ঢাকা ১০:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জেলা বিএনপি আহবায়ক এড.মান্নানের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়। অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে।

নাগরপুরে বাজেট পরবর্তীতে অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

সিপন রানা নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি :
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪ ২২ বার পড়া হয়েছে

বাজেটের আগেই যে অতিরিক্ত দামে নিত্যপণ্য কিনতে হয়েছে এখন তা বিক্রি হচ্ছে আরও বেশি দামে। ক্রেতাদের দাবি বাজেট ঘোষণার দিন থেকেই নিত্যপণ্যের বাজার চড়া হতে শুরু হয়েছে । শনিবার (৮ জুন) টাঙ্গাইলের নাগরপুর সদর কাঁচাবাজার ও নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের মুদি দোকান এবং কাঁচা বাজার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজেট ঘোষণার পরের দিন  নিত্যপণ্যের বাজার আগের চেয়ে অস্থিতিশীল হয়েছে।ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে নিত্যপণ্য বাজার। সম্প্রতি উত্তাপ ছড়ানো মসলা জাতীয় পণ্য পিঁয়াজ ও আদার দাম এখনো চড়া। বাজারে প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা এবং আদা ২৮০ টাকা দরে, যা বাজেট ঘোষণার পূর্বে বিক্রি হয়েছে পিঁয়াজ ৭০ টাকা ও আদা ২৫০ টাকা কেজি।  এছাড়াও দাম বেড়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা ও আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। মানভেদে প্রতি কেজি সবজি কিনতে ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধন্দুল ৬০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর মুখী ১০০ টাকা, কচুর লতা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, ফুলকপি ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাউ প্রতি পিস আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এদিকে বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা।বাজেট ঘোষণার পরবর্তীতে বাজারে নিত্যপণ্যের দামে কেমন প্রভাব পড়েছে জানতে চাইলে নাগরপুর সদর কাঁচাবাজারের দোকানি জনি বলেন, দাম যা বাড়ার আগেই বেড়েছে। এখন আবার নতুন করে দাম বাড়ছে। ঈদ সামনে রেখে আরো দফায় দফায় দাম বাড়ার আশংকা করা হচ্ছে।বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় নির্ধারিত দামে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। ডিমের দাম আগের মতোই চড়া। প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, মানভেদে ডিম ডজন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায়। অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১,০০০ টাকায়। মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সাইজ ভিন্নতায় প্রতি কেজি শিং মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৭০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, রুই ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নাগরপুরে বাজেট পরবর্তীতে অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

বাজেটের আগেই যে অতিরিক্ত দামে নিত্যপণ্য কিনতে হয়েছে এখন তা বিক্রি হচ্ছে আরও বেশি দামে। ক্রেতাদের দাবি বাজেট ঘোষণার দিন থেকেই নিত্যপণ্যের বাজার চড়া হতে শুরু হয়েছে । শনিবার (৮ জুন) টাঙ্গাইলের নাগরপুর সদর কাঁচাবাজার ও নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের মুদি দোকান এবং কাঁচা বাজার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজেট ঘোষণার পরের দিন  নিত্যপণ্যের বাজার আগের চেয়ে অস্থিতিশীল হয়েছে।ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে নিত্যপণ্য বাজার। সম্প্রতি উত্তাপ ছড়ানো মসলা জাতীয় পণ্য পিঁয়াজ ও আদার দাম এখনো চড়া। বাজারে প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা এবং আদা ২৮০ টাকা দরে, যা বাজেট ঘোষণার পূর্বে বিক্রি হয়েছে পিঁয়াজ ৭০ টাকা ও আদা ২৫০ টাকা কেজি।  এছাড়াও দাম বেড়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা ও আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। মানভেদে প্রতি কেজি সবজি কিনতে ক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধন্দুল ৬০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর মুখী ১০০ টাকা, কচুর লতা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, ফুলকপি ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাউ প্রতি পিস আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। এদিকে বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা।বাজেট ঘোষণার পরবর্তীতে বাজারে নিত্যপণ্যের দামে কেমন প্রভাব পড়েছে জানতে চাইলে নাগরপুর সদর কাঁচাবাজারের দোকানি জনি বলেন, দাম যা বাড়ার আগেই বেড়েছে। এখন আবার নতুন করে দাম বাড়ছে। ঈদ সামনে রেখে আরো দফায় দফায় দাম বাড়ার আশংকা করা হচ্ছে।বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেশি হওয়ায় নির্ধারিত দামে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। ডিমের দাম আগের মতোই চড়া। প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, মানভেদে ডিম ডজন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায়। অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। আর প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১,০০০ টাকায়। মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সাইজ ভিন্নতায় প্রতি কেজি শিং মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৭০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, রুই ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।