ঢাকা ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ 

বাবার কাছে ছেলের আবদার

রিপোর্টার মেহেদুল ইসলাম
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫:৩৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪ ৬৩ বার পড়া হয়েছে

ছোট্ট ছেলের আবদার ছিল তার বাবার কাছে। ঈদে বাড়ি আসার সময় তার জন্য সাইকেল কিনে আনতে হবে। বাবা নিমতলীর পেপার দোকানের সামান্য কর্মচারী। হোক সামান্য কর্মী কিন্তু ছেলের কাছে তো বাবা রাজা। মহাপুরুষ।ঈদের বাড়তি পরিশ্রম, বোনাস আর হয়তো কিছু সঙ্চয় মিলিয়ে ছেলের জন্য কিনেছিলেন এই গোলাপী সাইকেল। তার রাজপুত্র যখন এই সাইকেলে চড়ে সারাবাড়ি দাপিয়ে বেড়াবে বাবার কাছে এরচেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর কি হতে পারে! চালাতে চালাতে রাজপুত্র বেল বাজাবে বাবা সরে গিয়ে হাসতে হাসতে জায়গা করে দেবে। মা বিরক্ত হয়ে কপট রাগ করবে হয়তো। সন্তান হাসবে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সেই হাসিমুখ।বাবা মা দুজনেরই একসঙ্গে দেখার কথা ছিলো প্রিয় সন্তানের সেই হাসিমুখ।কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা সেটা চাননি বোধহয়। গতকাল ইফতার করে বাসায় ফেরার পর বুকে ব্যাথা ওঠে বাবার। তারপর স্ট্রোক। না ফেরার দেশে চলে যান বাবা। আজ ভোর রাতের দিকে অ্যাম্বুলেন্সে ঠিকই বাসায় ফেরেন বাবা। গোলাপী সাইকেলটাও সঙ্গে। কিন্তু বাবার আর কখনোই দেখা হবে না সন্তান তার কিনে দিয়ে আসা সাইকেলে চড়ে কিভাবে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাবার কাছে ছেলের আবদার

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫:৩৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪

ছোট্ট ছেলের আবদার ছিল তার বাবার কাছে। ঈদে বাড়ি আসার সময় তার জন্য সাইকেল কিনে আনতে হবে। বাবা নিমতলীর পেপার দোকানের সামান্য কর্মচারী। হোক সামান্য কর্মী কিন্তু ছেলের কাছে তো বাবা রাজা। মহাপুরুষ।ঈদের বাড়তি পরিশ্রম, বোনাস আর হয়তো কিছু সঙ্চয় মিলিয়ে ছেলের জন্য কিনেছিলেন এই গোলাপী সাইকেল। তার রাজপুত্র যখন এই সাইকেলে চড়ে সারাবাড়ি দাপিয়ে বেড়াবে বাবার কাছে এরচেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর কি হতে পারে! চালাতে চালাতে রাজপুত্র বেল বাজাবে বাবা সরে গিয়ে হাসতে হাসতে জায়গা করে দেবে। মা বিরক্ত হয়ে কপট রাগ করবে হয়তো। সন্তান হাসবে। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সেই হাসিমুখ।বাবা মা দুজনেরই একসঙ্গে দেখার কথা ছিলো প্রিয় সন্তানের সেই হাসিমুখ।কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা সেটা চাননি বোধহয়। গতকাল ইফতার করে বাসায় ফেরার পর বুকে ব্যাথা ওঠে বাবার। তারপর স্ট্রোক। না ফেরার দেশে চলে যান বাবা। আজ ভোর রাতের দিকে অ্যাম্বুলেন্সে ঠিকই বাসায় ফেরেন বাবা। গোলাপী সাইকেলটাও সঙ্গে। কিন্তু বাবার আর কখনোই দেখা হবে না সন্তান তার কিনে দিয়ে আসা সাইকেলে চড়ে কিভাবে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ছে।