ঢাকা ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ 

বিএনপি কর্মী আতিক গুমের মামলা না নেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন পালিত

এম কে খোকন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্যুরো চীফ
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৯ বার পড়া হয়েছে

গুমের শিকার আতিকুল ইসলামকে ফিরিয়ে দেওয়া এবং পুলিশ মামলা না নেওয়ায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক সমাজের ব্যানারে স্বজন ও এলাকাবাসী।  । রোববার(১ সেপ্টেম্বর)  সকাল ১১ টাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহন করেন।পারিবারিক সূত্র জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজিপাড়ার মুমিনুল ইসলামের ছেলে আতিকুল ইসলামকে ২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর তুলে নিয়ে গুম করার অভিযোগ ওঠে। গুম হওয়া আতিকুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি পৌর শহরস্থ কাজীপাড়ার সাহাপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন। সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য  গৃহায়ণ মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরীর লোকজন ‘গুম’ করে রেখেছেন। মানববন্ধনে বক্তারা সদ্য সাবেক মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরী  পৃষ্ঠপোষকতায় বিএনপির কর্মী আতিককে ‘গুম’ হয়েছেন বলে অভিযোগ করে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। স্বজনরা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, আমরা গত তিন-চার দিন ধরে থানায় যাচ্ছি কিন্তু পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। তারা কালবিলম্ব করছেন। তারা আরো জানান, যখন আতিক গুম হয়েছিল তখন আমরা থানায় ও কোর্টে মামলা করতে গিয়েছিলাম। মোকতাদির চৌধুরী কাছেও গিয়েছিলাম। কিন্তু ওনারা মামলা করতে নিষেধ করেন এবং ভয়ভীতি দেখান। মানববন্ধনে গুম হওয়া আতিকুল ইসলামের স্ত্রী নাছিমা ইসলাম বলেন, আমার স্বামীকে দুইটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি তাকে বেঁধে রেখেছে। এরপর থেকে একযুগেও তার আর কোনো সন্ধান মেলেনি। মামলা দিতে গেলে নেওয়া হয়নি। এখন দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। থানায় মামলা নিয়ে গিয়ে গত ৪ দিন ধরে ঘুরছি, কিন্তু নিচ্ছে না। মামলাটি দ্রুত নিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হোক, আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আতিকের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তানিয়া ইসলাম বলেন, আতিক ভাইকে গাড়িতে ওঠানোর পর আমরা গেলে তখন তারা বলেছিলেন উনাকে একটু মোকতাদির চৌধুরীর বাড়িতে যেতে হবে। এরপর নিয়ে যাওয়ার পর আর তার সন্ধান পাইনি। আমরা সাবেক এমপির সঙ্গে দেখা করেছিলাম, তখন তিনি বলেছিলেন চুপ থাকতে এবং জিডি পর্যন্ত করতে নিষেধ করেন। তখন জিডি পর্যন্ত করতে পারিনি। এখন মামলা নিয়ে টালবাহানা করছেন সদর মডেল থানার ওসি। গুম হওয়া আতিকের মেয়ে বলেন, আমি যখন ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ি তখন আমার বাবাকে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। দীর্ঘদিন বাবাকে দেখি না। আমার বাবাকে ফেরত চাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন এ বিষয়ে বলেন, আমরা তাদের আরও কিছু কাগজের কথা বলেছি। কাগজগুলো দিলে মামলাটি নেবো। অভিযোগ না নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোকতাদির চৌধুরীর নাম থাকায় মামলাটি নেয়নি তা সম্পূর্ণ ভুল। তার নামে যতগুলো মামলা যথাযথভাবে দিয়েছে আমরা সব মামলা আমলে নিয়েছি, রুজু করেছি। কাগজগুলো দিলে আমরা এই মামলাও নেবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বিএনপি কর্মী আতিক গুমের মামলা না নেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন পালিত

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫:৪৯:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গুমের শিকার আতিকুল ইসলামকে ফিরিয়ে দেওয়া এবং পুলিশ মামলা না নেওয়ায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক সমাজের ব্যানারে স্বজন ও এলাকাবাসী।  । রোববার(১ সেপ্টেম্বর)  সকাল ১১ টাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এতে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহন করেন।পারিবারিক সূত্র জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজিপাড়ার মুমিনুল ইসলামের ছেলে আতিকুল ইসলামকে ২০১২ সালের ১৩ অক্টোবর তুলে নিয়ে গুম করার অভিযোগ ওঠে। গুম হওয়া আতিকুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তিনি পৌর শহরস্থ কাজীপাড়ার সাহাপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন। সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য  গৃহায়ণ মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরীর লোকজন ‘গুম’ করে রেখেছেন। মানববন্ধনে বক্তারা সদ্য সাবেক মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরী  পৃষ্ঠপোষকতায় বিএনপির কর্মী আতিককে ‘গুম’ হয়েছেন বলে অভিযোগ করে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। স্বজনরা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, আমরা গত তিন-চার দিন ধরে থানায় যাচ্ছি কিন্তু পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। তারা কালবিলম্ব করছেন। তারা আরো জানান, যখন আতিক গুম হয়েছিল তখন আমরা থানায় ও কোর্টে মামলা করতে গিয়েছিলাম। মোকতাদির চৌধুরী কাছেও গিয়েছিলাম। কিন্তু ওনারা মামলা করতে নিষেধ করেন এবং ভয়ভীতি দেখান। মানববন্ধনে গুম হওয়া আতিকুল ইসলামের স্ত্রী নাছিমা ইসলাম বলেন, আমার স্বামীকে দুইটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি তাকে বেঁধে রেখেছে। এরপর থেকে একযুগেও তার আর কোনো সন্ধান মেলেনি। মামলা দিতে গেলে নেওয়া হয়নি। এখন দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। থানায় মামলা নিয়ে গিয়ে গত ৪ দিন ধরে ঘুরছি, কিন্তু নিচ্ছে না। মামলাটি দ্রুত নিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করা হোক, আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আতিকের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী তানিয়া ইসলাম বলেন, আতিক ভাইকে গাড়িতে ওঠানোর পর আমরা গেলে তখন তারা বলেছিলেন উনাকে একটু মোকতাদির চৌধুরীর বাড়িতে যেতে হবে। এরপর নিয়ে যাওয়ার পর আর তার সন্ধান পাইনি। আমরা সাবেক এমপির সঙ্গে দেখা করেছিলাম, তখন তিনি বলেছিলেন চুপ থাকতে এবং জিডি পর্যন্ত করতে নিষেধ করেন। তখন জিডি পর্যন্ত করতে পারিনি। এখন মামলা নিয়ে টালবাহানা করছেন সদর মডেল থানার ওসি। গুম হওয়া আতিকের মেয়ে বলেন, আমি যখন ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ি তখন আমার বাবাকে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল। দীর্ঘদিন বাবাকে দেখি না। আমার বাবাকে ফেরত চাই। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন এ বিষয়ে বলেন, আমরা তাদের আরও কিছু কাগজের কথা বলেছি। কাগজগুলো দিলে মামলাটি নেবো। অভিযোগ না নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোকতাদির চৌধুরীর নাম থাকায় মামলাটি নেয়নি তা সম্পূর্ণ ভুল। তার নামে যতগুলো মামলা যথাযথভাবে দিয়েছে আমরা সব মামলা আমলে নিয়েছি, রুজু করেছি। কাগজগুলো দিলে আমরা এই মামলাও নেবো।