ঢাকা ০৭:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ 

জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে, বিনামূল্যে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি ১৫ অক্টোবর থেকে দক্ষিণ সিটিতে শুরু।

মেহেদী হাসান অলি (বিশেষ প্রতিনিধি)
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩ ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে, বিনামূল্যে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি ১৫ অক্টোবর থেকে দক্ষিণ সিটিতে শুরু।

 

মেয়েদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) আওতাধীন এলাকায় বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স-গ্যাভি এর সহায়তায় এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। আাগামী ১৫ অক্টোবর থেকে প্রথমে ঢাকা বিভাগে এই কার্যক্রম শুরু হবে।পরে পর্যায়ক্রমে তিন ধাপে বাংলাদেশের মোট আটটি বিভাগে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের ওপর গুরুত্বারোপ করে টিকাদান কর্মসূচিতে (ইপিআই) এইচপিভি টিকা সংযোজন করার সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে প্রথম ধাপে ঢাকা বিভাগের সকল জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভায় ‘ইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৩’ শুরু হতে যাচ্ছে।প্রথম পর্যায়ে মোট ১৮ দিন এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে।তার মধ্যে প্রথম ১০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও স্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে টিকাদান কার্যক্রম চলবে।পরবর্তী ৮ দিন নিয়মিত ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে ও স্থায়ী কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা প্রদান করা হবে। টিকা গ্রহণে উপযুক্ত মেয়েরা Vaxepi অ্যাপ অথবা www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন প্রায় ১২০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং ৬৮০টি মনোনীত টিকাদান কেন্দ্রে এইচপিভি টিকা নিতে পারবে। ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের অন্য বিভাগের মেয়েদেরও এই টিকা প্রদান করা হবে।এই কর্মসূচির আওতায় ঢাদসিক এলাকায় বসবাসরত ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী এবং স্কুলে পড়ে না এমন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৪৫১ জন মেয়েকে বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়া হবে।কর্মসূচির আওতায় ঢাকা বিভাগে ২৩ লক্ষ কিশোরীকে এই টিকা দেওয়া হবে।আজ বৃহস্পতিবার ১২ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‘এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৩’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান বলেন”এই টিকাটি আমাদের মেয়ে শিশুদের জন্য খুবই দরকারি।এই রোগে আক্রান্ত হলে নারীদের জরায়ু কেটে ফেলতে হয়।আর এ রোগটি শুধু নারীদেরই নয় বরং পুরুষদের মাঝেও ছড়ায়।তবে এ রোগে পুরুষদের চেয়ে নারীদের আক্রান্ত হার বেশি ও স্বাস্থ্যগত প্রভাবও বেশি।তাই আমি আশা করব,সব মেয়ে শিশুরা এই টিকা নেবে।ভবিষ্যতে যেন এই টিকাটি পুরুষদের জন্য আনা হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহবান জানাই। টিকাটি অনেক ব্যয়বহুল।সরকার এখন বিনামূল্যে এই টিকা দিচ্ছে।সেজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।”

সভাপতির বক্তব্যে করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন,”বাংলাদেশ সরকার জরায়ুমুখ ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) প্রতিষেধক টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে, যা একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ।এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো,দেশের লাখ লাখ মেয়েকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে রক্ষার মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা।এই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতি বছর হাজার হাজার নারীর জীবন কেড়ে নেয়।ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)ইউনিসেফ ও দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গ্যাভির সহায়তায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়েদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি শুরু করছে।

সভায় ইউনিসেফের হেলথ সেকশনের প্রধান (Chief of Health Section) মায়া ভেন্ডে মেন্ট বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ইতোমধ্যেই এই কার্যক্রমের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এবং এই কর্ম

উল্লেখ্য যে, এইচপিভি থেকে মেয়েদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয়।এইচপিভি টিকার মাত্র একটি ডোজই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে, বিনামূল্যে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি ১৫ অক্টোবর থেকে দক্ষিণ সিটিতে শুরু।

