ঢাকা ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ 

বাইরে থেকে উপাচার্য কেন জবিতে সিনিয়র অধ্যাপক থাকতে

রিপোর্টার রোজিনা বেগম 
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:২৮:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪ বার পড়া হয়েছে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষকদের থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে এবার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র অধ্যাপক থাকতে বাইরে থেকে উপাচার্য কেন— এমন প্রশ্ন তুলেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিক্ষক লাউঞ্জে শিক্ষকদের সঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।  সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন জবির সেই শিক্ষার্থীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বাসের হেলপার জবি সংস্কারের লক্ষ্যে বিভাগ প্রতিনিধিদের ৫ কমিটিমতবিনিময়কালে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, আধিপত্য বিস্তারের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কলোনির মধ্যে রাখতে বারবার ঢাবির শিক্ষকদের ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা কোনো দিনই এ ক্যাম্পাসকে নিজের বলে চিন্তা করেন না। অথচ আমাদের শিক্ষকরাই আমাদের সম্পর্কে বেশি অবগত তারা আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৮ জন গ্রেড-১ এর অধ্যাপকসহ মোট ১৫৬ জন অধ্যাপক রয়েছেন। তাদের মধ্যে সৎ, যোগ্য ও ন্যায়পরায়ণ শিক্ষককেই আমরা উপাচার্য চাই। আমাদের প্রশ্ন হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র অধ্যাপক থাকতে কেন বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য আসবেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জহুরুল ইসলাম বলেন, যিনি বাহিরের বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে উপাচার্য হয়ে আসেন, তিনি কখনোই জবিকে নিজের মনে করতে পারেন না। তিনি নিজের মতো করে আরেকটা বলয় তৈরি করেন। নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করেন।উপ-পরীক্ষক নিয়ন্ত্রক আব্দুল হালিম বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেসে থাকেন। নিজের আয়ে নিজ খরচ চালান। আমাদের ক্যাম্পাসে এ গ্রেডের ৩৮জন সিনিয়র অধ্যাপক রয়েছেন। কেন তাদের বাদ দিয়ে বাইর থেকে উপাচার্য আসবেন? ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ সবাই আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। সকলের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তুলতে হবে। আর এই কাজে উপাচার্য হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষক। জবির বাইরে থেকে কোনো উপাচার্য এলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার মেনে নেবে না।সভাপতির বক্তব্যে ড. মোস্তফা হাসান বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নিজেদের থেকে উপাচার্য নিয়োগ না হবে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। অতীতকে ভুলে নয়, বরং অতীত থেকেই শিক্ষা নিয়েই চলবো। জবি থেকে ভিসি নিয়োগ হলে ক্যাম্পাসের অবকাঠামো উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। আমরা আমাদের দাবি জানাতে পারবো।আরও বক্তব্য রাখেন, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান সাদী, অধ্যাপক ড. আবু লায়েক, ওমর ফারুক ও সালেহ উদ্দিন। এছাড়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অর্থ দপ্তরের ফান্ড এন্ড বাজেটের উপ-পরিচালক খন্দকার হাবিবুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, ইব্রাহিম মিয়া সহ অন্যান্যরা। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জাহিদুর রহমান, ডেপুটি ডিরেক্টর ফাইনান্স সৈয়দ আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাইরে থেকে উপাচার্য কেন জবিতে সিনিয়র অধ্যাপক থাকতে

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:২৮:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষকদের থেকে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে এবার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র অধ্যাপক থাকতে বাইরে থেকে উপাচার্য কেন— এমন প্রশ্ন তুলেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিক্ষক লাউঞ্জে শিক্ষকদের সঙ্গে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।  সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন জবির সেই শিক্ষার্থীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন বাসের হেলপার জবি সংস্কারের লক্ষ্যে বিভাগ প্রতিনিধিদের ৫ কমিটিমতবিনিময়কালে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, আধিপত্য বিস্তারের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে কলোনির মধ্যে রাখতে বারবার ঢাবির শিক্ষকদের ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা কোনো দিনই এ ক্যাম্পাসকে নিজের বলে চিন্তা করেন না। অথচ আমাদের শিক্ষকরাই আমাদের সম্পর্কে বেশি অবগত তারা আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৮ জন গ্রেড-১ এর অধ্যাপকসহ মোট ১৫৬ জন অধ্যাপক রয়েছেন। তাদের মধ্যে সৎ, যোগ্য ও ন্যায়পরায়ণ শিক্ষককেই আমরা উপাচার্য চাই। আমাদের প্রশ্ন হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনিয়র অধ্যাপক থাকতে কেন বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য আসবেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জহুরুল ইসলাম বলেন, যিনি বাহিরের বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে উপাচার্য হয়ে আসেন, তিনি কখনোই জবিকে নিজের মনে করতে পারেন না। তিনি নিজের মতো করে আরেকটা বলয় তৈরি করেন। নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করেন।উপ-পরীক্ষক নিয়ন্ত্রক আব্দুল হালিম বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেসে থাকেন। নিজের আয়ে নিজ খরচ চালান। আমাদের ক্যাম্পাসে এ গ্রেডের ৩৮জন সিনিয়র অধ্যাপক রয়েছেন। কেন তাদের বাদ দিয়ে বাইর থেকে উপাচার্য আসবেন? ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ সবাই আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। সকলের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তুলতে হবে। আর এই কাজে উপাচার্য হিসেবে নেতৃত্ব দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষক। জবির বাইরে থেকে কোনো উপাচার্য এলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার মেনে নেবে না।সভাপতির বক্তব্যে ড. মোস্তফা হাসান বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত নিজেদের থেকে উপাচার্য নিয়োগ না হবে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। অতীতকে ভুলে নয়, বরং অতীত থেকেই শিক্ষা নিয়েই চলবো। জবি থেকে ভিসি নিয়োগ হলে ক্যাম্পাসের অবকাঠামো উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। আমরা আমাদের দাবি জানাতে পারবো।আরও বক্তব্য রাখেন, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান সাদী, অধ্যাপক ড. আবু লায়েক, ওমর ফারুক ও সালেহ উদ্দিন। এছাড়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অর্থ দপ্তরের ফান্ড এন্ড বাজেটের উপ-পরিচালক খন্দকার হাবিবুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, ইব্রাহিম মিয়া সহ অন্যান্যরা। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জাহিদুর রহমান, ডেপুটি ডিরেক্টর ফাইনান্স সৈয়দ আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।