ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জেলা বিএনপি আহবায়ক এড.মান্নানের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়। অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে।

পাতাবাহার (Codiaeum variegatum)

স্বপন হোসেন (বিশেষ প্রতিনিধি)
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৪:৩৫:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩ ৪২১ বার পড়া হয়েছে

পাতাবাহার (Codiaeum variegatum)

 

মনকে ভালো রাখার সহজ উপায় সবুজের সংস্পর্শে থাকা।আমরা সবাই গাছকে

ভালোবাসি। আমাদের

চারপাশের এবং বাড়ি-ঘরের সৌন্দর্যকে বারিয়ে তুলতে বিভিন্ন ধরনের গাছ।তবে এদের মধ্যে অনেক ক্ষতিকর গাছও রয়েছে।এই পর্যন্ত উদ্ভিদ বিশারদের কাছ থেকে জানা গেছে অনেক পাতা বাহার গাছ আছে যা বিষাক্ত প্রকৃতির।

 

ক্রোটন বা পাতাবাহার গাছের ধরন:

সারা বিশ্ব জুড়ে অন্তত ৩০০-৪০০ প্রজাতির পাতাবাহার গাছ আছে। যার মধ্যে প্রাকৃতিক ও সংকরায়নের মাধ্যমে সৃষ্ট উভয় গাছই আছে।

বিষাক্ত ও অধিক পরিচিত কিছু ক্রোটন বা পাতাবাহারের নাম :

★তীরমাথা

★মানিপ্ল্যান্ট

★ক্যালডিয়াম

★ডাইফেনবাচিয়া

★পেট্রা

 

উপকারিতা :

পাতাবাহার গাছের মূল আকর্ষণ হলো এর পাতা। এরা পরিবেশে সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এটি বায়ুশোধনকারি গাছ। ঘরের ভেতরে রাখলে এই গাছ বাতাস থেকে শুষে নিতে পারে অনেক বিষাক্ত যৌগের বাষ্প, যেমন, ফরম্যালডিহাইড, বেনজিন, জাইলিন, টলুইন, ইত্যাদি।

 

অপকারিতা:

পাতাবাহার গাছটি ক্ষতিকারক ও বিষাক্ত গাছের তালিকায় পরে। পাতাবাহার বা ক্রোটন এর পাতায় ক্যালসিয়াম অক্সালেট থাকে। পাতাবাহারের বিষাক্ত রস ও বীজ অ্যালার্জি বা ত্বকের জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে। আর কোনোভাবে পেটে চলে গেলে মন খারাপ, বিরক্তি, বমি বমি ভাব, বমি, মাথাব্যথা,গলা ও মুখ ফুলে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে।

★তীরমাথা: এই গাছের সংস্পর্শে থাকলে শিশু ও পোষা প্রাণীর গলা ও মাথাব্যথা এবং শ্বসনে সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া শিশু ও পোষা প্রাণীর পেটেব্যথা ও বমিভাবও দেখা দিতে পারে।

★ডাইফেনবাচিয়া: এই গাছের রসে বিষাক্ত ক্যালসিয়াম অক্সালেট থাকে, যা কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। এর রসের কারনে গলা ফুলে যেতে পারে।

★ক্যালডিয়াম: দীর্ঘসময় ধরে এর সংস্পর্শে থাকলে এক ধরনের স্থায়ী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়। যার ফলে মুখ, জিহ্বা জ্বালাপোড়া, গলা ব্যথা, গিলতে এবং শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। শিশুরা এ গাছের পাতা মুখে দিলে জটিল পেটের পীড়ায় ভুগতে পারে।

 

সচেতনতা :

আমরা সখের বসে অনেকে বাসা-বাড়ি, ঘরের,অফিসের,বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এই গাছ রোপণ করি যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। তাই এই গাছ গুলোকে শিশু, পোষা প্রাণী এবং নিজেদের নাগালের বাইরে রাখুন।

 

মিথিলা ইসলাম

সহ-সংগঠক The wild save organisation.

