ঢাকা ০৩:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জেলা বিএনপি আহবায়ক এড.মান্নানের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়। অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে।

পুলিশ কেন পুলিশকে গুলি করেছে

রিপোর্টার স্বপন মিয়া 
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৯:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনরাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে এক পুলিশ সদস্য কী কারণে আরেক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে, তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। শনিবার (৯ জুন) দিবাগত ২ টা ৩০ মিনিটে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইজিপি এ তথ্য জানান।শনিবার রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ কনস্টেবল কাউসার আলী দায়িত্বরত অপর পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর নিহত মনিরের লাশ সড়কে পড়েছিল বেশ কিছুক্ষণ। কাউসারকে আটক করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।আইজিপি বলেন, ‘আজ রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দুইজন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিল। এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান । এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন এবং তিনি এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সাজ্জাদ হোসেনের শরীরে ৩ রাউন্ড গুলি লেগেছে। আক্রমণকারী কনস্টেবল কে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং তাকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মনিরুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা কিছু গুলির খোসা এবং বিশ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছি।’‘আমরা এ ঘটনার তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’প্রাথমিকভাবে হত্যাকান্ডের কারন কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার কারণ জানতে আমরা কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা এই ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করব। আক্রমণকারী কে আমরা ইতোমধ্যে আটক করে ফেলেছি, ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানাটা খুব কঠিন হবে নদূতাবাস এলাকা খুবই সুরক্ষিত এলাকা, এই ধরনের ঘটনা আইন-শৃঙ্খলার দুর্বলতা প্রকাশ পায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কটনস্থলে আমাদের লোক ছিল, ঘটনা যে ঘটিয়েছে সেও আমাদের লোক। আসলে ঘটনাটা কি কারণে ঘটেছে সেটা আমরা জানার চেষ্টা করছি।কাউসারকে কিভাবে আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার পর কাউসার তার অস্ত্র টা রেখে ঘটনাস্থলের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিল। তখন তাকে সেখান থেকেই আটক করা হয়।জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক কিভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জানতে চাইলে পুলিশ প্রধান বলেন, তিনি পথচারী হিসেবে যাচ্ছিলেন এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন।ডিপ্লোমেটিক এলাকায় একজন কনস্টেবল কে দিনের ১৬ ঘন্টা ডিউটি করতে হয়। এই ডিউটি করার কারণে অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছেন কিনা, বা কাউসার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তদন্তে সবগুলো বিষয়ে নজর দেবো।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পুলিশ কেন পুলিশকে গুলি করেছে

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৯:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনরাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে এক পুলিশ সদস্য কী কারণে আরেক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে, তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। শনিবার (৯ জুন) দিবাগত ২ টা ৩০ মিনিটে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইজিপি এ তথ্য জানান।শনিবার রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ কনস্টেবল কাউসার আলী দায়িত্বরত অপর পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর নিহত মনিরের লাশ সড়কে পড়েছিল বেশ কিছুক্ষণ। কাউসারকে আটক করে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।আইজিপি বলেন, ‘আজ রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দুইজন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিল। এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান । এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন এবং তিনি এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সাজ্জাদ হোসেনের শরীরে ৩ রাউন্ড গুলি লেগেছে। আক্রমণকারী কনস্টেবল কে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং তাকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মনিরুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা কিছু গুলির খোসা এবং বিশ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছি।’‘আমরা এ ঘটনার তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’প্রাথমিকভাবে হত্যাকান্ডের কারন কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার কারণ জানতে আমরা কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা এই ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করব। আক্রমণকারী কে আমরা ইতোমধ্যে আটক করে ফেলেছি, ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানাটা খুব কঠিন হবে নদূতাবাস এলাকা খুবই সুরক্ষিত এলাকা, এই ধরনের ঘটনা আইন-শৃঙ্খলার দুর্বলতা প্রকাশ পায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কটনস্থলে আমাদের লোক ছিল, ঘটনা যে ঘটিয়েছে সেও আমাদের লোক। আসলে ঘটনাটা কি কারণে ঘটেছে সেটা আমরা জানার চেষ্টা করছি।কাউসারকে কিভাবে আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার পর কাউসার তার অস্ত্র টা রেখে ঘটনাস্থলের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিল। তখন তাকে সেখান থেকেই আটক করা হয়।জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক কিভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জানতে চাইলে পুলিশ প্রধান বলেন, তিনি পথচারী হিসেবে যাচ্ছিলেন এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন।ডিপ্লোমেটিক এলাকায় একজন কনস্টেবল কে দিনের ১৬ ঘন্টা ডিউটি করতে হয়। এই ডিউটি করার কারণে অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছেন কিনা, বা কাউসার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তদন্তে সবগুলো বিষয়ে নজর দেবো।’