ঢাকা ১০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জেলা বিএনপি আহবায়ক এড.মান্নানের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়। অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবন

প্রতিনিধির নাম
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:১৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

মা,মাটি ও মানুষ; জীবনে এই তিন নিয়ে চলেছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। দশ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাই পরিবারে বড় ভাই নামে পরিচিত।

পরিবারের গণ্ডি ছাড়িয়ে তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রেরও বড় ভাই নামে পরিচিত। দেশের সেবায় ট্রাস্টি বোর্ড করে ১৯৭২ সালে সাভারে গড়ে তুলেছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি এই বীর মুক্তিযোদ্ধার ভালোবাসা অপরিসীম। বর্তমানে দীর্ঘ কর্মময় জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন জাফরুল্লাহ। কিন্তু চিন্তা ও মননে ছিলেন যুবক।
মঙ্গলবার ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছে ৮১ বছর। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন।

তার শেষ লক্ষ্য ছিল একটি ক্যানসার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে অতি সাধারণ মানুষ ক্যানসারের চিকিৎসা নিতে পারবে। মৃত্যুর আগে আরাধ্য কাজ শেষ করে যেতে চেয়েছিলেন এ বীর মুক্তিযোদ্ধা।

এদিকে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস-এ এফআরসিএস পড়াকালীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি চূড়ান্ত পর্ব শেষ না-করে লন্ডন থেকে ভারতে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার নিমিত্তে আগরতলার মেলাঘরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন এবং এরপরে ডা. এম এ মবিনের সঙ্গে মিলে সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট “বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল” প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।

এছাড়াও তিনি ফিলিপাইন থেকে রামন ম্যাগসাইসাই (১৯৮৫) এবং সুইডেন থেকে বিকল্প নোবেল হিসাবে পরিচিত রাইট লাভলিহুড (১৯৯২), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো’ (২০০২) এবং মানবতার সেবার জন্য কানাডা থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন। ২০২১ সালে আহমদ শরীফ স্মারক পুরস্কার পান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবন

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:১৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

মা,মাটি ও মানুষ; জীবনে এই তিন নিয়ে চলেছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। দশ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাই পরিবারে বড় ভাই নামে পরিচিত।

পরিবারের গণ্ডি ছাড়িয়ে তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রেরও বড় ভাই নামে পরিচিত। দেশের সেবায় ট্রাস্টি বোর্ড করে ১৯৭২ সালে সাভারে গড়ে তুলেছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি এই বীর মুক্তিযোদ্ধার ভালোবাসা অপরিসীম। বর্তমানে দীর্ঘ কর্মময় জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন জাফরুল্লাহ। কিন্তু চিন্তা ও মননে ছিলেন যুবক।
মঙ্গলবার ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছে ৮১ বছর। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন।

তার শেষ লক্ষ্য ছিল একটি ক্যানসার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে অতি সাধারণ মানুষ ক্যানসারের চিকিৎসা নিতে পারবে। মৃত্যুর আগে আরাধ্য কাজ শেষ করে যেতে চেয়েছিলেন এ বীর মুক্তিযোদ্ধা।

এদিকে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস-এ এফআরসিএস পড়াকালীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি চূড়ান্ত পর্ব শেষ না-করে লন্ডন থেকে ভারতে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার নিমিত্তে আগরতলার মেলাঘরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন এবং এরপরে ডা. এম এ মবিনের সঙ্গে মিলে সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট “বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল” প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন।

এছাড়াও তিনি ফিলিপাইন থেকে রামন ম্যাগসাইসাই (১৯৮৫) এবং সুইডেন থেকে বিকল্প নোবেল হিসাবে পরিচিত রাইট লাভলিহুড (১৯৯২), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো’ (২০০২) এবং মানবতার সেবার জন্য কানাডা থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন। ২০২১ সালে আহমদ শরীফ স্মারক পুরস্কার পান।