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৯:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে, বিনামূল্যে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি ১৫ অক্টোবর থেকে দক্ষিণ সিটিতে শুরু।

 

মেয়েদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) আওতাধীন এলাকায় বিনামূল্যে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স-গ্যাভি এর সহায়তায় এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। আাগামী ১৫ অক্টোবর থেকে প্রথমে ঢাকা বিভাগে এই কার্যক্রম শুরু হবে।পরে পর্যায়ক্রমে তিন ধাপে বাংলাদেশের মোট আটটি বিভাগে এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধের ওপর গুরুত্বারোপ করে টিকাদান কর্মসূচিতে (ইপিআই) এইচপিভি টিকা সংযোজন করার সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে প্রথম ধাপে ঢাকা বিভাগের সকল জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভায় ‘ইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৩’ শুরু হতে যাচ্ছে।প্রথম পর্যায়ে মোট ১৮ দিন এই টিকাদান কর্মসূচি চলবে।তার মধ্যে প্রথম ১০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও স্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে টিকাদান কার্যক্রম চলবে।পরবর্তী ৮ দিন নিয়মিত ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রে ও স্থায়ী কেন্দ্রের মাধ্যমে টিকা প্রদান করা হবে। টিকা গ্রহণে উপযুক্ত মেয়েরা Vaxepi অ্যাপ অথবা www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন প্রায় ১২০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং ৬৮০টি মনোনীত টিকাদান কেন্দ্রে এইচপিভি টিকা নিতে পারবে। ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দেশের অন্য বিভাগের মেয়েদেরও এই টিকা প্রদান করা হবে।এই কর্মসূচির আওতায় ঢাদসিক এলাকায় বসবাসরত ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী এবং স্কুলে পড়ে না এমন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৪৫১ জন মেয়েকে বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়া হবে।কর্মসূচির আওতায় ঢাকা বিভাগে ২৩ লক্ষ কিশোরীকে এই টিকা দেওয়া হবে।আজ বৃহস্পতিবার ১২ অক্টোবর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‘এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৩’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৩ উপলক্ষ্যে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান বলেন”এই টিকাটি আমাদের মেয়ে শিশুদের জন্য খুবই দরকারি।এই রোগে আক্রান্ত হলে নারীদের জরায়ু কেটে ফেলতে হয়।আর এ রোগটি শুধু নারীদেরই নয় বরং পুরুষদের মাঝেও ছড়ায়।তবে এ রোগে পুরুষদের চেয়ে নারীদের আক্রান্ত হার বেশি ও স্বাস্থ্যগত প্রভাবও বেশি।তাই আমি আশা করব,সব মেয়ে শিশুরা এই টিকা নেবে।ভবিষ্যতে যেন এই টিকাটি পুরুষদের জন্য আনা হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহবান জানাই। টিকাটি অনেক ব্যয়বহুল।সরকার এখন বিনামূল্যে এই টিকা দিচ্ছে।সেজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।”

সভাপতির বক্তব্যে করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন,”বাংলাদেশ সরকার জরায়ুমুখ ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) প্রতিষেধক টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে, যা একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ।এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো,দেশের লাখ লাখ মেয়েকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে রক্ষার মাধ্যমে তাদের স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা।এই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতি বছর হাজার হাজার নারীর জীবন কেড়ে নেয়।ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)ইউনিসেফ ও দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গ্যাভির সহায়তায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়েদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি শুরু করছে।

সভায় ইউনিসেফের হেলথ সেকশনের প্রধান (Chief of Health Section) মায়া ভেন্ডে মেন্ট বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ইতোমধ্যেই এই কার্যক্রমের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এবং এই কর্ম

উল্লেখ্য যে, এইচপিভি থেকে মেয়েদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয়।এইচপিভি টিকার মাত্র একটি ডোজই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সক্ষম।