সূত্র থেকে জানা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মেয়র হিসেবে কাকে বেছে নেওয়া হবে তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে দলটি। মনোনয়ন পাবার দৌড়ে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন গাজীপুরের বরখাস্তকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান।
২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে গাজীপুরের মেয়র হন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ক্লিপে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করতে দেখা যায় এবং তিনি সেখানে শহীদের সংখ্যা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। এ ঘটনার পর ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর চলতি বছর ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে তাকে ক্ষমা করা হয় এবং দলের প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরে পান জাহাঙ্গীর আলম। এখন স্বাভাবিকভাবেই জাহাঙ্গীর আলম চাইবে তার হারানো সম্রাজ্য পুনরুদ্ধার করতে এবং সেই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে তিনি দলের হাইকমান্ডদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু দলের কেউ কেউ বলছেন জাহাঙ্গীর আলমকে যদি মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে সেটি হবে দলের জন্য একটি খারাপ বার্তা।
অন্যদিকে ধারণা করা হচ্ছে, যদি আজমত উল্লাহকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে আধাজল খেয়ে মাঠে নামবে জাহাঙ্গীর। যেহেতু গাজীপুরে জাহাঙ্গীরের একটি নিজস্ব বাহিনী রয়েছে, একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে হলেও তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে হারিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন।
যদি আজমত উল্লাহকে না দিয়ে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণকেও মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলেও একই ঘটনা ঘটবে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাই গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে এখন আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের শত্রু। সুত্র: বাংলা ইনসাইডার

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

গাজীপুরে আওয়ামী লীগের শত্রু আওয়ামী লীগ

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:২৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩
আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচন। তফসিল অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৭ এপ্রিল, বাছাই ৩০ এপ্রিল ও ৮ মের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।
তবে নির্বাচনে কোন আগ্রহ নেই দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি’র। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন করবে না দলটি। দলের এমন সিদ্ধান্তের বাহিরে যেয়ে যদি কেউ নির্বাচন করে তাহলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও জানায় দলটি। এদিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে না চাইলেও দলের অনেক নেতা নির্বাচনে অংশ নিতে তোড়জোড় চালাচ্ছেন। কেউ কেউ বিএনপি’র হাইকমান্ডের সঙ্গে সরাসরি কিংবা বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোন সবুজ সংকেত পাননি তারা। তাহলে কি শেষ পর্যন্ত গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছে?
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে তাহলে আওয়ামী লীগ নিজেই আওয়ামী লীগের শত্রু হয়ে মাঠে নামবে, এমন সম্ভাবনাই বেশি।
আওয়ামী লীগ সূত্র থেকে জানা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মেয়র হিসেবে কাকে বেছে নেওয়া হবে তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে দলটি। মনোনয়ন পাবার দৌড়ে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন গাজীপুরের বরখাস্তকৃত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খান।
২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে গাজীপুরের মেয়র হন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ক্লিপে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করতে দেখা যায় এবং তিনি সেখানে শহীদের সংখ্যা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। এ ঘটনার পর ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর চলতি বছর ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে তাকে ক্ষমা করা হয় এবং দলের প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরে পান জাহাঙ্গীর আলম। এখন স্বাভাবিকভাবেই জাহাঙ্গীর আলম চাইবে তার হারানো সম্রাজ্য পুনরুদ্ধার করতে এবং সেই লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে তিনি দলের হাইকমান্ডদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু দলের কেউ কেউ বলছেন জাহাঙ্গীর আলমকে যদি মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে সেটি হবে দলের জন্য একটি খারাপ বার্তা।
অন্যদিকে ধারণা করা হচ্ছে, যদি আজমত উল্লাহকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে আধাজল খেয়ে মাঠে নামবে জাহাঙ্গীর। যেহেতু গাজীপুরে জাহাঙ্গীরের একটি নিজস্ব বাহিনী রয়েছে, একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে হলেও তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে হারিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন।
যদি আজমত উল্লাহকে না দিয়ে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণকেও মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলেও একই ঘটনা ঘটবে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাই গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে এখন আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের শত্রু। সুত্র: বাংলা ইনসাইডার