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পাতাবাহার (Codiaeum variegatum)

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৪:৩৫:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

পাতাবাহার (Codiaeum variegatum)

 

মনকে ভালো রাখার সহজ উপায় সবুজের সংস্পর্শে থাকা।আমরা সবাই গাছকে

ভালোবাসি। আমাদের

চারপাশের এবং বাড়ি-ঘরের সৌন্দর্যকে বারিয়ে তুলতে বিভিন্ন ধরনের গাছ।তবে এদের মধ্যে অনেক ক্ষতিকর গাছও রয়েছে।এই পর্যন্ত উদ্ভিদ বিশারদের কাছ থেকে জানা গেছে অনেক পাতা বাহার গাছ আছে যা বিষাক্ত প্রকৃতির।

 

ক্রোটন বা পাতাবাহার গাছের ধরন:

সারা বিশ্ব জুড়ে অন্তত ৩০০-৪০০ প্রজাতির পাতাবাহার গাছ আছে। যার মধ্যে প্রাকৃতিক ও সংকরায়নের মাধ্যমে সৃষ্ট উভয় গাছই আছে।

বিষাক্ত ও অধিক পরিচিত কিছু ক্রোটন বা পাতাবাহারের নাম :

★তীরমাথা

★মানিপ্ল্যান্ট

★ক্যালডিয়াম

★ডাইফেনবাচিয়া

★পেট্রা

 

উপকারিতা :

পাতাবাহার গাছের মূল আকর্ষণ হলো এর পাতা। এরা পরিবেশে সৌন্দর্যবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এটি বায়ুশোধনকারি গাছ। ঘরের ভেতরে রাখলে এই গাছ বাতাস থেকে শুষে নিতে পারে অনেক বিষাক্ত যৌগের বাষ্প, যেমন, ফরম্যালডিহাইড, বেনজিন, জাইলিন, টলুইন, ইত্যাদি।

 

অপকারিতা:

পাতাবাহার গাছটি ক্ষতিকারক ও বিষাক্ত গাছের তালিকায় পরে। পাতাবাহার বা ক্রোটন এর পাতায় ক্যালসিয়াম অক্সালেট থাকে। পাতাবাহারের বিষাক্ত রস ও বীজ অ্যালার্জি বা ত্বকের জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে। আর কোনোভাবে পেটে চলে গেলে মন খারাপ, বিরক্তি, বমি বমি ভাব, বমি, মাথাব্যথা,গলা ও মুখ ফুলে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে।

★তীরমাথা: এই গাছের সংস্পর্শে থাকলে শিশু ও পোষা প্রাণীর গলা ও মাথাব্যথা এবং শ্বসনে সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া শিশু ও পোষা প্রাণীর পেটেব্যথা ও বমিভাবও দেখা দিতে পারে।

★ডাইফেনবাচিয়া: এই গাছের রসে বিষাক্ত ক্যালসিয়াম অক্সালেট থাকে, যা কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। এর রসের কারনে গলা ফুলে যেতে পারে।

★ক্যালডিয়াম: দীর্ঘসময় ধরে এর সংস্পর্শে থাকলে এক ধরনের স্থায়ী ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়। যার ফলে মুখ, জিহ্বা জ্বালাপোড়া, গলা ব্যথা, গিলতে এবং শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। শিশুরা এ গাছের পাতা মুখে দিলে জটিল পেটের পীড়ায় ভুগতে পারে।

 

সচেতনতা :

আমরা সখের বসে অনেকে বাসা-বাড়ি, ঘরের,অফিসের,বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এই গাছ রোপণ করি যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। তাই এই গাছ গুলোকে শিশু, পোষা প্রাণী এবং নিজেদের নাগালের বাইরে রাখুন।

 

মিথিলা ইসলাম

সহ-সংগঠক The wild save organisation.